Robbar

পাঁচমিশালি

শান্তিনিকেতন নয়, বিশ্বভারতীর প্রথম ঠিকানা হিসেবে আউশগ্রামই পছন্দ ছিল দেবেন্দ্রনাথের

আউশগ্রামের এই লাল মাটির টানে, এখানকার গভীর জঙ্গলভূমির প্রান্তরকে নতুন করে জীবন দিতে এসে ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

→

বুদ্ধদেব গুহ বাঙালির স্লো ট্যুরিজমের পথপ্রদর্শক

বু্দ্ধদেব গুহর লেখা ‘মাধুকরী’, ‘কোয়েলের কাছে’, ‘একটু উষ্ণতার জন্য’, ‘ঋজুদার সঙ্গে জঙ্গলে’, ‘বন জ্যোৎস্নায় সবুজ অন্ধকারে’,– এই উপন্যাসগুলো ভ্রমণের বাহ্যিক গল্প নয়, বরং স্থানের সঙ্গে গভীর আত্মিক সংলাপ।

→

বাস্তবের পুলিশও একসময় ‘হোমস’, ‘পোয়ারো’-দের শরণাপন্ন হত

২৮ জন সাদা পোশাকের গোয়েন্দা, যার বেশিরভাগই ছিল সমসাময়িক এবং পুরাতন অপরাধীরা, তাদের নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা খোলেন ভিডক। জুয়ার ঠেক চালানোর অনুমতির বিনিময়েও তাঁর হয়ে কাজ করত অনেক অপরাধী। ১৮৩৩ সালে পুলিশের কাজ ছেড়ে নিজের গোয়েন্দা সংস্থা ‘লে ব্যুরো দেস রেনসেইনমেন্টস’ বা ‘অফিস অফ ইনফরমেশন’ খোলেন।

→

সব জাগাই মানবসভ্যতার ‘নবজাগরণ’ ঘটায় না

সম্প্রতি একটি বেসরকারি সংস্থার সর্বভারতীয় সমীক্ষার ‘গ্রেট ইন্ডিয়ান স্লিপ স্কোরকার্ড ২০২৫’-এর রিপোর্ট বলছে, ৫৮ শতাংশ ভারতীয়ই রাত ১১ টার আগে ঘুমোতে যান না। এই ‘লেট স্লিপার’দের তালিকায় বেঙ্গালুরু, মুম্বাইকে পিছনে ফেলে প্রথম স্থানে রয়েছে কলকাতা। এবং এই সমস্যাটা ধীরে ধীরে গোটা জাতিকেই প্রভাবিত করছে।

→

কংক্রিটের অরণ্যে আমি ‘নেস্টম্যান’

এ যাবৎ তিনি ৭,০০০-এর বেশি কর্মশালা করেছেন এবং সাত লক্ষ তিরিশ হাজারের বেশি পাখির বাসা তৈরি হয়েছে তাঁর তত্ত্বাবধানে। শুধু বাসা বানাতে শেখা নয়, বাসা ঝোলানোর উপযুক্ত জায়গা চিনতেও শিখিয়েছেন রাকেশ খাত্রী। চড়ুই, দোয়েল, বুলবুলিরা দখল করেছে মানুষের গড়া কৃত্রিম বাসা। রাকেশ গড়ে তুলেছেন ‘ইকো রুটস ফাউন্ডেশন’ নামের এক সংগঠন।

→

‘প্রবাসী’-র মাধ্যমে আজীবন স্বাধীনতার স্বপ্নকে লালন করে গেছেন রামানন্দ

বিশ শতকের বাংলা পত্রিকার ইতিহাসে ‘প্রবাসী’ এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে আর এই পত্রিকাটিকে কেন্দ্র করে বাংলা প্রকাশনার একটা মানদণ্ড‌ও তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু দণ্ড মিললেও রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের মতো দণ্ডধারী মেলা খুবই কঠিন ছিল। কথাটা সে-যুগের মতো এ-যুগেও সত্যি।

→

বর্ধমানের দেহজীবীদের বৈশাখ শুরু হয় রামকৃষ্ণ আর গিরিশচন্দ্র ঘোষের পুজো দিয়ে

রাজার শহর বর্ধমানের চিত্রাবলিদের পাড়ায় এখনও এক ‘একলা’ বৈশাখের লড়াই। অনেকের সে ইতিহাস আজও অজানা। চুপিচুপি সে লড়াই চলে নিজেদের নিয়ে জীবনের অন্ধকারে। এবং সেখানে তাঁদের একার একাকে নিয়েই লড়তে হয় নিত্যদিন।

→

প্রেতচর্চার গাজনের বোলানে ঘোরে নরমুণ্ডধারী ভক্তের দল

বোলান গানের বিভিন্ন প্রকারভেদও রয়েছে, যেমন– দাঁড় বোলান, পালা বোলান, সখী বোলান, আর সাধকের শ্মশান বোলান, সে তো ভয়ঙ্কর। এই গানগুলি মূলত বাংলা ভাষার বিভিন্ন আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য মেখে ঘুরে বেড়ায় রাঢ়ের উঠোনে। বাংলার লোকসংস্কৃতির সঙ্গে এর গভীর সম্পর্ক।

→

চিত্রকর রমণীদের টেপা-পুতুল বহন করছে বাংলার প্রাচীন মাতৃকা-পুতুলের ধারাকে

বাংলার সুপ্রাচীন মাতৃকা-পুতুলের ধারা আজও বহন করে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চিত্রকর পরিবারগুলো। ফুলজান, আবিরন, ছবি, শেরিফান চিত্রকরের হাতে তৈরি টেপা-পুতুলে রক্ষিত হচ্ছে বাংলার পুরাতন ঐতিহ্য।

→

রমজানি তেলেভাজা রহস্য

ইফতারে ইদানীং হালিম ‘মেনস্ট্রিম’ হয়েছে। জাকারিয়া স্ট্রিটের দৌলতে কাবাব-চিকেন ফ্রাই–চাপ-শরবত-ফিরনি ইত্যাদিকে আপন করে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই আদি-অকৃত্রিম তেলেভাজা, তার উপস্থিতি আসলে রমজানে ‘চপমুড়িতে থাকা’, যার সঙ্গে গ্রামবাংলার আত্মার সম্পর্ক।

→