জীবনের শেষ অবস্থায় মুমূর্ষু ইনায়েত খাঁকে সম্রাট জাহাঙ্গীরের ইচ্ছায় আগ্রায় নিয়ে আসার হুকুম হল। অবিশ্বাস্য চেহারা দেখে হতবাক সম্রাট সুদক্ষ শিল্পীকে নিযুক্ত করলেন ইনায়েত খাঁর জীবনের অন্তিম মুহূর্ত ছবিতে ধরে রাখতে। ঠিক এইখানেই শিল্পীর ভূমিকায় নেমে পড়লেন পরিতোষ সেন। ওঁর জাদুটি দেখালেন। পরিতোষদা এখানে প্রথম ছবিটার ওপরে আলো ফেলে লেখাটি লিখেছেন। ভাষা সংযত, একেবারে বঙ্কিমী না হলেও ইতিহাসের গন্ধমাখা অনেকটা সাধু ভাষায় সে লেখা। ইনায়েতকে মডেল হিসেবে নিয়ে গেলেন মনের স্টুডিওতে।
৩.
পরিতোষ সেনের ছবি দেখার আগে পড়তে শুরু করেছি ওঁর লেখা। তখন ছবি দেখার চোখ তৈরি হয়নি। আর্ট কলেজ থেকে বেরোনোর আরও কিছুদিন পরে গ্যালারিতে গিয়ে ছবি দেখলাম। গত শতকের সাতের দশকের কথা, তখনও ঠিকমতো প্রাতিষ্ঠানিক শিল্পকলার আঙ্গিক এবং প্রথাগত শিল্পের বাইরে ভাঙাচোরা তেমন জোরদার শুরু হয়নি আমাদের এখানে। আরও একটা ঘটনা, আমার যেহেতু মগজের পুষ্টি ঘটেছে গ্রামে, তাই শহর জীবনে অন্য শহুরে বন্ধুদের মতো প্রথাগত শিল্পের বাইরের শিল্পকর্ম দেখার মন একদম তৈরি হয়নি। পরিতোষ সেনকে চিত্রশিল্পী হিসেবে জানতাম। চাক্ষুষ দেখেছি বিভিন্ন শিল্প প্রদর্শনীতে মাঝে মধ্যে। সুপুরুষ চেহারা, সুঠাম, দীর্ঘদেহী। সাহেবদের মতো নাক, আর গাল জোড়া মাইকেল মধুসূদন-এর মতো বড়সড় জুলফি। আমাদের ছেলেদের চোখে তো সুন্দর, মেয়েদের চোখে আরও সুপুরুষ, সুন্দর ছিলেন এই মানুষটি। উল্টোদিকে পরিতোষ সেন সুন্দরী মেয়ে দেখতে পছন্দ করতেন বৃদ্ধ বয়সেও, এরকমই হাসিঠাট্টার গল্প অহীদা মানে অহীভূষণ মালিকের মুখে শুনে আমরা ছোটবেলায় লজ্জা পেতাম। রঙিন মেজাজি জীবন।
শুনেছি ঢাকার জন্মস্থান ত্যাগ করে মাদ্রাজে শিল্পশিক্ষা শেষ করে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে পাঁচের দশকে থিতু হন কলকাতায়। আরও জেনেছি, ক্যালকাটা গ্রুপের কথা, সেখানে ওঁর প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া, সে আমার জন্মের আগের ঘটনা। দেশ-বিদেশের শিল্পকর্ম আর পুরনো ওল্ড মাস্টারদের, এমনকী, প্যারিসে পাবলো পিকাসোর মতো শিল্পীদের কাজ সরাসরি তাঁদের স্টুডিওতে দেখে উনি নিজের মতো করে একটি আঙ্গিক রপ্ত করেছেন, যেটা ওঁর সহজাত। রেখার বলিষ্ঠতা, কম্পোজিশনের জোর, সামাজিক সহজ চরিত্রের নাটকীয়তার জন্য ওঁর চিত্রকলা দেখে ভালো লাগা শুরু হল, মুগ্ধ হচ্ছি ধীরে ধীরে। আলাদাভাবে ছবি তৈরি বা চিত্রভাষা তৈরি হয়, সেটা পরে বুঝলাম। শুধু তাই নয়, পরিতোষ সেনের মতো তৎকালীন ভারতীয় শিল্পের আধুনিকীকরণের পুরোধা সিনিয়র শিল্পী গ্যালারিতে পশ্চিমের ঢঙে, এখনকার মতো যাকে আমরা বলি ‘ইনস্টলেশন আর্ট’ সেই মেজাজের আউট অফ বাউন্ডারি, আউট অফ দ্য ফ্রেম জাতীয় শিল্পকর্ম কলকাতায় প্রদর্শনী করে ফেললেন।
শহর জীবনের কুফল স্বরূপ এবং বন্ধুবান্ধবদের পাল্লায় পড়ে আর মানুষটির সরলতার সুযোগ নিয়ে পরিতোষ সেনকে আমরা ‘পরিতোষদা’ বলা শুরু করেছি। এহেন পরিতোষদার কাছাকাছি আসা বা ঘনিষ্ঠ হওয়ার মূলে আছে ওঁকে জড়িয়ে আমার লেখা দু’টি চিঠি। এই প্রসঙ্গে একটু বলে নিই, আমাদের তখন চিঠি লেখার বয়স। সবে স্কুল জীবনের পত্রমিতালী পর্ব চুকিয়ে, রেডিও-তে ছায়াছবির গানের আর অনুরোধের আসরের চিঠি ছেড়ে কলেজ জীবনে বন্ধু-বান্ধবীদের কাছে চিঠি লেখার একটা হিড়িক, একটা রচনাকারের মন কাজ করছে। পত্রপত্রিকায় চিঠিপত্র বিভাগে লেখার নেশা চলছে তখন। তখনও এখনকার মতোই সমালোচনার ঝড় বয়ে যেত, বিশেষ করে দেশ পত্রিকায় যখন বিদেশি শিল্পীদের ন্যুড ছবি ব্যবহার করা হত, তখন পাঠকদের মধ্যে থেকে একটা বিরোধিতা শুরু হয়ে যেত। কারণ ‘দেশ’ ছিল পারিবারিক পত্রিকা। বাড়িতে ছোট বড় সবার সামনেই টেবিলে বা বিছানার উপরে দেশ পড়ে থাকে, তার মলাটে নগ্ন ছবি? সেটা অশ্লীল বা অসভ্যতা হিসেবেই পাঠকরা নিলেন। আমরা যারা ছবি আঁকি, তারা আবার পাঠকদের বিরোধিতা করে দেশে চিঠি লেখা শুরু করলাম। এমনকী, আমি মাঝে মাঝে ‘ইলাস্ট্রেটেড লেটার‘ মানে লেখার সঙ্গে এক আধটু ছবিও এঁকে পাঠাতাম, ছবি সমেত সে চিঠি ছাপা হত। মনে পড়ছে একটা ছবি এঁকেছিলাম আমাদের কালী ঠাকুরের। ছবিতে মায়ের বুকে একটি কালো পট্টি। নগ্নতার সেন্সর। নিচে লেখা ছিল ‘পত্র লেখকের চাপে মা যাহা হইবেন’।
পরিতোষ সেনকে জড়িয়ে দু’টি চিঠির কথা বলছিলাম। তখন নতুন নতুন প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছি। সেবার হয়েছে কী, বিড়লা অ্যাকাডেমিতে সর্বভারতীয় শিল্পকলার প্রতিযোগিতায় আমার ছবি সিলেক্ট হল। দারুণ আনন্দ কিন্তু ক্যাটলগে নাম আছে অথচ দেওয়ালে আমার ছবি নেই। ভীষণ মনখারাপ হল। সে সময়ে আমি কলকাতার বাইরে ছিলাম। ফিরে এসে দেখা করলাম ডিরেক্টর অর্চনা রায়ের সঙ্গে। নালিশ জানালাম। পরের দিন গোডাউন থেকে ছবি এসে দেওয়ালে ঝুলল। প্রদর্শনী শেষ হতে তখন দিনদুয়েক আর বাকি। শুরু থেকে যারা দেখেছে তারা দেখতে পেল না ছবিটি আর অন্য কোনও প্রদর্শনীতেও দেওয়া চলবে না নিয়ম মতে। কারণ কোনও অল ইন্ডিয়া লেভেলের প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া ছবি আর একটা প্রদর্শনীতে কম্পিটিশনে দেওয়া যায় না। অতএব রাগ এবং রাগের প্রকাশ হল দেশ পত্রিকায় চিঠি লেখা। চিঠির ভাষা এমনই ছিল– একদিকে ছবিটা বাসি হয়েছে আর অন্যদিকে সেই কম্পিটিশনে কলকাতার ডাকসাইটে শিল্পীদল ‘সোসাইটি অফ কন্টেম্পোরারি আর্টিস্টস‘ এর শিল্পী ধর্মনারায়ণ দাশগুপ্তের ছবিকে দেওয়া হয়েছে পুরস্কার। সেটি আবার বছর তিন চারেকের আগের পুরনো ছবি। বিচারকদের গাফিলতি। প্রদর্শনীর নিয়ম, কোনও কাজ দু’বছরের বেশি পুরনো হওয়া চলবে না।
সেটাও একটি মস্ত অসোয়াস্তির কারণ। চিঠির শেষে লিখলাম, এমনটি যার ক্ষেত্রে ঘটবে তারই রাগ হবে। আমারও রাগ হয়েছে, ব্যস্।
ব্যস্ তো হল কিন্ত জল অনেকদূর গড়িয়েছিল। তার কারণ সেবারের বিচারক ছিলেন পরিতোষ সেন আর প্রতিযোগিতায় যিনি পুরস্কার পাচ্ছেন তিনি সোসাইটি অফ কন্টেম্পোরারি আর্টিস্টস-এর সদস্য। অতএব দুটো বড় জায়গা থেকে আমার দিকে নজর। পরিতোষদা ঘোষণা করে দিলেন– ছেলেটিকে আমার কাছে নিয়ে আয়, আমি ওর কান ধরে একটি থাপ্পড় মারব। ভয়ে কিছুদিন রাস্তায় বের হতে পারছি না। সোসাইটির শ্যামলদা, শ্যামল দত্তরায় আমাকে স্নেহ করতেন, তিনি আলাদা করে ডেকে একদিন বললেন– তুমি রাস্তায় একটু সাবধানে চলো দলের মধ্যে কিন্তু অনেক কথা হচ্ছে তোমাকে নিয়ে। অ লা চৌ মানে অমরেন্দ্রলাল চৌধুরী নামে আর একজন জনপ্রিয় শিল্পী, যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে প্রিন্টিং টেকনোলজি পড়াতেন পরিতোষদার মতোই। তিনিও বললেন, তোমাকে কিন্তু একটু সাবধানে থাকা উচিত। এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ভয়ে ভয়ে গিয়েছিলাম পরিতোষদার ল্যান্ডস ডাউন রোডের বাড়িতে। ওঁর মুখের ভাব দেখে মনে হয়েছিল কিছুই হয়নি। আর ওই চিঠির দৌলতে আমি পেলাম পরিতোষদার সান্নিধ্য, ভালোবাসা আর চাটার পরিবর্তে চা-টা।
ওঁর আত্মজীবনীমূলক বই ‘জিন্দাবাহার’ তখনও পড়া হয়নি। ‘ইনায়েত খাঁর মৃত্যু অথবা একটি মহান শিল্পকর্মের জন্ম’ এই শিরোনামে দেশ পত্রিকায় এক অসাধারণ সুন্দর লেখা প্রকাশিত হল পরিতোষদার। লেখাটা খানিকটা কল্পবিজ্ঞান বা আমরা যাকে সায়েন্স ফিকশন বলি সেই আঙ্গিকের। এখানে বিজ্ঞানভিত্তিক না হয়ে একটা কল্পশিল্প বা শিল্পকর্ম আশ্রিত লেখা। আশ্রয়– ব্যতিক্রমী মুঘল মিনিয়েচারের দু’টি ছবি। একটি, ছবির প্রাথমিক খসড়া। সরু তুলির ড্রইং, নামমাত্র রং, মূলত ধূসর বর্ণের। অন্যটি রঙিন। মুঘল শৈলীর ছবিখানি ১৬১৮ সালে কাগজে গুয়াশে আঁকা। ছোট্ট ছবিটি উচ্চতা এবং চওড়ায় সাড়ে বারো আর সাড়ে পনেরো সেন্টিমিটার। আফিম এবং মদিরায় শেষ হয়ে যাওয়া ইনায়েত খাঁর অন্তিম মুহূর্তের হৃদয়স্পর্শী, করুণ দৃশ্য। অসাধারণ ছবিখানিতে ইনায়েত খাঁর পাশ ফেরানো মুখ, শীতল নীল চোখ, ধড় এবং হাত-পা সবই নিদারুণ ভাবে ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। ছবির মানুষটি তবুও এখনও একজন দরবারীর মতো, চূড়ান্ত বিদায়বেলার মর্মান্তিক স্থিরতা।
জীবনের শেষ অবস্থায় মুমূর্ষু ইনায়েত খাঁকে সম্রাট জাহাঙ্গীরের ইচ্ছায় আগ্রায় নিয়ে আসার হুকুম হল। অবিশ্বাস্য চেহারা দেখে হতবাক সম্রাট সুদক্ষ শিল্পীকে নিযুক্ত করলেন ইনায়েত খাঁর জীবনের অন্তিম মুহূর্ত ছবিতে ধরে রাখতে। ঠিক এইখানেই শিল্পীর ভূমিকায় নেমে পড়লেন পরিতোষ সেন। ওঁর জাদুটি দেখালেন। পরিতোষদা এখানে প্রথম ছবিটার ওপরে আলো ফেলে লেখাটি লিখেছেন। ভাষা সংযত, একেবারে বঙ্কিমী না হলেও ইতিহাসের গন্ধমাখা অনেকটা সাধু ভাষায় সে লেখা। ইনায়েতকে মডেল হিসেবে নিয়ে গেলেন মনের স্টুডিওতে। সন্তর্পণে বসানো হল একটি শক্তপোক্ত বেদিতে। না শোয়া না বসার মাঝামাঝি খানিকটা অর্ধশায়িত অবস্থায় রাখতে আয়োজন করা হল একটি বড়সড় তাকিয়ার। সেটাকে মূল সাপোর্ট হিসেবে রাখা হল ইনায়েতের পিছনে। জমির সমান্তরালে নয়, ঈষৎ হেলানো অবস্থায়। হেলানো তাকিয়া যাতে পড়ে না যায় তার জন্য ছোট এবং মাঝারি সাইজের আরও দু’টি কুশনের প্রয়োজনমত আয়োজন। বিশ্রামে রইলেন ইনায়েত কিন্তু গোল বাঁধল ছবির কম্পোজিশনের ক্ষেত্রে। অত বড় তাকিয়া তায় হেলানো অবস্থায় ছবিতে চঞ্চলতার সৃষ্টি হয়েছে। সোয়াস্তি আনতে পায়ের কাছে এবং পিছনে দেওয়ালে আরও দু’টি বড় তাকিয়া, বারবার হেলানোর দিক পাল্টে তৈরি হল সুরেলা দৃশ্য। জমি বিভাজনের খেলায় গুঁজে দেওয়া হল আরও কিছু বড় ছোট কুশন। হাতদুটো পায়ের ওপর থেকে সরিয়ে কোলের বলিশের ওপর রাখা হল। ইনায়েত খাঁর বিশ্রাম অথবা দর্শকের চোখের আরাম। বুকের মাঝে যাতে হাওয়া লাগে সে বাহানায় পোশাক খোলা রাখা। এইখানেই শীর্ণ শরীরের অ্যানাটমির ব্যবহার ছবিতে আনল পশ্চিমি আঙ্গিক। জাহাঙ্গীরের সময়ে ভারতীয় ধারার ছবির পথ পরিবর্তন শুরু, শাহজাহানের কালে এই প্রবণতা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়। অতএব, ব্যতিক্রমী মুঘল মিনিয়েচার, ব্যতিক্রমী আঙ্গিক আর পরিতোষ সেনের শ্রেষ্ঠ কল্পনা আশ্রিত ব্যতিক্রমী বিবরণধর্মী লেখা।
ইনায়েত খাঁর মৃত্যু বিষয়ে রচনাটি প্রকাশের কিছুদিন বাদে জয়পুরের মহারাজা সওয়াই মানসিং মিউজিয়ামের তৎকালীন ডিরেকটর দেশ পত্রিকায় চিঠিতে পরিতোষ বাবুর লেখার ঐতিহাসিক সত্যতা নিয়ে সমালোচনা করলেন। সেই চিঠিতে পরিতোষ সেনকে ছবি সম্পর্কে জ্ঞান ইত্যাদি নিয়ে আক্রমণ। ছবির ভূগোল ইতিহাস সম্পর্কে যা কিছু বলছেন তা অনেক বিকৃত, এই সুরেই নিন্দাসূচক চিঠিটি ছিল। আসলে পাঠক এটা যে একটা কল্পনার ফসল, এটা যে ছবিটার সত্যিকারের নির্মাণ বিবরণ নয় সেটা ধরতে পারেননি। আমি পত্র লেখকের বিরোধিতা করে একখানা লম্বা চিঠিতে উত্তর দিয়েছিলাম। সেখানে বলেছিলাম, ‘ইহা যে একটি অভূতপূর্বক সাহিত্যকর্ম তাহাতে সন্দেহ নাই। শুধুমাত্র বুঝিতে না পারার জন্য একজনকে দোষারোপ না করিয়া ইহা যে ঐতিহাসিক লেখা নহে একটি শিল্পকর্মের আশ্রয় লইয়া ফিকশন লেখা হইয়াছে, নিচে সেইরূপ একটি লাইন লিখিয়া দিলে হয়তো ল্যাটা চুকিয়া যাইত’। চিঠিতে আমি মজার সাধু ভাষা ব্যবহার করেছিলাম। কারণ পরিতোষদার ওই লেখাটাও সাধু ভাষায় ছিল।
লেখার শুরুতে পরিতোষদার কাছে আসার সূত্র হিসেবে যে দুটো চিঠির উল্লেখ করেছিলাম, তার দ্বিতীয় চিঠির গল্প বললাম। খুব সম্ভবত উনি সেই সময়ে প্যারিসে ছিলেন। পরে পরিতোষদা বলেছিলেন, ভ্যান গঘের চেয়ার নিয়ে ওই মেজাজে আর একটা ফিকশন লেখা লিখবেন। আগেরবারের রাগ ভুলে এবার আমাকে আদর করলেন পরিতোষদা। দেমাক আর অহংকার ছাপিয়ে চারিত্রিক সরলতাকেই প্রাধান্য দিতেন পরিতোষ সেন। বলতেন সহজ আর সত্যটাই শিল্পীর আশ্রয় হওয়া উচিত। আর প্রশংসা কার না ভালো লাগে। ওই যে কথায় আছে, নিন্দায় বিচলিত হয় না এমন মানুষ বহু, কিন্তু প্রশংসায় বিচলিত হয় না এমন মানুষ জগতে বিরল।
……………………………………………………….
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার.ইন
……………………………………………………….
… পড়ুন ‘মুখ ও মণ্ডল’-এর অন্যান্য পর্ব …
পর্ব ২: সব ছবি একদিন বের করে উঠোনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলাম, বলেছিলেন অতুল বসু
পর্ব ১: শুধু ছবি আঁকা নয়, একই রিকশায় বসে পেশাদারি দর-দস্তুরও আমাকে শিখিয়েছিলেন সুনীল পাল