ছেলেবেলায় বিলেতের মেয়েদের বিচারের তরুণ রবির বাইরের চোখটিই হয়ে উঠেছিল মুখ্য, পরিণত রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘ল্যাবরেটরি’ গল্পে সোহিনীকে বিচার করলেন ভেতরের চোখ দিয়ে। তার রূপের মায়াজাল, মোহজাল এসবই বাইরের কোঠায়– সেই বিচারে বোঝা যাবে না তাকে। প্রয়াত স্বামীর বিজ্ঞানসাধনার পরীক্ষাগারকে বাঁচিয়ে রাখাই তার অন্তরের সাধনা, সেটিকে দেখা চাই।
৩২.
সাহিত্যে সাবালক হওয়ার পর রবীন্দ্রনাথের নিজের সেই বইটির প্রতি ‘ধিক্কার জন্মেছিল’। স্বীকার করেছিলেন বিশ্বকে খোঁচা মেরে আপন অস্তিত্ব প্রমাণ করার ঔদ্ধত্য পেয়ে বসেছিল তাঁকে। তবে সতেরো বছর বয়সে পড়াশোনায় ‘ফাঁকিবাজ’ রবিকে উদ্বেগপরায়ণ গুরুজনেরা সিভিল সার্ভিসের রঙ্গভূমিতে ঠেলে দেওয়ার জন্য যখন বিলেত পাঠালেন তখন রবির কলমে গদ্য নতুন রূপ নিল। সাধু ভাষার চাল ছেড়ে চলিত ভাষায় লেখা পত্রসাহিত্যগ্রন্থ ‘য়ুরোপ-প্রবাসীর পত্র’। অকপটে সে দেশের সমাজ-সংস্কৃতির যে বিবরণ তিনি দিয়েছিলেন তাতে ‘পলিটিক্যাল কারেক্টনেস’ খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিলিতি সমাজের আদব-কায়দা সম্পর্কে নানারকম তির্যক মন্তব্য– পরিণত রবীন্দ্রনাথের অভিমত ‘চিঠি যেগুলো লিখেছিলুম তাতে খাঁটি সত্য বলার চেয়ে খাঁটি স্পর্ধা প্রকাশ পেয়েছে প্রবল বেগে। বাঙালির ছেলে প্রথম বিলেতে গেলে তার ভালো লাগবার অনেক কারণ ঘটে। সেটা স্বাভাবিক, সেটা ভালোই। কিন্তু কোমর বেঁধে বাহাদুরি করবার প্রবৃত্তিতে পেয়ে বসলে উলটো মূর্তি ধরতে হয়। বলতে হয়, আমি অন্য পাঁচজনের মতো নই, আমার ভালো লাগবার যোগ্য কোথাও কিছুই নেই। সেটা যে চিত্তদৈন্যের লজ্জাকর লক্ষণ এবং অর্বাচীন মূঢ়তার শোচনীয় প্রমাণ, সেটা বোঝবার বয়স তখনো হয়নি।’ এসব হয়তো পরিণত স্থিতধী রবীন্দ্রনাথের ভদ্রজনোচিত আত্মসমালোচনা। খুবই অনিবার্য। তবে ভদ্রতার বাইরে তির্যক হাস্যের জগতেও যে একেবারে সত্য থাকে না তাই বা বলা যাবে কেমন করে? সত্যের তো নানারূপ। যিনি যেখান থেকে, যে সামাজিক অবস্থান থেকে, দৃশ্যবস্তুকে দেখছেন তাই তো নির্মাণ করছে তাঁর বিবরণের যাথার্থ। তাই তীক্ষ্ণ সমালোচকের দৃষ্টিতে লেখা তরুণ রবির বিলাত-বিচারের কাছে পাঠকেরা ফেরেন। শুধু কি বিলেতের সামাজিকতার ত্রুটি বিচারের জন্য পাঠকের সেই ফেরা? না তা নয়। গুরুদেবের আবরণের বাইরে তরুণ রবিকেও তো চিনতে চাইবেন তাঁরা। সে চেনার উপায় পত্রিকার পাতায় প্রকাশিত চলিত ভাষার চিঠিগুলিতে আছে। গ্রন্থাকারে প্রকাশের সময় ভদ্রতার দাবিতে নানা অংশ বাদ পড়েছিল। তবে তরুণ রবির মনের খবর পেতে মনোযোগী পাঠককে পত্রিকার ‘অসম্পাদিত’ ‘আনকাট’ ভার্সান পড়তে হবে। সেই বিবরণে বিলিতি মেয়েদের যেভাবে দেখেছেন তিনি সেই দেখা মেয়েদের পক্ষে যে অপমানজনক তা বুঝে নিজের দেখার চোখকে শুধরেও নিয়েছেন।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
সত্যের তো নানারূপ। যিনি যেখান থেকে, যে সামাজিক অবস্থান থেকে, দৃশ্যবস্তুকে দেখছেন তাই তো নির্মাণ করছে তাঁর বিবরণের যাথার্থ। তাই তীক্ষ্ণ সমালোচকের দৃষ্টিতে লেখা তরুণ রবির বিলাত-বিচারের কাছে পাঠকেরা ফেরেন। শুধু কি বিলেতের সামাজিকতার ত্রুটি বিচারের জন্য পাঠকের সেই ফেরা? না তা নয়। গুরুদেবের আবরণের বাইরে তরুণ রবিকেও তো চিনতে চাইবেন তাঁরা। সে চেনার উপায় পত্রিকার পাতায় প্রকাশিত চলিত ভাষার চিঠিগুলিতে আছে। গ্রন্থাকারে প্রকাশের সময় ভদ্রতার দাবিতে নানা অংশ বাদ পড়েছিল। তবে তরুণ রবির মনের খবর পেতে মনোযোগী পাঠককে পত্রিকার ‘অসম্পাদিত’ ‘আনকাট’ ভার্সান পড়তে হবে।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
কেমন ছিল তরুণ রবির বিলিতি নাচের পারঙ্গমতা? একদিক থেকে বিলেতে রবীন্দ্রনাথ মহাত্মা গান্ধীর থেকে নাচে ভালো পারফর্ম করেছিলেন। গান্ধীর অকপট স্বীকারোক্তি নাচের ক্ষেত্রে তিনি একেবারেই পরাভূত। রবীন্দ্রনাথের নাচ সঙ্গিনী-সাহচর্যের উপর নির্ভরশীল। ‘আমি নতুন লোকের সঙ্গে বড়ো মিলে মিশে নিতে পারি নে, যে-নাচে আমি একেবারে সুপণ্ডিত, সে-নাচও নতুন লোকের সঙ্গে নাচতে পারি নে।’ তবে সঙ্গিনী যদি পরিচিত হন? ‘Miss অমুকের সঙ্গে আমার বেশ আলাপ ছিল, আর তাঁকে বেশ দেখতে, তাঁর সঙ্গে আমি gallop নেচেছিলেম, তাই জন্য তাতে আমার কিছু ভুল হয়নি।’ নাচের ক্ষেত্রে শুধু কি চেনা-অচেনা? সৌন্দর্যের ভূমিকা কি গৌণ? ‘ কিন্তু Miss অমুকের সঙ্গে আমি নেচেছিলেম, তাঁর সঙ্গে আমার আলাপ ছিল না, আর তাঁকে বিশ্রী দেখতে – তাঁর চোখ দুটো বের-করা, তাঁর গাল দুটো মোটা, দাড়ির দিকটা অত্যন্ত ছোটো, সব চেয়ে তাঁর স্বভাব খিট্মিটে – তাঁর সঙ্গে নাচতে গিয়ে যত প্রকার দোষ হওয়া সম্ভব তা ঘটেছিল।’ এই সমস্ত বাক্য যে মনের পরিচয় দিচ্ছে তা ‘অকপট’– তবে এই অকপটতা তো একদিক দিয়ে মানুষকে ‘অপর’ হিসেবে দেখার ভুল থেকে উঠে আসছে। পরাভূত নেটিভ ভারতবর্ষের প্রতিনিধি হিসেবে বিজয়ী ইংরেজ সমাজকে তীব্র সমালোচনার চোখে দেখছেন। বিশেষ করে মেয়েদের সম্পর্কে তরুণ রবির মনোভঙ্গির সঙ্গে পরিণত রবীন্দ্রনাথের মনোভঙ্গির অনেক পার্থক্য, প্রকাশের ভাষা ও রূপও বদলে যাচ্ছে।
বিলেতে ‘শিকারী’ মেয়েদের বর্ণনা দিতে গিয়ে তরুণ রবি লিখেছিলেন, ‘যেমন অনেক শিকারী খাবার জন্যে পাখি মারতে যায় না, তাদের বন্দুকের লক্ষ সিদ্ধ বলে আরাম পায় – হৃদয় অধিকার করতে এঁরাও সেই আরাম পান।’ এখানেই থামেননি। লিখেছিলেন, ‘এ দেশের মেয়েরা পিয়ানো বাজায়, গান গায়, আগুনের ধারে আগুন পোয়ায়, সোফায় ঠেসান দিয়ে নভেল পড়ে, ভিজিটরদের সঙ্গে আলাপচারি করে ও আবশ্যক ও অনাবশ্যক মতে যুবকদের সঙ্গে flirt করে – এই তো আমার অভিজ্ঞতা।’
আর পরিণত রবীন্দ্রনাথ? তিনি কিন্তু তাঁর তরুণবেলার ‘সেক্সিস্ট’ (Sexist) দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে সমর্থ হয়েছিলেন। জীবনের প্রান্তবেলায় লিখলেন ‘ল্যাবরেটরি’র মতো গল্প। সেখানে সোহিনীর সঙ্গে পরিচিত হলেন পাঠক। সোহিনী তাঁর মৃতস্বামীর পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছিল, ‘সকল রকম সায়ান্সেই সারা জীবন আমার স্বামীর মন ছিল মেতে। তাঁর নেশা ছিল বর্মা চুরুট আর ল্যাবরেটরি। আমাকে চুরুট ধরিয়ে প্রায় বর্মিজ মেয়ে বানিয়ে তুলেছিলেন। ছেড়ে দিলুম, দেখলুম পুরুষদের চোখে খটকা লাগে। তাঁর আর-এক নেশা আমার উপর দিয়ে জমিয়েছিলেন। পুরুষরা মেয়েদের মজায় বোকা বানিয়ে, উনি আমাকে মজিয়েছিলেন বিদ্যে দিয়ে দিনরাত।’ বাহ্য চুরুটের ধুম ছেড়ে স্বামীর বিদ্যায় মজা সোহিনীর ছিল ক্যারেকটারের তেজ। রবীন্দ্রনাথের মতে তার বাইরে রিয়ালিজম্ অন্তরে আইডিয়ালিজম্। ছেলেবেলায় বিলেতের মেয়েদের বিচারের তরুণ রবির বাইরের চোখটিই হয়ে উঠেছিল মুখ্য, পরিণত রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘ল্যাবরেটরি’ গল্পে সোহিনীকে বিচার করলেন ভেতরের চোখ দিয়ে। তার রূপের মায়াজাল, মোহজাল এসবই বাইরের কোঠায়– সেই বিচারে বোঝা যাবে না তাকে। প্রয়াত স্বামীর বিজ্ঞানসাধনার পরীক্ষাগারকে বাঁচিয়ে রাখাই তার অন্তরের সাধনা, সেটিকে দেখা চাই। সোহিনী বলেছে, ‘আজন্ম তপস্বিনী নই আমরা। ভড়ং করতে করতে প্রাণ বেরিয়ে গেল মেয়েদের। দ্রৌপদীকুন্তীদের সেজে বসতে হয় সীতাসাবিত্রী। একটা কথা বলি আপনাকে চৌধুরীমশায়, মনে রাখবেন, ছেলেবেলা থেকে ভালোমন্দ-বোধ আমার স্পষ্ট ছিল না। কোনো গুরু আমায় তা শিক্ষা দেননি। তাই মন্দের মাঝে আমি ঝাঁপ দিয়েছি সহজে, পারও হয়ে গেছি সহজে। গায়ে আমার দাগ লেগেছে কিন্তু মনে ছাপ লাগে নি। কিছু আমাকে আঁকড়ে ধরতে পারে নি। যাই হোক, তিনি যাবার পথে তাঁর চিতার আগুনে আমার আসক্তিতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন, জমা পাপ একে একে জ্বলে যাচ্ছে। এই ল্যাবরেটরিতেই জ্বলছে সেই হোমের আগুন।’
এই সোহিনীকে নির্মাণ করার সময় প্রান্তবেলায় কি রবীন্দ্রনাথ মনে রেখেছিলেন তাঁর তরুণবেলার বিলাতবাসিনীদের? ভারতীয় সোহিনী বাঙালি নয়। তার অভিজ্ঞতার ঝুলি বাস্তবের নানা অভিঘাতে পূর্ণ। নারী হিসেবে শরীরের মায়া-মোহর জগৎ তার চেনা। তবে সেখানেই আটকে যায়নি– শরীরে দাগ লাগলেও, মনে ছাপ পড়েনি। এই যে নারী মনের সাধনাকে বোঝা সম্ভব হল রবীন্দ্রনাথের পক্ষে তার পেছনে কি তরুণবেলার সেই দৃষ্টিস্মৃতি শোধন করার দায়িত্ব কাজ করে গেল?
…ছাতিমতলা-র অন্যান্য পর্ব…
ছাতিমতলা পর্ব ৩১: ভোটের মঞ্চে উড়ছে টাকা, এসব দেখে কী বলতে পারতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ৩০: শিক্ষিত ভদ্রলোকের ‘নাগরিকত্ব’ বিষয়ক ভাবনার সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষের যোগ তৈরি হচ্ছে না, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ২৯: কলকাতার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের অপ্রেম রয়েছে যেমন, তেমনই রয়েছে আবছায়া ভালোবাসা
ছাতিমতলা পর্ব ২৮: মনের ভাঙাগড়া আর ফিরে-চাওয়া নিয়েই মধুসূদনের ভাষা-জগৎ– রবীন্দ্রনাথেরও
ছাতিমতলা পর্ব ২৭: বাংলা ভাষা কীভাবে শেখাতে চাইতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ২৬: ‘খানিক-রবীন্দ্রনাথ-পড়া’ প্রৌঢ়ের কথায় রবীন্দ্রনাথের প্রেম চেনা যাবে না
ছাতিমতলা পর্ব ২৫: সুকুমার রায় যে অর্থে শিশু-কিশোরদের মনোরঞ্জন করতে পারতেন, রবীন্দ্রনাথ তা পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২৪: বিশ্বভারতীর ছাপাখানাকে বই প্রকাশের কারখানা শুধু নয়, রবীন্দ্রনাথ দেশগঠনের ক্ষেত্রেও কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ২৩: ধর্মবোধের স্বাধিকার অর্জনের কথা মনে করিয়ে দিয়েও রবীন্দ্রনাথ দেশের মানুষের সাম্প্রদায়িক মনকে মুক্ত করতে পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২২: রামায়ণে রাম-রাবণের যুদ্ধ রবীন্দ্রনাথের কাছে ছিল গৌণ বিষয়
ছাতিমতলা পর্ব ২১: রবীন্দ্রনাথ পড়ুয়াদের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজতেন, চাঁদের আলোয় গান গাইতেন
ছাতিমতলা পর্ব ২০: সুভাষচন্দ্র বসুকে তীব্র তিরস্কার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ!
ছাতিমতলা পর্ব ১৯: আবেগসর্বস্ব ধর্ম ও রাজনীতির বিরোধিতা করে অপ্রিয় হয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ১৮: রবীন্দ্রনাথ কখনও গীতাকে যুদ্ধের প্রচারগ্রন্থ হিসেবে বিচার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১৭: ক্রিকেটের রাজনীতি ও সমাজনীতি, দু’টি বিষয়েই তৎপর ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৬: রবীন্দ্রনাথ কি ক্রিয়েটিভ রাইটিং শেখানোর কিংবা কপি এডিটিং করার চাকরি পেতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ১৫: কবি রবীন্দ্রনাথের ছেলে হয়ে কবিতা লেখা যায় না, বুঝেছিলেন রথীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৪: ছোট-বড় দুঃখ ও অপমান কীভাবে সামলাতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ১৩: পিতা রবীন্দ্রনাথ তাঁর কন্যা রেণুকার স্বাধীন মনের দাম দেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১২: এদেশে ধর্ম যে চমৎকার অস্ত্রাগার, রবীন্দ্রনাথ তা অস্বীকার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১১: কাদম্বরীকে বঙ্গজ লেখকরা মুখরোচক করে তুলেছেন বলেই মৃণালিনীকে বাঙালি জানতে চায়নি
ছাতিমতলা পর্ব ১০: পাশ্চাত্যের ‘ফ্যাসিবাদ’ এদেশেরই সমাজপ্রচলিত নিষেধনীতির প্রতিরূপ, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৯: দেশপ্রেম শেখানোর ভয়ংকর স্কুলের কথা লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, এমন স্কুল এখনও কেউ কেউ গড়তে চান
ছাতিমতলা পর্ব ৮: অসমিয়া আর ওড়িয়া ভাষা বাংলা ভাষার আধিপত্য স্বীকার করে নিক, এই অনুচিত দাবি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথও
ছাতিমতলা পর্ব ৭: বাঙালি লেখকের পাল্লায় পড়ে রবীন্দ্রনাথ ভগবান কিংবা ভূত হচ্ছেন, রক্তমাংসের হয়ে উঠছেন না
ছাতিমতলা পর্ব ৬: যে ভূমিকায় দেখা পাওয়া যায় কঠোর রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৫: চানঘরে রবীন্দ্রসংগীত গাইলেও আপত্তি ছিল না রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৪: যে রবীন্দ্র-উপন্যাস ম্যারিটাল রেপের ইঙ্গিতবাহী
ছাতিমতলা পর্ব ৩: ‘রক্তকরবী’র চশমার দূরদৃষ্টি কিংবা সিসিটিভি
ছাতিমতলা পর্ব ২: ‘পলিটিকাল কারেক্টনেস’ বনাম ‘রবীন্দ্র-কৌতুক’
ছাতিমতলা পর্ব ১: ‘ডাকঘর’-এর অমলের মতো শেষশয্যা রবীন্দ্রনাথের কাঙ্ক্ষিত, কিন্তু পাননি