Robbar

সাম্প্রতিকী

আপাতত শান্তিকল্যাণ, কিন্তু আসল যুদ্ধ কবে থামবে?

যে যুদ্ধ দেশের নাগরিক, আখলাখ, পেহেলু খান, জুনেইদ-সহ বহু মুসলমান যুবককে পিটিয়ে মেরেছে, সেই যুদ্ধ থামানোর জন্য কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে আজ অবধি কোনও কথা বলেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী? বলেননি বলেই আজ সেই তাঁরাই নিজের দেশের বিদেশ সচিবকেও ছাড়ছেন না।

→

আলো আছে, আলো থাকবে, যত কম হোক তার তেজ

যখন ‘ট্যুরেট সিন্ড্রোম’ থাকা এক ছাত্র বলছে, সে পড়াশোনার সঙ্গে মোটিভেশনাল স্পিকার হতে চায়; যখন তার ভীষণ কষ্ট করে বলা একেকটা বাক্য আশার ফুলকি হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে এদিক-ওদিক; যখন আর্ট ক্লাস নেওয়া আরেকজন ছাত্র বলছে, ‘ডাউন সিনড্রোম’ তার পরিচয় নয়– তার জীবনের লক্ষ্য, সে শুধু মানুষদের মুখে হাসি ফোটাতে চায়। যতদিন মানুষ আছে, কোনও রাষ্ট্রপ্রধানের, কোনও সরকারের ক্ষমতা নেই এই আলো নিভিয়ে দেওয়ার।

→

জ্যোতিষ ও তন্ত্র এখন বিভ্রান্ত ডিজিটাল প্রজন্মের অলৌকিক আশ্রয়

জ্যোতিষ, তন্ত্র, কুণ্ডলিনী বা যোগব্যায়ামের মতো বিষয়গুলোকে একদিকে আধ্যাত্মিক উন্নতির হাতিয়ার হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও, অন্যদিকে এগুলিকে শুদ্ধ হিন্দু সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।

→

আলো ক্রমে আসিতেছে

পহেলগাঁও গণহত্যা সম্বন্ধে গুগল বলছে– ‘উগ্রপন্থীদের হাতে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা। মৃতের সংখ্যা ছাব্বিশ।’ কিন্তু রক্তপাত, যা দৃশ্যমান বা দেখা যায় না– তার স্রোত কাশ্মীরের পাহাড়-উপত্যকা ছাপিয়ে ভিজিয়ে দিয়েছে গোটা দেশ। সীমান্তে চমকে উঠেছে কাঁটাতার। চিনারের হিমস্নাত পাতাগুলি রাতের আঁধারে এক আতঙ্ক-ঘেরা স্তব্ধতায় অপেক্ষা করছে ভোরের, অথচ ভোর হচ্ছে না।

→

মৃত্যু চাই? সহায় পেশাদারি সংস্থা, মৃত্যুবিলাস কি তবে অবলুপ্তির পথে?

জীবন তো যাপনের জন্যে। তার থেকে পালিয়ে যাওয়া, সে তো হেরে যাওয়া। মৃত্যু নিয়ে রোম্যান্টিসিজম চলতেই থাকবে; সাহিত্যে, বাস্তবে। তবু এমন সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে যেতে কি মন চায়! যা অনিশ্চিত তাকে নিশ্চিত করার দায় না-ই বা নিলাম কাঁধে!

→

যুদ্ধ-পরিস্থিতির মনস্তাত্ত্বিক বিপন্নতা মোকাবিলা করার প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে?

মধ্যরাতে পাশের দেশ আক্রমণের পর যুদ্ধ-পরিস্থিতি তুঙ্গে। আজ যারা তিরিশ-বত্রিশের যুবা, শেষ কার্গিল যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে তারা বঞ্চিত। তাই যুদ্ধ ছাড়া গতি নেই এমন এক রব উঠেছে চারদিকে। ঠিক যেমন প্রথম বিশ্বযুদ্ধকে বলা হয়েছিল ‘A war to end all wars’, কুড়ি বছরেই তার পরিণাম কী হয়েছিল আমরা জানি।

→

যে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রোজ সাইরেন বাজে না

জিডিপিতে শক্তিশালী দেশ, তবু ধাক্কা কি জীবনে এসে লাগবে না! বেতন বাড়ুক না-বাড়ুক, আধিপত্য নিপাত যাক না-যাক, উদারনীতিবাদের সংকট মোচনে কেউ সত্যনারায়ণ দিক না-দিক, বাঁচার যুদ্ধে তো নামতেই হবে। একদিন, প্রতিদিন।

→

অপরাধের শাস্তি নয়, পুরস্কার ও বরমাল্যই কি এদেশের নতুন রেওয়াজ?

একের পর এক আসামি জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন, তাঁদের পরানো হচ্ছে মালা। সম্বর্ধনাও দেওয়া হচ্ছে। দেশের পক্ষে এ অত্যন্ত লজ্জার।

→

অলিম্পিকে স্বর্ণপদক-জয়ী নীরজ চোপড়াকে আক্রমণ করতে শিখিয়েছে উগ্র জাতীয়তাবাদ

ময়দানের ভেতরে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা কিংবা প্রতিযোগিতার যে টানটান মুহূর্ত, সে মুহূর্তে দিনের শেষে করমর্দনে এসে শেষ হওয়ার কথা, ময়দানের বাইরে রাজনীতির অঙ্গনে সে করমর্দন বদলে গেছে তর্জনী উঁচিয়ে রাখা হুংকারে। খেলার স্পিরিট যেখানে ‘নীরবে নিভৃতে কাঁদে’।

→

প্রান্তিক লিঙ্গের মানুষরাও অনাকাঙ্ক্ষিত ছোঁয়া ও দৃষ্টি এড়িয়ে ট্রেনযাত্রার সুযোগ হারাল

যেদিন সমাজ লিঙ্গ-হিংসাশূন্য হয়ে উঠবে, মহিলা ও প্রান্তিক লিঙ্গের মানুষের শরীর ‘যৌনবস্তু’ হয়ে থাকবে না, সবার চোখে আমরা ‘মানুষ’ হয়ে উঠব, সেদিন আলাদা করে ‘মহিলা কামরা’র দরকার পড়বে না। আমরা সকলে মিলে সমস্ত কামরা ‘সাধারণ’ করে নিয়ে একসঙ্গে যাত্রায় সামিল হতে পারব।

→