মৃত পুত্রকে জড়িয়ে ধরে জননীর সে আর্তিঘেরা ক্যাথের ছবির দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকা যায় না। ক্যাথের অজস্র ছবির মধ্যে আরেকটি– দুঃস্বপ্নের জেগে ওঠা– অন্ধকার নিশুতি রাত্রে এক অসহায় মা, আলো নিয়ে রাশি রাশি মৃতদেহ থেকে নিজের ছেলের লাশ শনাক্ত করার চেষ্টা করে চলেছে।
 
এই মানুষগুলোর সমর্থনে দেশের সাধারণ মানুষের ধৈর্যের বাঁধ একটু একটু করে ভাঙতে ভাঙতে সমস্ত দেশ জুড়ে ১৪ জুন পালন করা হয় ‘নো কিংস ডে’। ছোট থেকে বিরাট শহর– প্রায় ২০-২৫ জন থেকে লক্ষাধিক মানুষ শামিল হন প্রতিবাদে।
 
প্রায় তেল ছাড়া চুনো মৌরলা লাউপাতায় মুড়ে ভাজাপোড়া নিভু উনুনের আঁচে বসিয়ে চচ্চড়ি রান্নার তরিকাটির সঙ্গে পঞ্চাশ তেল কেনার সামর্থ, টালির চালে লাউডগা লতিয়ে ওঠা এবং আঁচের শেষটুকুতে ‘যেটুকু যা হয়’ জড়িত, অন্য কোনও ‘ঐতিহ্য’ নয়।
 
এআই-যুগে মানুষের টিকে থাকার জন্য দরকার– সৃজনশীলতা, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, সহানুভূতি, নেতৃত্বের দক্ষতা ও প্রযুক্তিকে ব্যবহার করার জ্ঞান। এই প্রযুক্তি সমাজে সুবিচার আনবে, না বৈষম্য বাড়াবে– তা নির্ভর করছে আমাদের মানসিকতা, উদ্যোগ এবং দায়িত্ববোধের ওপর।
 
‘দুর্ঘটনা-সাহিত্য’র সেই স্বর্ণযুগ আজ চলে যেতে বসেছে! তার বদলি হিসেবে অবশ্যি এসেছে অ্যানালিটিক্স ও থিওরিক্সের অ্যাডভেঞ্চারের গালগল্প! কাল বিমান দুর্ঘটনার পর হাতেনাতে প্রমাণ পেয়েছি।
 
যে দেশ ধীরে ধীরে সামাজিকভাবে অগ্রসর হওয়ার কথা ভেবেছে, সেই দেশে কেন ওই ২৬ জন মহিলাকে বারংবার ‘পহেলগাঁওয়ের বিধবা’ বলে সম্বোধন করা হবে এবং বোঝানো হবে তাঁদের সিথির সিঁদুর মুছে যাওয়ার জন্য তাঁরাই দায়ী, তাঁরা সরাসরি লড়াই করেননি বলেই আজ এই বিপদ হল?
 
কেউ একবারও ভাবলেন না, একজন ভারতীয় স্ট্যান্ড-আপ কমিকের শো দেখতে এসেছিল সে। হাসতে এসেছিল। যে সংস্কৃতির বিনিময় স্বাভাবিক হওয়ার কথা ছিল, তা বড়ই থ্রেটের মতো শোনায়! ভয় করে।
 
জঙ্গলের ওপর নির্ভর করে, জঙ্গলকে ভালোবেসে পাতা ও মহুয়া ফল কুড়িয়ে বেশ কাটছিল আদিবাসীদের। রাষ্ট্র, পুঁজি আর কর্পোরেটরা আসার আগে জীববৈচিত্র সংরক্ষিতও ছিল। তারপর গল্পটা বদলাতে লাগল। আস্তে আস্তে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করল তাঁদের প্রকৃতি, প্রাণ এবং সংস্কৃতি। গল্পটা বদলাতে চায় মোহকরানি।
 
তৃতীয় বিশ্বের কোনও এক পূর্ণিমায় যদি এক ঝলসানো রুটির ইমেজারি আমাদের মনের মধ্যে ভেসে ওঠে, তাহলে চতুর্থ, পঞ্চম বিশ্বের মানুষের কাছে ওই চন্দ্রিল অভিজ্ঞতা ঠিক কেমন ছিল?
 
ভুলে গেলে চলবে না যে, ‘বেশ্যা’ পরিচিতি– বা তাকে ঘিরে ঘৃণা, লজ্জা, অপমান– এই পুরো কাঠামোটাই পুঁজিবাদী এবং পুরুষতান্ত্রিক ক্ষমতার জোট।
 
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved
