রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় বাঙালি হলেও, জাতি হিসেবে, বাঙালি নিতান্তই ইতিহাস-বিমুখ। সে আসলে কমই বোঝে রত্নের কদর; বিশেষত, সে রত্ন যদি বাংলার খনিতেই মেলে। পাঁচের দশকে, কলকাতায় তো বটেই, সম্ভবত, সারা ভারতে বারীন সাহার মতো সিনেমা-প্রশিক্ষিত ছিলেন না কেউ। জেল-খাটা বারীন যখন প্যারিসে ও রোমে এডিটিং আর সিনেমাটোগ্রাফি পড়ছেন, সেইসব ইন্সটিটিউটে তখন যাতায়াত করছেন জঁ রেনোয়া, ভিত্তোরিও দে সিকা।
বোধহয়, আমরা ভুলতে বসেছি– সলিল চৌধুরী, লেখকও। গান-কবিতা ছাড়াও, গল্প আর চিত্রনাট্য লিখেছেন তিনি। জমিজমা খুইয়ে, গ্রাম ছেড়ে, কলকাতার ভিড়ে জীবন-সংগ্রামের কাহিনি লিখলেন, ‘রিকশাওয়ালা’। পাঁচের দশক। ক’দিনের জন্য কলকাতায় এসেছেন বিমল রায়। বন্ধু, হৃষীকেশ মুখার্জী খবরটা দিলেন সলিলকে। লেক রোডে, বিমল রায়ের বাড়িতে পৌঁছলেন সলিল; সঙ্গে সদ্য লেখা স্ক্রিপ্ট। মন দিয়ে গোটাটা শুনে, রায়বাবু বললেন পরদিন সকালে আসতে। পরদিন এলেন সলিল; দেখলেন, সক্কালবেলার ফ্লাইটে প্রযোজক-পরিচালক ফিরে গেছেন বম্বে; জরুরি তলব এসেছে।
মুষড়ে পড়লেন সলিল। কিছুদিন আগেই, বাবাকে হারিয়েছেন। বাড়িতে অনেকগুলো পেট, কী করে চালাবেন সংসার! সপ্তা’খানেকের মধ্যে, টেলিগ্রাম এল: ‘স্ক্রিপ্ট পছন্দ হয়েছে; হিন্দিতে করতে চাইলে, জানাও।’ ‘না’ বলার জায়গায় নেই তখন সলিলের। বিমল রায় টিকিট পাঠালেন, বম্বে যাওয়ার। বাকি কথাবার্তার আগে, সলিল জানালেন, অ্যাডভান্স পেলে সুবিধে হত কিছু। খসখস চেক লিখে দিলেন বিমল রায়– ১,০০০ টাকা!
শুরু, ‘দো বিঘা জমিন’। অভিষেক হল লেখক ও সুরকার সলিল চৌধুরীর, হিন্দিতে। এরপর, আরও কাহিনি ও স্ক্রিপ্ট লিখলেন তিনি; হিন্দিতে, কানাড়াতে। ছয়ের দশকের মাঝামাঝি, সুযোগ পেলেন নিজে পরিচালনা করার। মুখ্য ভূমিকায় মীনা কুমারী, বলরাজ সাহানি, মেহমুদ। গীতিকার, শৈলেন্দ্র ও গুলজার। এডিটিংয়ে, হৃষীকেশ।
সমস্যা, শুটিংয়ে। ততদিনে, বহু ব্যক্তিগত ঝঞ্ঝাটে জড়িয়ে পড়েছেন মীনা কুমারী। অত্যধিক অ্যালকোহলের ছাপ চেহারায়, কাজে। এসব সামলে, গোলমাল সলিলের নিজের। না মন দিতে পারলেন লেখায়, না সংগীতে, না পরিচালনায়। গানগুলো জমল না, ফিল্মটাও নয়। মুখ থুবড়ে পড়ল ‘পিঞ্জরে কে পঞ্ছি’। সলিলও আর ফিরলেন না ফিল্মমেকিংয়ে।
রোজ একটা করে প্রেমপত্র লিখে, হাত মকশো হয়েছিল আবরার আলভির। অভিনেতা ইরশাদ হুসেনের গাড়ি চালিয়ে, গুরু দত্তের সেটে পৌঁছে দেওয়া– এই ছিল কাজ। একদিন, গুরু অবাক; অ্যাসিস্ট্যান্ট রাজ খোসলাকে ডায়লগের মারপ্যাঁচ নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন এক ড্রাইভার! ‘আর পার’, ‘পিয়াসা’-তে সংলাপ লেখার বরাত পেলেন আবরার, স্ক্রিপ্টেও দিলেন ইনপুট। কলেজে লেখা তাঁর নাটক, ‘মডার্ন ম্যারেজ’ নিয়ে, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস ফিফটি-ফাইভ’। দুর্ভাগ্য, কোথাও-ই ঠিকঠাক ক্রেডিট পেলেন না তিনি।
গুরুত্ব সহকারে প্রথম ক্রেডিট, গুরুর প্যাশন প্রোজেক্ট, ‘কাগজ কে ফুল’-এ। সুপার-ফ্লপ ফিল্ম। ভেঙে পড়লেও, দমলেন না গুরু। প্রিয় উপন্যাস ‘সাহেব বিবি গোলাম’-এর রাইটস পেতে, ডিস্ট্রিবিউটর সূর্য লাডিয়াকে পাঠালেন বিমল মিত্রের বাড়ি। সঙ্গে, ফ্লাইটের টিকিট। প্রস্তাব, থাকবেন গুরুর আলিসান বাংলোতেই; বাঙালি খাওয়াদাওয়ার কমতি হবে না, গীতা দত্তের দৌলতে। এড়িয়ে গেলেন লেখক; পরের বইটা লিখতে ব্যস্ত তিনি। লাডিয়া হাঁ, এরকম অফার কেউ ফেরাতে পারে! বহু কষ্টে রাজি করালেন, ট্রাঙ্ক-কলে একটু কথা বলতে।
ফোন, ৩ মিনিটের। গুরু বললেন, ‘রাইটস নাই-বা দিলেন, একবার বেড়াতে তো আসুন…’ বম্বে গিয়ে, বিমল মিত্র দেখলেন, গীতা সমেত সকলেই বলছেন ওই কাহিনি নিয়ে সিনেমা না বানাতে। কিন্তু, গুরুর গোঁ! একরোখা পাগলামিতে মুগ্ধ, ঔপন্যাসিক। খান্ডালার নিরালা ফার্মহাউজে, আবরারের সঙ্গে, স্ক্রিপ্ট বাঁধতে বসলেন তিনি। ‘গুরু দত্ত ফিল্মস’-এ, এই প্রথম, শুটিংয়ের আগে, দাঁড়াল সম্পূর্ণ স্ক্রিপ্ট। পুরো স্ক্রিপ্ট স্পুলে রেকর্ড করলেন আবরার। সব সংলাপ, বললেন নিজেই, যেভাবে অ্যাক্টররা বলবেন। আগে এ কাজ, যদিও, সেটে করতেন তিনি।
সকলেই মোটামুটি নিশ্চিত, পরিচালনা করবেন গুরুই। পিছিয়ে গেলেন তিনি। স্ট্রেস আর টেনশন কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছিল তাঁকে। ক্যামেরার সামনে আসতেও নারাজ তিনি তখন। এদিকে, ডেকেডুকে, মিটিংয়ে ৩ ঘণ্টা লেটে এলেন শশী কাপুর। আর, হিন্দিতে ডেবিউর অফার ফিরিয়ে দিলেন বিশ্বজিৎ। শেষমেশ, গোঁফ কামিয়ে, নায়ক, গুরুই। ডিরেক্টর হিসেবে, একে একে ভাবা হল সত্যেন বোস, নীতিন বোসের নাম। কিন্তু, প্রযোজক এগিয়ে দিলেন বন্ধু, আবরারকেই; কেবল গানের দৃশ্যগুলো রাখলেন নিজের হাতে। কলকাতায় এসে, আবরার শিখলেন বাঙালিয়ানা আর জমিদারির খুঁটিনাটি। শুট হল; রিলিজ হল; হিট হল ‘সাহিব বিবি অউর গুলাম’। প্রশংসা, প্রচুর। শুধু, কেউ বিশ্বাস করল না, পরিচালনা করেছেন আবরার। সারাজীবন সকলকে বলে, বুঝিয়ে, ক্লান্ত হয়ে গেলেন তিনি।
প্রোডিউসার এন. এন. সিপ্পি আপ্রাণ চাইতেন কাজ পাক নতুন প্রতিভা। ফ্লপ ডিরেক্টর রাজা নাওয়াথের কেরিয়ার বাঁচালেন যেমন, তেমনই সুযোগ দিলেন অশোক রায়ের মতো আনকোরা পরিচালককেও। অ্যাক্টিংয়ে সুবিধে করতে না পেরে, সুভাষ ঘাই ভাবলেন কাহিনিকার হবেন। কিন্তু, কে শুনবে এক ফ্লপ অ্যাক্টরের ঘ্যানঘ্যান! এন. এন. সিপ্পি শুধু শুনলেনই না; বললেন, ‘তুমিই ডিরেক্ট করো এটা।’ তৈরি হল ‘কালীচরণ’; মোড় ঘুরে গেল সুভাষ ঘাই আর শত্রুঘ্ন সিনহার জীবনের।
ছোটখাটো গুন্ডা-বদমাশের রোল করছিলেন ড্যানি ডেনজোংপা। এন. এন. সিপ্পির হাউজেই প্রথম বড়সড় ব্রেক– ‘চোর মাচায়ে শোর’ আর ‘কালীচরণ’। ব্যস্ততা বাড়ল ড্যানির। কিন্তু, ইন্ডাস্ট্রির যা নিয়ম, সব চরিত্র, স্টিরিওটাইপ। কস্টিউম, প্রপস, স্টাইল– সব এক। অভিনেতা, অবসন্ন। ছেড়েছুড়ে, পাহাড়ে চলে গেলেন তিনি, কয়েক বছর।
পাহাড়ে বসে, একটা গল্প এল মাথায়। ফিরেই, বললেন এন. এন. সিপ্পিকে। জহুরি প্রযোজক তাঁকেই দিলেন পরিচালনার সুযোগ। তৈরি হল জমাটি হরর-থ্রিলার ‘ফির ওহি রাত’। তারপর, ডিরেকশন দেওয়ার অফার এল আরও; কিন্তু, সব, ওই স্টিরিওটাইপ। মনিটরের সামনে আর বসলেন না ড্যানি।
মাদ্রাজ ক্রিশ্চান কলেজে, কেমিস্ট্রির লেকচারার, রামস্বামী গণেশন। সে কাজ ছেড়ে, ‘জেমিনি স্টুডিও’-তে প্রোডাকশন এক্সিকিউটিভ। চারের দশকের শেষে, ছোটখাটো চরিত্রে, পর্দায় এলেন রামস্বামী, ওরফে জেমিনি গণেশন। হ্যাঁ, স্টুডিওর নামেই তাঁর নামকরণ। কয়েক বছরেই, রোম্যান্টিক রোলে এমন মাতিয়ে তুললেন তামিলনাড়ু, অচিরে হয়ে উঠলেন ‘কাদল মান্নান’ (মানে, মহব্বতের মসিহা)।
শিশুশিল্পী কমল হাসান, ৬ বছর বয়সে, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেলেন ডেবিউতেই। সেই ‘কালাতুর কান্নাম্মা’-য় নায়ক, জেমিনি। খানিক বাৎসল্যই তাঁর, কমলের প্রতি। ‘ইদায়া মালার’ পরিচালনার সুযোগ পেয়ে, নায়কের ভূমিকায় বেছে নিলেন তরুণ কমলকেই। এদিকে, কাজের মাঝপথে, একদিন, প্রোডিউসারের সঙ্গে তুমুল ঝামেলা। রেগেমেগে, সেট ছেড়ে, সেই-যে বেরোলেন তিনি– ডিরেক্টরের চেয়ারে ফিরলেন না আর কোনওদিন। ‘ইদায়া মালার’-এর বাকি কাজ, ডিরেক্টর তামারাই মানালানের হাতে।
কাপুর খানদানে প্রশ্ন উঠল, আর. কে. ফিল্মসের জয়ধ্বজা কে নেবেন কাঁধে! রণধীর কাপুর রাজি নন। ‘প্রেম গ্রন্থ’ ফ্লপ হওয়ায়, ভরসা নেই রাজীব কাপুরকে। শেষমেশ, ঋষি কাপুরের কাছে পরিচালনার সুযোগ– ‘আ অব লউট চলেঁ’।
টাইটেলটা, রাজ কাপুরের ‘জিস দেশ মেঁ গঙ্গা বেহতি হ্যায়’-এর গান থেকে নেওয়া। মজার ব্যাপার, রাধু কর্মকারের পরিচালনায়, এটাই একমাত্র ফিল্ম। ‘জিস দেশ মেঁ গঙ্গা বেহতি হ্যায়’ আর ‘ববি’-তে ছিলেন প্রাণ। ঋষি চাইলেন, তাঁর ডিরেক্টোরিয়াল ডেবিউতেও তিনি থাকুন। সাবধান করলেন প্রাণ; বললেন, ‘বুড়ো হয়েছি, কখন কী হবে জানি না… শুটিংয়ের মাঝেই কিছু ঘটলে, কাজটা আটকে যাবে।’ বর্ষীয়ান অভিনেতার সততায়, বিহ্বল ঋষি। ওই চরিত্রে অভিনয় করলেন অলোক নাথ।
রাজ কাপুর খুব ভালোবাসতেন রাজেশ খান্নাকে; ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’-এ নায়ক ভেবেছিলেন কাকাকেই। বিরোধিতা, ঋষির। তাঁর অপছন্দ, রাজেশের স্টার-সুলভ হাবভাব। কাকা কিন্তু মনেপ্রাণে চাইতেন আর. কে. ফিল্মসের ব্যানারে অন্তত একটা কাজ করতে। নয়ের দশকে ঋষি যখন কাস্ট করলেন তাঁকে, খোলাখুলিই জানালেন সাতের দশকের সেই কাহিনি। সব অভিমান ভুলে, হাসিমুখে কাজ করলেন একসময়ের হার্টথ্রব রাজেশ। পরিচালনায় চিন্টু, এই একবারই। আর, আর. কে. ফিল্মসের শেষ সফর এটাই।
‘অঙ্কুশ’ আর ‘পরিন্দা’-র পর, নানা পাটেকারের কাছে শুধু নেগেটিভ চরিত্রের অফার। মনের মতো কাজ করতে, হাত দিলেন নিজের লেখায়, নিজের পরিচালনায়। প্রযোজনায়, সুধাকর বোকাডে। আর্মি অফিসারের চরিত্র জ্যান্ত করতে, মারাঠা লাইট ইনফ্যান্ট্রিতে, মিলিটারি ট্রেনিং নিলেন নানা। সকলে পইপই বলল, সাই পরাঞ্জপে ও অরুণ যোগলেকরের ছেলে, গৌতমকে মাধুরীর বিপরীতে না নিতে। নানা শুনলেন না।
নানার সঙ্গে, ‘প্রহার’-এ সহ-পরিচালনায়, লেখক নবেন্দু ঘোষের ছেলে, শুভঙ্কর ঘোষ। কাজ চলাকালীন নানা ও তাঁর নানা মত-বিরোধ। সেট ছেড়ে, একদিন, চলে গেলেন শুভঙ্কর। যদিও ক্রেডিটে নাম নেই তাঁর, তবে জনশ্রুতি, বেশ কিছু দৃশ্য তাঁরই প্রসূত। আরও কয়েকটা সিনেমা পরিচালনার কথা ঘোষণা করলেও, এখনও আর কিছু বানাননি নানা।
রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় বাঙালি হলেও, জাতি হিসেবে, বাঙালি নিতান্তই ইতিহাস-বিমুখ। সে আসলে কমই বোঝে রত্নের কদর; বিশেষত, সে রত্ন যদি বাংলার খনিতেই মেলে। পাঁচের দশকে, কলকাতায় তো বটেই, সম্ভবত, সারা ভারতে বারীন সাহার মতো সিনেমা-প্রশিক্ষিত ছিলেন না কেউ। জেল-খাটা বারীন যখন প্যারিসে ও রোমে এডিটিং আর সিনেমাটোগ্রাফি পড়ছেন, সেইসব ইন্সটিটিউটে তখন যাতায়াত করছেন জঁ রেনোয়া, ভিত্তোরিও দে সিকা।
নিমাই ঘোষের ‘ছিন্নমূল’ দেখে, উদ্বুদ্ধ বারীন লিখলেন ‘তেরো নদীর পারে’। প্রথমে, জুটল না প্রোডিউসার। কেউ বলেন, হেমেন গাঙ্গুলির প্রযোজনা; কেউ বলেন, পয়সা দিয়েছিলেন দাদা, রাজেন। অভিনয়ে প্রিয়ম হাজারিকা, জ্ঞানেশ মুখার্জী। সংগীতে, জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ। এডিটিংয়ে, দুলাল দত্ত।
‘তেরো নদী’ বা হলদি নদীর ধারে, তেরোপোখিয়া। এখানেই, আউটডোরে, শুট করলেন সম্পূর্ণ ফিল্ম। জায়গাটা তখন এতই দুর্গম, কলকাতার অ্যাক্টররা গিয়ে থাকতে রাজি হলেন না। কাস্ট পালটাতে হল বারবার; নিলেন স্থানীয় কিছু গ্রামবাসীকে; নিজে আস্তানা গাড়লেন সেখানেই, টানা ৮ মাস।
পুরো কাজ শেষ করেও, রিলিজ হল না ৯ বছর। কারণ? এক প্রভাবশালী ডিস্ট্রিবিউটরকে চটিয়ে ফেলেছেন ঠোঁটকাটা বারীন। রিলিজ হয়েও, যথারীতি, চলল না ফিল্ম। এই একমাত্র ফিচার ছাড়া, একটা শর্ট আর দুটো ডকুমেন্টারি বানালেন তিনি। সিনেমাটোগ্রাফিও করলেন কিছু। ইন্ডাস্ট্রির প্রতি, কলকাতার প্রতি, বীতশ্রদ্ধ বারীন ঠিক করলেন চলে যাবেন টোকিও। বাঁধাছাঁদা করছেন– এমন সময়, ডাক এল আদিবাসী শিশুদের পড়ানোর। আটের দশকে, দিনে ২৫ টাকা মাইনেতে, বাচ্চাদের পড়াতে চলে গেলেন তিনি, অজগাঁ নামালডিহায়।
পাঠক, একবার চোখ বন্ধ করে, ভিজুয়ালাইজ করুন, দিলখোলা বিদ্যালয়ে দু’হাত মেলে দাঁড়িয়ে আছেন বারীন সাহা। ছুটে আসছে ল্যাংটো, আধা-ল্যাংটো আদিম শিশুরা। আর, পৃথিবীর অন্যদিকে, ‘প্রহার’-এর শেষ দৃশ্যে, নানা পাটেকার ফাইনাল করছেন মান্না দে-র গলায়: ‘হামারি হি মুটঠি মেঁ আকাশ সারা/ জব ভি খুলেগি চমকেগা তারা…’
…পড়ুন ফ্ল্যাশব্যাক-এর পুরনো পর্ব…
ফ্ল্যাশব্যাক পর্ব ২১: ফিল্মমেকার ভূপেন হাজারিকাকে বাঙালি এখনও কদর করেনি
ফ্ল্যাশব্যাক পর্ব ২০: যোগ্য নায়ক আর ফান্ড পেলে কমল হাসান শেষ করবেন তাঁর স্বপ্নের কাজ
ফ্ল্যাশব্যাক পর্ব ১৯: ঘুটঘুটে জঙ্গলের ভেতর ১৫-২০ হাজার আদিবাসী হাঁ করে দেখছে, হ্যাঁ, ডকুমেন্টারি
ফ্ল্যাশব্যাক পর্ব ১৮: রাজ কাপুরের স্টুডিওতে ঢুকতে চান? রাধু কর্মকারের নাম বলুন
ফ্ল্যাশব্যাক পর্ব ১৭: যে ছায়ার আলোতে বড় হয়েছেন শ্রীদেবী, রজনীকান্ত, কমল হাসান
ফ্ল্যাশব্যাক পর্ব ১৬: যাদের ১৮ হয়নি, তারা এসব বুঝবে না; আর, যাদের ১৮ হয়েছে, তারা মজা পাবে
ফ্ল্যাশব্যাক পর্ব ১৫: পারিশ্রমিকের কথা না ভেবেই নপুংসকের চরিত্রে কাজ করতে চেয়েছিলেন শাহরুখ খান
ফ্ল্যাশব্যাক পর্ব ১৪: ‘আমি গানের দোকান খুলতে আসিনি’, যশ চোপড়াকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ‘দিল চিজ ক্যা হ্যায়’-এর গীতিকার
ফ্ল্যাশব্যাক পর্ব ১৩: পায়ে বেত মেরে নাচাতে হল অমিতাভ বচ্চনকে
ফ্ল্যাশব্যাক পর্ব ১২: মেনস্ট্রিম হিরোদের ঘায়েল করেছিল শাকিলার ঢেউ
ফ্ল্যাশব্যাক পর্ব ১১: লকআপে বসে স্টোরিটেলিংয়ের জোরে পুলিশকে বন্ধু বানিয়েছিলেন রাম গোপাল বর্মা
ফ্ল্যাশব্যাক পর্ব ১০: ‘টেররিস্ট’ সন্দেহে গ্রেফতার, পরে ‘ভক্ত কবির’-এ অভিনয়ের জন্য ভিড় জমেছিল প্রণামের
ফ্ল্যাশব্যাক পর্ব ৯: টিপ টিপ বরসা পানি ও বুক ঢিপ ঢিপ নাইন্টিজ
ফ্ল্যাশব্যাক পর্ব ৮: অমিতাভ বচ্চনকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি যে হোটেলে
ফ্ল্যাশব্যাক পর্ব ৭: শচীন দেব বর্মনের ‘ভাটিয়ালি’ শুনলেই, হো হো হাসতেন রাহুল আর কিশোর
ফ্ল্যাশব্যাক পর্ব ৬: বর্ষা এনেছিল দেব আনন্দের ‘গাইড’
ফ্ল্যাশব্যাক পর্ব ৫: ভারতের প্রথম অভিনেতা যিনি সেক্রেটারি রেখেছিলেন
ফ্ল্যাশব্যাক পর্ব ৪: ‘আমির খান কে? প্রশ্নটা করুন আপনার পাশের বাড়ির কিশোরীকে।’
ফ্ল্যাশব্যাক পর্ব ৩: যে কারণে নাসিরউদ্দিনের বেজায় গুসসা হয়েছিল!
ফ্ল্যাশব্যাক পর্ব ২: বাতের ব্যথাই ছিল হৃষীকেশের অস্ত্র
ফ্ল্যাশব্যাক পর্ব ১: অন্তর্বাস ছাড়াই প্রথম শুটিংয়ে ধর্মেন্দ্র, রেগে কাঁই ড্রেসার