E-Robbar
মধ্যরাতে পাশের দেশ আক্রমণের পর যুদ্ধ-পরিস্থিতি তুঙ্গে। আজ যারা তিরিশ-বত্রিশের যুবা, শেষ কার্গিল যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে তারা বঞ্চিত। তাই যুদ্ধ ছাড়া গতি নেই এমন এক রব উঠেছে চারদিকে। ঠিক যেমন প্রথম বিশ্বযুদ্ধকে বলা হয়েছিল ‘A war to end all wars’, কুড়ি বছরেই তার পরিণাম কী হয়েছিল আমরা জানি।
সম্প্রীতি চক্রবর্তী ও
জিডিপিতে শক্তিশালী দেশ, তবু ধাক্কা কি জীবনে এসে লাগবে না! বেতন বাড়ুক না-বাড়ুক, আধিপত্য নিপাত যাক না-যাক, উদারনীতিবাদের সংকট মোচনে কেউ সত্যনারায়ণ দিক না-দিক, বাঁচার যুদ্ধে তো নামতেই হবে। একদিন, প্রতিদিন।
সরোজ দরবার ও
একের পর এক আসামি জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন, তাঁদের পরানো হচ্ছে মালা। সম্বর্ধনাও দেওয়া হচ্ছে। দেশের পক্ষে এ অত্যন্ত লজ্জার।
সুমন সেনগুপ্ত ও
ময়দানের ভেতরে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা কিংবা প্রতিযোগিতার যে টানটান মুহূর্ত, সে মুহূর্তে দিনের শেষে করমর্দনে এসে শেষ হওয়ার কথা, ময়দানের বাইরে রাজনীতির অঙ্গনে সে করমর্দন বদলে গেছে তর্জনী উঁচিয়ে রাখা হুংকারে। খেলার স্পিরিট যেখানে ‘নীরবে নিভৃতে কাঁদে’।
অর্পণ গুপ্ত ও
যেদিন সমাজ লিঙ্গ-হিংসাশূন্য হয়ে উঠবে, মহিলা ও প্রান্তিক লিঙ্গের মানুষের শরীর ‘যৌনবস্তু’ হয়ে থাকবে না, সবার চোখে আমরা ‘মানুষ’ হয়ে উঠব, সেদিন আলাদা করে ‘মহিলা কামরা’র দরকার পড়বে না। আমরা সকলে মিলে সমস্ত কামরা ‘সাধারণ’ করে নিয়ে একসঙ্গে যাত্রায় সামিল হতে পারব।
অনুরাগ মৈত্রেয়ী ও
কাজ-পেরোনো ঘামের ঘ্রাণ, একলা হওয়া, মাথার ভিতর লুকোনো প্রেম নিয়ে প্ল্যাটফর্মের পর প্ল্যাটফর্ম পার হয়ে তারা ফিরে আসে চেনা স্টেশনে, কিংবা নিশ্চিন্দিপুরে যাওয়ার আগে লেডিস কামরার কাছে চুপিচুপি বিদায় নিয়ে যায়।
রণিতা চট্টোপাধ্যায় ও
মাতৃভূমি স্পেশাল নিয়ে পুরুষদের ক্ষোভ ছিল দীর্ঘদিন। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে মাতৃভূমি স্পেশাল নিয়ে নানারকম নারীবিরোধী কু-মন্তব্যরই প্রতিফলন। এবার সেই পুরুষরা নিজেদের ‘জয়ী’ ভাববেন।
মৌমিতা আলম ও