সার্থক ভালোবাসা কোনও জাতি-ধর্ম মানে না, তা তারা প্রমাণ করতে পেরেছে। চার বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে এক নির্ভেজাল ভালোবাসার জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে আনন্দে, সুখে দিন কাটাচ্ছে।
ভালোবাসার কোনও নির্দিষ্ট দিন নেই, মুহূর্ত নেই; লিঙ্গ নেই, লিঙ্গ ভেদও নেই। ভালোবাসায় কোনও অস্বাভাবিক নেই, বিকৃতি নেই। এই মর্মেই বড় হোক আমার অনেক অনেক হারিয়ে যাওয়া ছোটবেলারা।
আমরা চিরকাল আমাদের স্বেচ্ছাবৃত্ত অজ্ঞতা দিয়ে অন্য ধর্মের মানুষদের দূরে সরিয়ে রেখেছি। সেখান থেকে তৈরি হয়েছে অবিশ্বাস আর তারপর বেড়েছে দূরত্ব। আর এই দূরত্বের ফোকর গলে ঢুকে পড়েছে ঘৃণা ও বিদ্বেষ।
খোদ কলকাতা শহরের পার্কে বা সিনেমা হলের দরজার সামনে প্রতিবন্ধী-অপ্রতিবন্ধী যুগলদের দেখলে যেখানে কটূক্তির বন্যা বয়ে আসে, সেখানে গ্রাম্য পরিবেশে বা মফসসল এলাকার চিত্র যে অতীব ভয়ংকর, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আজ সাঁওতালরা শ্বাস নেবেন বিদ্যার বাতাসে, চেতনার আগুনের পাশে। আজ লাল মাটির নিথর শরীরে বোনা হবে প্রাগৈতিহাসিক প্রেমের সুরেলা অনুরণন। আজ মাঘী পূর্ণিমা। আজ সাঁওতাল পাড়ায় বিদু-চাঁদান পূজা।
সিচুয়েশনশিপের নতুন প্রজন্মে হয়তো অমৃতা ইমরোজ ফ্যাকাসে। কিন্তু একটা যাপন কতটা সহজ হতে পারে, তা ওঁদের দেখে শিখে নিক এই প্রজন্ম।
বাংলা ভাষার জন্য বিদ্যালয় স্তরটি বস্ত্র-বয়নের কাজ করে। ভাষার মোটা ভাত-কাপড় তো সেই জোগায়। সেই জোগান বন্ধ হয়ে গেলে বা সেই ভাত-কাপড় দেওয়ার উপযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা না থাকলে ভাষা-শরীর জীর্ণ ও বস্ত্রহীন হবেই।
শিকল পরা মাথা নীচু করে দেশে ফেরা ওই ‘অবৈধ’ মানুষগুলো আসলে এই পৃথিবী নামক ভূখণ্ড, শিকল আর কাঁটাতারে ক্ষত-বিক্ষত।
সরস্বতী পুজোকে নিয়ে আন্দোলনের জেরে হিন্দু ছাত্ররা দলে দলে কলেজ ছেড়ে দিল। চরম অর্থসংকটে পড়ল কলেজ। ১২ জন শিক্ষক ছাঁটাই হলেন। ছাঁটাই হলেন কবি জীবনানন্দ দাশও।
কয়েক বছর আগে যখন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংহকে ওই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছিল, তখন বহু মানুষ বলেছিলেন, বাবরি মসজিদ ভাঙার পিছনে, যাঁর প্রত্যক্ষ মদত ছিল, তাঁকে পুরস্কৃত করা গেলে অবশ্য স্বাধ্বী ঋতম্ভরার নাম নিয়ে আর বলার কী থাকে!
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved