আইপিএল নিয়ে এই চরম উন্মাদনা কি স্বাভাবিক ক্রিকেট-প্রেম থেকে উদ্ভুত, না কি তা স্রেফ গ্ল্যামার-জগৎ আর অতিরিক্ত হাইপের যৌথতায় নির্মিত এক কৃত্রিম উত্তেজনা, যা বুদবুদের মতো সৃষ্টি হয়ে এক সাময়িক গণ-হিস্টিরিয়া তৈরি করে?
যারা ষষ্ঠ গেমে কার্লসেনের আচরণকে গুকেশের প্রতি অসম্মান হিসেবে দেখছেন কিংবা কার্লসেন গুকেশকে হেয় করেন এমনটা বলছেন, তাঁরা হয়তো প্রথম গেমটা দেখেননি। গুকেশকে হারানোর পরে কার্লসেনের চোখেমুখে প্রতিদ্বন্দ্বিতা উপভোগ করার তৃপ্তিটুকু দেখেননি। ক্রীড়াবিদের জীবনে ওতঃপ্রোত এগুলো।
চোনজিন আংমো একজন দক্ষ পর্বতারোহী, ঠিক আর পাঁচজন পর্বতারোহীর মতো নয়, তাঁদের থেকেও স্পেশাল! কারণ তাঁর ‘ভিশন’ সবার চেয়ে আলাদা। ঠিক যে ভিশনের কথা বলেছেন হেলেন কেলার, যার সাফল্য চোখে দেখা, বা ছুঁয়ে দেখা যায় না, শুধু অনুভব করা যায়।
আতশবাজির রোশনাইয়ে উজ্জ্বল আলিয়াঞ্জ এরিনার আকাশ, আবেগস্নাত গ্যালারি। সেই আনন্দধারার মাঝে কোনও এক জ্যোৎস্নার রাত কি খুঁজছিলেন লুইস এনরিকে? যে রাতের সন্ধান বহু যুগ আগে পেয়েছিলেন তাঁর মতো সন্তানহারা আরেক পিতা।
কীভাবে যেন অলৌকিক যোগসূত্র তৈরি হয়ে যায় প্রতিটি ড্রিবলিংয়ে। রয়ের বয়স বাড়ে না। ৪০ মরশুম খেলার পরেও বয়স দাঁড়িয়ে থাকে মধ্য তিরিশে। গোলের ঠিকানা লেখা অ্যাসিস্ট মুছে দেয় মানচিত্র। দেশকালের গণ্ডি অতিক্রম করে এক বেপরোয়া জাদুকর ঢুকে পড়ে বাঙালি পাঠকের ফুটবল-স্বপ্নে।
কেন জানি না মনে হচ্ছে, ফেলে আসা সব সুখস্মৃতির দিকে তাকিয়ে বিরাট কোহলি সত্যিই হাসছেন। টেস্ট ক্রিকেটের এই সমাধানহীন ধাঁধায় মজা পেয়ে, মুগ্ধ হয়ে এবং কাতর হয়ে।
পৌনঃপুনিকতার একটা অবসাদ থাকে। কেনের জন্য সেটাই ছিল ট্রফিহীনতা। তা ঘুচল। ভবিষ্যতে আরও ট্রফি নিশ্চয় জিতবেন। তখন নিশ্চয়ই আর এত হইচই হবে না। আর ব্যর্থ হলে দ্বিগুণ হয়ে ফিরে আসবে ‘অভিশাপ’-এর বোঝা।
বৈভব ১৪ বছরে আইপিএলের মতো ক্রিকেট লিগে মানিয়ে নিতে পারছে, শতরানে নজর নজির গড়ছে, কারণ, সে স্পেশাল। সবাই স্পেশাল হয় না। তাই বৈভবকে উপভোগ করুন, অন্ধ অনুকরণ না করে।
ময়দানের ভেতরে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা কিংবা প্রতিযোগিতার যে টানটান মুহূর্ত, সে মুহূর্তে দিনের শেষে করমর্দনে এসে শেষ হওয়ার কথা, ময়দানের বাইরে রাজনীতির অঙ্গনে সে করমর্দন বদলে গেছে তর্জনী উঁচিয়ে রাখা হুংকারে। খেলার স্পিরিট যেখানে ‘নীরবে নিভৃতে কাঁদে’।
কেন তুলে নেওয়া হয়েছিল তিলক বর্মাকে? তিনি কি নিজেই রিটায়ার্ড আউট হয়েছেন? অথবা এর নেপথ্যে কি রয়েছে কোনও ‘শকুনির ষড়যন্ত্র’ বা ‘দাদাগিরি’? প্রশ্নগুলো সহজ, কিন্তু উত্তর! দুরূহ, ঠিক কোনও কষ্টকল্পিত বিষম বস্তুর মতো।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved