যে বিএলও’দের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার দায়িত্ব হওয়া উচিত ছিল কমিশনের, সেই কমিশন কি তাঁদের কোনওরকম সুরক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে? ২০০২ সালেও যে পদ্ধতিতে ভোটার তালিকায় সংশোধন হয়েছিল, সেই সময়েও কি এই সমস্ত বিএলওর নম্বর অঞ্চলের সবাই জানত?
গ্রামোফোন কোম্পানির ধ্বনি-প্রযুক্তিবিদ ফ্রেডারিক উইলিয়ম গেইসবার্গের নির্দেশে বাংলা থিয়েটারের ‘নেপোলিয়ন’ অমরেন্দ্রনাথ দত্তর ক্লাসিক থিয়েটারের গায়িকা-অভিনেত্রী শশীমুখীকে নিয়ে আসা হল যন্ত্রটির সামনে। সাগরপারের একটি চোঙামুখো হরবোলা যন্ত্রের উপস্থিতিতে বাঙালির নিছক বিনোদনী-গীতবিলাস ঠাঁইবদল করল সংগীত-সংস্কৃতিতে।
সাম্প্রতিক সমীক্ষার দেখা গিয়েছে নবপ্রজন্মের কিশোর বয়সেই মাদকের প্রতি আসক্ত হওয়া, যৌনতার প্রতি লালসা এবং অপরাধ জগতের প্রতি মারাত্মক ঝোঁক বেড়েছে। যা ক্রমশ চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া কি তার মতো আরও হাজারো ছেলেমেয়ের উপর পারফরম্যান্স প্রেশার বা একরৈখিকভাবে নিজেকে উপস্থাপন করার বাধ্যবাধকতা তৈরি করছে? না কি প্রকৃত জীবনে নিজেকে প্রকাশ করতে না পেরে ভার্চুয়াল দুনিয়া তাকে মুক্তির স্বাদ দিতে সক্ষম? এই প্রশ্ন হয়তো একুশ শতকের সবচেয়ে জরুরি ইস্যু।
নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে কর্মবিরতি এবং কর্মক্ষেত্র ও পারিবারিক জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষাও যে কর্মক্ষেত্রের নিতান্ত প্রয়োজনীয় শর্তাবলি, বেশি কাজ মানেই যে ভালো কাজ নয়, তা আমরা মানতে চাই না।
প্রতিকূল রাজনীতির কারণে হয়তো হীনম্মন্যতা একটুকরো অন্ধকারের মতো টিকে আছে। তাই মাঝেমধ্যেই বাঙালি-বিদ্বেষ মাথাচাড়া দেয়; এবং বাঙালির (এবং একইসঙ্গে ভারতের) আইকনদের ধরে ধরে আক্রমণ করা হয়। তাঁদের মধ্যে দু’জন মনে হয় এই আক্রমণের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হয়েছেন এ পর্যন্ত– এক, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আর দুই, রামমোহন রায়।
হইহই কাণ্ড। রইরই ব্যাপার। এই যে অনেককাল ধরে, পাড়ার নানা প্রকার ‘কল্পনা’, ‘ছবিঘর’, ‘পিয়ালি স্টুডিও’ গোছের নানা স্টুডিও ছিল ফোটো তোলার, তারা ঝিমিয়ে পড়েছিল। হঠাৎ জেগে উঠেছে। গত দশ বছরে এহেন কাজের চাপে পড়েছে কি না, সন্দেহ! আজ ছবি তুললে, ডেলিভারি নাকি সাত দিন বাদে! বোঝো কাণ্ড! পাড়ার স্টুডিওর এই ক্ষণিকের নবজাগরণে পুরনো-নতুন দিনের স্মৃতি মিলেমিশে আজকের ককটেল।
ভারতে একজন প্রার্থী, যিনি একটা জায়গার মানুষ, পরিবেশ, সমস্যার সম্বন্ধে বিন্দুমাত্র অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও অনায়াসে নির্বাচনের টিকিট পেয়ে যান। তাই মিশেল, জোহরানের মতো মানুষগুলোকে যখন দেখি, কীভাবে চেনেন নিজের শহর, নির্বাচনী ক্ষেত্র, হাতের পাতার মতো, শ্রদ্ধা-মেশানো বিস্ময় কাটে না।
বাস্তবে, ভোটার তালিকা ধরে নেয় একটি স্থায়ী ও প্রমাণযোগ্য বাসস্থান। কিন্তু যাঁদের জীবনই সংজ্ঞায়িত হয় স্থান থেকে স্থানান্তরে সরে সরে যাওয়া দিয়ে– যাঁরা উড়ালপুলের নিচে, হাসপাতালের ওয়ার্ডে, বা অস্থায়ী আশ্রয়ে রাত কাটান– তাঁদের কী হবে? এই মানুষদের এরকম মুছে যাওয়া নেহাতই আকস্মিক নয়, কাঠামোগত একটি সমস্যা বলেই মনে হচ্ছে।
অঙ্ক বইতে এরকম ইতিহাসের প্রবেশ হবে কেন? অঙ্ক তো একটা নৈর্ব্যক্তিক বিষয়। দু’য়ে দু’য়ে চার, আপনি করলেও হবে, আমি করলেও হবে কিন্তু ইতিহাসের ক্ষেত্রে তো ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ইতিহাস তো আর শুধু কী ঘটেছিল, সেকথা বলে না। সেটা বলার কাজ তো কালপঞ্জির।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved