শেয়াল বা কুকুরের হাহাকার যখন ভেদ করে রাতের নিস্তব্ধতা তখন মানুষের মনে জাগে অসুবিধেজনক বিরক্তি আর সুরক্ষিত নিশ্চিন্তি হারানোর ভয়। কিন্তু মজার কথা হল, এই কাঁচা এবং আদিম কান্না আসলে এমন প্রাণীদেরই কণ্ঠস্বর, যারা আমাদের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে বিশ্বাসের বন্ধনে আবৃত ছিল সেই শুরুর দিন থেকে। তবু হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ তাদেরই কান্নাকে দুর্ভাগ্য, মৃত্যু বা অতিপ্রাকৃত অশান্তির সংকেত হিসেবে বুনেছে কী ভীষণ নগ্ন নির্লজ্জতায়। নেকড়ে বা শেয়াল তাদের তীক্ষ্ণ ডাকে জঙ্গল আর সমতলভূমির ওপর প্রতিধ্বনিত করে সাবধানবাণী। কুকুর মানুষের গৃহপালিত আত্মীয় হলেও সে কেঁদেছে যতবার, বিশ্বজোড়া লোককথা আর ঐতিহ্য অন্যায়ভাবে তাকে চিত্রিত করেছে ‘অপয়া’ বলে।
১৫.
একটা সময় ছিল যখন মেয়ে পালিয়ে বা ছেলে বেজাতের বিয়ে করলে ত্যাজ্য করে দিতেন বাড়ির লোক। মা-বাবারা অভিশাপ দিয়ে বলতেন, ‘তোর দুঃখে শেয়াল-কুকুর কাঁদবে’। শেয়াল বা কুকুরের কান্না নিয়ে মানবজাতির যা দুচ্ছাই, তা কেবল শ্লাঘা নয় একরকম মোটা দাগের অসংবেদনশীলতার নজিরও বটে। যে প্রাণী মানুষের কোনও পাকা ধানে মই দেয়নি কোনও দিন, বরং মানুষই ভাগ বসিয়েছে যার খাদ্য আর বাসস্থানে, তার কষ্টের কান্নাকে অপয়ার কারণ বানিয়ে অভিশাপ হিসেবে ছুড়ে দিতে যতটা সংকীর্ণ হতে হয়, তা একমাত্র মানুষের পক্ষেই সম্ভব।
শেয়াল বা কুকুরের হাহাকার যখন ভেদ করে রাতের নিস্তব্ধতা তখন মানুষের মনে জাগে অসুবিধেজনক বিরক্তি আর সুরক্ষিত নিশ্চিন্তি হারানোর ভয়। কিন্তু মজার কথা, এই কাঁচা এবং আদিম কান্না আসলে এমন প্রাণীদেরই কণ্ঠস্বর, যারা আমাদের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে বিশ্বাসের বন্ধনে আবৃত ছিল সেই শুরুর দিন থেকে। তবু হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ তাদেরই কান্নাকে দুর্ভাগ্য, মৃত্যু বা অতিপ্রাকৃত অশান্তির সংকেত হিসেবে বুনেছে কী ভীষণ নগ্ন নির্লজ্জতায়। নেকড়ে বা শেয়াল তাদের তীক্ষ্ণ ডাকে জঙ্গল আর সমতলভূমির ওপর প্রতিধ্বনিত করে সাবধানবাণী। কুকুর মানুষের গৃহপালিত আত্মীয় হলেও সে কেঁদেছে যতবার, বিশ্বজোড়া লোককথা আর ঐতিহ্য অন্যায়ভাবে তাকে চিত্রিত করেছে ‘অপয়া’ বলে। ওদের হাহাকার, যা আসলে বেঁচে থাকা, আত্মীয়তা আর আকাঙ্ক্ষার জন্য ছিল, তা মৃত্যু, বিপর্যয় বা অতিপ্রাকৃত অশান্তির সংকেত হিসেবে বিকৃত হয়েছে মানুষের অজুহাতে।
প্রাচীন মেসোপটেমিয়ায়, খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ সালের কাছাকাছি, নেকড়েরা মানুষের বসতির প্রান্তে ঘুরে বেড়াত, তাদের হাহাকার ছিল অজানা জগতের এক শ্রুতিমধুর স্মারক। এই কান্না কেবল শব্দই ছিল না– এটি ছিল অঞ্চলের প্রতি অধিকার জ্ঞাপন, ঐক্য আর বেঁচে থাকার বার্তা। কিন্তু সুমেরীয় ও ব্যাবিলনীয়দের কাছে, যারা প্রকৃতির প্রতিটি শব্দে অর্থ খুঁজত, নেকড়ে বা শেয়ালের হাহাকার হয়ে উঠল একটি ঐশ্বরিক সতর্কতা। পুরোহিতরা প্রাণীর আচরণকে ভবিষ্যদ্বাণী হিসেবে তালিকাভুক্ত করলেন, এবং নেকড়ে বা শেয়ালের ভৌতিক কান্নাকে বিশৃঙ্খলার সঙ্গে করলেন যুক্ত। তাঁরা অশিক্ষিত মানুষের মনে ঢুকিয়ে দিলেন বিষ, যাতে শেয়ালের যন্ত্রণা-বিদারক কান্না হয়ে ওঠে আক্রমণ বা দুর্ভিক্ষ আগমনের সংকেত। কুকুর ততদিনে হয়ে উঠেছে গৃহপালিত আর রক্ষক হিসেবে মূল্যবান। তখনও পর্যন্ত তাদের ঘেউ ঘেউ ছিল পরিচিত এবং সান্ত্বনাদায়ক। কিন্তু যখন কুকুর হাহাকার করত তার পূর্বপুরুষের মতো, মেসোপটেমিয়ানরা হয়ে উঠত অস্থির। তারা মনে করত, এ আসলে কোনও অপ্রাকৃত কিছুর ইঙ্গিত। এই প্রাণীদের কষ্ট বা আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে চাওয়া হয়ে উঠল দুঃখের সংবাদবাহক, হৃদয়বিদারক অপয়ার চিহ্ন।
……………………………
খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ সালের কাছাকাছি, নেকড়েদের পৌরাণিক কাহিনিতে শক্তি ও বিপদের প্রতীক হিসেবে বোনা হয়েছিল। তারা যুক্ত হয়েছিল ভবিষ্যদ্বাণী ও ধ্বংসের দেবতা অ্যাপোলোর সঙ্গে। মন্দিরের কাছে, নিস্তব্ধ রাতে নেকড়ের হাহাকারকে ঐশ্বরিক সতর্কতা বা বলা ভালো যুদ্ধংদেহী ঐশ্বরিক ক্রোধের আভাস হিসেবে ধরে নেওয়া হত। কুকুরের ভূমিকাও ছিল জটিল। তারা মানুষের বাড়ি ও দ্বারপ্রান্ত পাহারা দিত তবু তাদের হাহাকার ছিল বিরক্তিকর অস্থিরতা।
…………………………….
মানবজাতি যতটা ছড়িয়ে পড়ল, নেকড়ের ভৌতিক খ্যাতিও ছড়িয়ে গেল তার পিছন পিছন। খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দে, প্রাচীন ইন্দো-ইউরোপীয় উপজাতি ও প্রোটো-নেটিভ আমেরিকানরা তাদের বিশাল অপ্রতিরোধ্য ভূমিতে নেকড়েদের মুখোমুখি হত অহরহ। এদের কাছে নেকড়ের হাহাকার কেবল বন্যের ডাক ছিল না, ছিল আলোর বাইরে লুকিয়ে থাকা বিপদের স্মারক। কিছু নেটিভ আমেরিকান উপজাতি যেমন গ্রেট প্লেইনসের, শিবিরের কাছে নেকড়ের কান্নাকে শত্রুর আগমন বা আধ্যাত্মিক ভারসাম্যহীনতার সতর্কতা হিসেবে দেখত, যদিও অন্যরা এটিকে পূর্বপুরুষের কণ্ঠ হিসেবে যে শ্রদ্ধা করত এমন নিদর্শনও পাওয়া যায়। কুকুর তখন শিকার ও পাহারার সঙ্গী। এই ভয়ের ছায়া তারাও বহন করতে শুরু করল যখন তারা হাহাকার করলে একটি বিরল, নেকড়ের মতো শব্দ জাগাত অবিকল অস্থিরতা। যেন তাদের পূর্বপুরুষের বন্য আত্মা ভেদ করে উঠছে তাদের বাধ্য শরীরে। এই প্রাণীরা অবশ্য তাদের পালের সঙ্গে সংযোগ করতে বা বিপদের সতর্কতা দিতে চাইছিল শুধু, তবুও তাদের কণ্ঠস্বর দুর্ভাগ্যের বার্তার মতো অপয়ার সংকেত হিসেবে বিকৃত হল।
প্রাচীন গ্রিসে, খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ সালের কাছাকাছি, নেকড়েদের পৌরাণিক কাহিনিতে শক্তি ও বিপদের প্রতীক হিসেবে বোনা হয়েছিল। তারা যুক্ত হয়েছিল ভবিষ্যদ্বাণী ও ধ্বংসের দেবতা অ্যাপোলোর সঙ্গে। মন্দিরের কাছে, নিস্তব্ধ রাতে নেকড়ের হাহাকারকে ঐশ্বরিক সতর্কতা বা বলা ভালো যুদ্ধংদেহী ঐশ্বরিক ক্রোধের আভাস হিসেবে ধরে নেওয়া হত। কুকুরের ভূমিকাও ছিল জটিল। তারা মানুষের বাড়ি ও দ্বারপ্রান্ত পাহারা দিত তবু তাদের হাহাকার ছিল বিরক্তিকর অস্থিরতা। রাতে কুকুরের কান্না, তার বন্য আত্মীয়ের মতো, মৃত্যু বা আত্মার উপস্থিতির ইঙ্গিত দিত ফিসফিস করে। হেসিওডের ‘ওয়ার্কস অ্যান্ড ডেস’-এ প্রাণীর আচরণকে ভবিষ্যদ্বাণী হিসেবে উল্লেখ করা হয় এবং কুকুরের হাহাকার যে নেকড়ে বা শেয়ালের কাছাকাছি ভৌতিক ছায়া ফেলত, এ নিয়ে সবিস্তারে লেখাও হয়।
প্রাচীন চিনে, ঝাউ থেকে হান রাজবংশের সময় (খ্রিস্টপূর্ব ৫০০-২০০ খ্রিস্টাব্দ) নেকড়ে বিরল হলেও ভীতির কারণ ছিল। তাদের হাহাকার তাওবাদী ও আদিম বিশ্বাসে অতিপ্রাকৃতের সঙ্গে যুক্ত ছিল। নেকড়ের কান্না এখানেও আধ্যাত্মিক অশান্তি বা দুর্ভাগ্যের সংকেত বলেই মনে করা হত কারণ, এ এমন এক আর্তির কণ্ঠস্বর ছিল, যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারত না মানুষ। কুকুর ছিল রক্ষক হিসেবে মূল্যবান, কিন্তু তাদের হাহাকারও অচিরেই এই কলঙ্ক বহন করতে শুরু করল। রাতে তাদের কান্না, বিশেষ করে, মৃত্যু বা ভূতের উপস্থিতির সংকেত বলে বিবেচিত হত, সম্ভবত কারণ এটি নেকড়ে বা শেয়ালের ভৌতিক ডাকেরই আরেকটি প্রতিধ্বনি ছিল। ‘ঝুও ঝুয়ান’-এর মতো গ্রন্থে প্রাণীর শব্দকে ভবিষ্যদ্বাণী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে তাই কুকুরের হাহাকার আদিম নেকড়ের মতোই ভয় জাগাত। এটি একটি করুণ স্মারক যে, যখন এই প্রাণীরা নিজেদের প্রকৃতি প্রকাশ করতে চাইছিল তখন তাদের শুধু ভুল বোঝাই হল না, তাদের কণ্ঠস্বরকে অনিষ্টকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হল।
প্রাচীন জাপানে, নারা যুগে (৩০০-৮০০ খ্রিস্টাব্দ) আবার নেকড়েরা শিন্টো ঐতিহ্যে দেবতার দূত হিসেবে শ্রদ্ধেয় ছিল। তবু তাদের হাহাকার ছিল প্রায়ই রোগ বা ঐশ্বরিক অসন্তোষের সতর্কতা। কুকুর, শিকার ও পাহারায় ব্যবহৃত হওয়া সত্ত্বেও হাহাকার করলে একই রকম ভার বহন করতে শুরু করল। গ্রামে রাতে কুকুরের কান্নাও ছিল নেকড়ের মতো দুর্ভাগ্যের পূর্বাভাস। মধ্যযুগে (১০০০-১৫০০ খ্রিস্টাব্দ), ইউরোপের খ্রিস্টান দৃষ্টিকোণ নেকড়ের চিত্রকে আরও অন্ধকার করল। নেকড়েদের শয়তান বা পৌত্তলিক শক্তির প্রতীক হিসেবে দেখা হত। গ্রামের প্রান্তে ঘুরে বেড়ান, তাদের হাহাকার, এসবই ছিল মৃত্যু, প্লেগ বা যুদ্ধের ভয়ংকর পূর্বাভাস। ব্ল্যাক ডেথের সময়, যখন নেকড়েরা মানুষের বসতির কাছে লুটপাট করত, তাদের কান্না লোককথায় দুর্ভাগ্যের সংকেত হিসেবে খোদিত হয়েছিল বেস্টিয়ারি ও ক্রনিকল-এ। কুকুর যেহেতু তখন মানুষের জীবনে অবিচ্ছেদ্য, তাই এই ভয় বহন করতে শুরু করল। রাতে কুকুরের হাহাকার দীর্ঘস্থায়ী হলে মনে করা হত মৃত্যু বা অতিপ্রাকৃত অশান্তির সংকেত যা ‘ম্যালিয়াস ম্যালেফিকারাম’-এর মতো গ্রন্থেও নথিভুক্ত ছিল। স্লাভিক ও জার্মানির কাহিনিতে, হাহাকার করা কুকুর আত্মা দেখতে পায় বা দুর্যোগের পূর্বাভাস দেয় বলে মনে করা হত। দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষ করে ভারতে একই সময়ে, নেকড়ে ও শেয়াল শ্মশান এবং মা কালীর সঙ্গে যুক্ত হল। উত্তরের পাহাড়ে যেমন নেকড়ের হাহাকার বিপর্যয়ের সতর্কতা ছিল সেখানে কুকুরের হাহাকার, বিশেষ করে রাতে, গৃহে মৃত্যুর পূর্বাভাস বলে বিশ্বাস করা হত। গ্রামীণ লোককথা, মৌখিক ঐতিহ্যে সংরক্ষিত, কুকুরের কান্নাকে উপেক্ষা না করার সতর্কতা দিত। কুকুর হিন্দু প্রেক্ষাপটে দেবতার সঙ্গী হিসেবে শ্রদ্ধেয় হওয়া সত্ত্বেও তার হাহাকার ছিল ভীতিকর। তাদের শেয়ালের মতো কান্না জীবন ও মৃত্যুর রহস্যের সঙ্গে লড়াই করা সংস্কৃতিতে জাগিয়ে তুলত প্রাচীন ভয়।
…………………………
ফলো করুন আমাদের ওয়েবসাইট: রোববার.ইন
…………………………
প্রারম্ভিক আধুনিক যুগে (১৫০০-১৮০০ খ্রিস্টাব্দ), আমেরিকায় ইউরোপীয় বসতি স্থাপনকারীরা তাদের নেকড়ে-সম্পর্কিত ভয় সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিল। বিশাল বন্যপ্রাণীতে শোনা নেকড়ের হাহাকার ছিল বিপদের সংকেত– হয়তো আদিবাসী আক্রমণ বা কঠিন শীত। কুকুর, সীমান্ত জীবনে অপরিহার্য হলেও হাহাকার করলে একই কলঙ্ক বহন করতে শুরু করল। নেটিভ আমেরিকান উপজাতিদের আবার মিশ্র দৃষ্টিভঙ্গি ছিল: কেউ কেউ নেকড়ের হাহাকারকে আধ্যাত্মিক সতর্কতা হিসেবে দেখত, অন্যরা দেখত পবিত্র ডাক হিসেবে। কিন্তু কুকুরের হাহাকার, কম হলেও লক্ষণীয় ক্রমশ অশুভ হিসেবে দেখা হত ইউরোপীয় ভয়ের মিশ্রণে।
আধুনিক যুগে প্রত্যন্ত গ্রামে শেয়াল, কুকুরের কান্না এখনও শক্তিশালী অশুভ সংকেত। প্রায়ই তা যুক্ত হয় মৃত্যুর সঙ্গে। মনুষ্য সমাজে নেকড়ে এখন বিরল তাই শেয়াল আর কুকুর তাদের কান্নায় এই কুসংস্কারকে উত্তরাধিকার সূত্রে ধারণ করে চলেছে। ওরা যতবার নিজেরা ব্যথা পেয়েছে, ভয় পেয়েছে, মানুষের গাড়ি চাপা পড়া মৃত সন্তানের জন্য ডুকরে উঠেছে, মানুষ গন্ধ পেয়েছে অলক্ষণের। যে মনিব নিজের পোষ্য কুকুরকে একা রেখে বেড়িয়ে যান আর যে কুকুর সেই মনিবের সাময়িক বিচ্ছেদে হাহাকার করে ডেকে ওঠে নিষ্পাপ ভালোবাসায়, সে ভালোবাসার আর্তি মনিবের প্রতিবেশীদের কাছে হয়ে ওঠে বিরক্তির কারণ। দার্জিলিং চায়ে চুমুক দিয়ে কেউ বলে ওঠে ‘উফ! কী অলক্ষীর মতো ডেকে যাচ্ছে দেখ কুকুরটা’। কুকুর বেচারা জানেই অনেক কিছুর মতোই কাঁদার অধিকারও তার থেকে বহু আগেই কেড়ে নিয়েছে মানুষ।
……………..অপয়ার ছন্দ অন্যান্য পর্ব……………..
পর্ব ১৪। অকারণে খোলা ছাতায় ভেঙে পড়েছে পাবলিক প্লেসে চুমু না-খাওয়ার অলিখিত আইন
পর্ব ১৩। দলবদলু নেতার মতো ধূমকেতু ছুটে চলে অনবরত
পর্ব ১২। কখনও ভয়ংকর, কখনও পবিত্র: দাঁড়কাক নিয়ে দোদুল্যমান চিন্তা!
পর্ব ১১। শুধু একটা হ্যাঁচ্চো– বলে দেবে কীভাবে বাঁচছ
পর্ব ১০। অপয়ার ছেলে কাঁচকলা পেলে
পর্ব ৯। চোখের নাচন– কখনও কমেডি, কখনও ট্র্যাজেডি!
পর্ব ৮। জুতো উল্টো অবস্থায় আবিষ্কার হলে অনেক বাড়িতেই রক্ষে নেই!
পর্ব ৭। জগৎ-সংসার অন্ধ করা ভালোবাসার ম্যাজিক অপয়া কেন হবে!
পর্ব ৬। প্রেম সেই ম্যাজিক, যেখানে পিছুডাক অপয়া নয়
পর্ব ৫। ডানা ভাঙা একটি শালিখ হৃদয়ের দাবি রাখো
পর্ব ৪। জন্মগত দুর্দশা যাদের নিত্যসঙ্গী, ভাঙা আয়নায় ভাগ্যবদল তাদের কাছে বিলাসিতা
পর্ব ৩। পশ্চিম যা বলে বলুক, আমাদের দেশে ১৩ কিন্তু মৃত্যু নয়, বরং জীবনের কথা বলে
পর্ব ২। শনি ঠাকুর কি মেহনতি জনতার দেবতা?
পর্ব ১। পান্নার মতো চোখ, কান্নার মতো নরম, একা
রতন থিয়ামকে প্রথম দেখেছিলাম ‘নান্দীকার’-এর জাতীয় উৎসবে। যখন আমরা ‘হয়ে উঠছি’, আমাদের যৌবনে, তখন জাতীয় নাট্যোৎসবে জব্বর প্যাটেল, বিজয় মেহ্তা– সব ধরনের পরিচালকের কাজ দেখেছি। কিন্তু রতন থিয়ামের কাজ দেখে একেবারে ‘থ’ মেরে গিয়েছিলাম।