জোড়াসাঁকোর বাড়িতে তখন বিরাট ধুম করে দুর্গাপুজো হত। দ্বারকানাথের নেমন্তন্ন গেল এস্থারের কাছে। পুজোর শুরুতে তাকে উপস্থিত থাকতে হবে। ওপরে চিকের আড়ালে মেয়েরা বসে। দেবীর প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে। ভিড়ে ভিড়। মেয়েদের ভিড়ে আমাদের ঠাকুমা। আর তোমাদের চেয়েও স্মার্ট!
২৯.
ঠাকুরবাড়ির একটা বাতিক অসহ্য লাগে জ্ঞানদানন্দিনীর। একসঙ্গে ছবি তোলার বাতিক। কলকাতার বিখ্যাত কোম্পানি বোর্ন অ্যান্ড শেফার্ড। ছবি তোলার কোম্পানি। সকাল থেকে হাজির ছবি তোলার জন্য। পেল্লাই একটা ক্যামেরা। তার মধ্যে কাচের প্লেট ঢুকিয়ে ছবি তোলার পর্ব। এক একটা ছবি তুলতে যে কতক্ষণ সময় লাগে। ফটোগ্রাফার ঢুকে যায় একটা কালো কাপড়ের তলায়। সেখানে ঢুকতে পারে না একফোঁটা সূর্যি। ঢুকেছে আলো তো সব গেল!
এবার এই কালো কাপড়ের তলায় অদৃশ্য সায়েব ফটোগ্রাফারের সামনে দাঁড়াও পোজ দিয়ে। আমার সবচেয়ে বিচ্ছিরি লাগে এই ব্যাপারটা, ভাবে জ্ঞানদা। কেন বিচ্ছিরি লাগে জান?
–কেন? কিঞ্চিৎ অবাক হয়ে জানতে চায় জ্যোতিরিন্দ্র।
–ওভাবে স্বাভাবিক হওয়া যায়?
–নিশ্চয় যায়।
–না যায় না, নিশ্চিত যায় না, বলে জ্ঞানদা।
–আমি কী রকম লাঠি নিয়ে বসে উদাস দৃষ্টিতে পোজ দিলাম, দেখলে না? ন্যাচারাল হয়নি? কোথাও আড়ষ্টতা আছে?
–সবটাই অস্বাভাবিক। লাঠি নিতে গেলে কেন? তোমার কি লাঠি নেবার বয়স হয়েছে নতুন?
–বয়েসের সঙ্গে লাঠির কী সম্পর্ক? ওটা তো স্টাইল স্টেটমেন্ট। আমার ঠার্কুদা প্রিন্স দ্বারকানাথ কত কম বয়সে লাঠি ধরেছিল জান?
কী মানিয়েছিল, সেটা বলো।
–উনি তো ইংরেজ নটীর সঙ্গে প্রেম করেছিলেন, তুমিও সেই পথে যাচ্ছ নাকি ঠাকুরপো?
–তুমি প্রিন্সের জীবনে এস্থারের.. গপ্পটা জান? খুব ট্রাজিক। দ্বারকানাথ ডেসপারেটলি ইন লাভ।
–হাউ ডেসপারেটলি? হেসে প্রশ্ন করে জ্ঞানদা।
–তুমি তো জান, প্রিন্স ছিলেন প্রবল হিন্দু। জোড়াসাঁকোর বাড়িতে তখন বিরাট ধুম করে দুর্গাপুজো হত। দ্বারকানাথের নেমন্তন্ন গেল এস্থারের কাছে। পুজোর শুরুতে তাকে উপস্থিত থাকতে হবে। ওপরে চিকের আড়ালে মেয়েরা বসে। দেবীর প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে। ভিড়ে ভিড়। মেয়েদের ভিড়ে আমাদের ঠাকুমা। আর তোমাদের চেয়েও স্মার্ট!
–স্মার্ট! সেকালের বাঙালি গৃহবধূ স্মার্ট? জ্ঞানদা কিছুটা হতভম্ব।
–স্মার্ট তো বটেই। আল্ট্রামর্ডানও বলতে পারো। না হলে সেই সময়ে স্বয়ং প্রিন্স দ্বারকানাথকে ডিভোর্স করার দুঃসাহস দেখাতে পারেন?
–কী বলছ তুমি ঠাকুরপো? তোমার ঠাকুমা বিবাহবিচ্ছেদ করেছিলেন? যতসব আষাঢ়ে গপ্প!
–অবশ্যই বিয়ে ভেঙে ছিলেন আমাদের ঠাকুমা। এই কারণেই তো ঠাকুমাকে জোড়াসাঁকোর বাড়ির হিরোইন ভাবি। আনসারপাসেবল হিরোইন।
–আমি জানি না তো এ-গল্প!
–জানবে কী করে বউঠান? এসব হল ঠাকুরবাড়ির গোপন কেচ্ছা। দ্য স্কেলিটন ইন দ্য কাবার্ড। বহু যত্নে ঘেরাটোপের আড়ালে আছে।
–বলো বলো। ভেরি ইন্টারেস্টিং। মিথ্যে বলবে না কিন্তু।
–সামান্য রং চড়াতেও পারব না?
– নো ওয়ে। নাথিং বাট দ্য ট্রুথ।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
এস্থার এল ঠাকুর্দার নেমন্তন্নে তাঁর পাঠানো ঘোড়ার গাড়িতে। বছর কুড়ির অসামান্য সুন্দরী অভিনেত্রী এস্থার। কলকাতার মঞ্চে ইংরেজি নাটকে অভিনয় করে এস্থার। আর এস্থারকে দেখতে প্রায় প্রতিদিন থিয়েটারে যান জোড়াসাঁকোর প্রিন্স। সে-গল্প তখন টক অফ দ্য টাউন! এস্থারের গলায় হিরের নেকলেস, হাতে হিরের বালা, কানে আর আঙুলে হিরে। কারও বুঝতে অসুবিধে হল না, কলকাতার কোন পুরুষ পড়েচে এস্থারের প্রেমে। ঠাকুমা চিকের আড়াল থেকে সব দেখলেন, বুঝলেন।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
এ-কথা বলে দক্ষিণের হাওয়ায় উড়ে যাওয়া আঁচলটাকে বাগে এনে জ্ঞানদা ঠাকুরবাড়ির ছাদের নিভৃত প্রিয় কোণে জোতিরিন্দ্রর বাহুতে হেলান দেয়।
–তা হলে শোনো। এস্থার এল ঠাকুর্দার নেমন্তন্নে তাঁর পাঠানো ঘোড়ার গাড়িতে। বছর কুড়ির অসামান্য সুন্দরী অভিনেত্রী এস্থার। কলকাতার মঞ্চে ইংরেজি নাটকে অভিনয় করে এস্থার। আর এস্থারকে দেখতে প্রায় প্রতিদিন থিয়েটারে যান জোড়াসাঁকোর প্রিন্স। সে-গল্প তখন টক অফ দ্য টাউন! এস্থারের গলায় হিরের নেকলেস, হাতে হিরের বালা, কানে আর আঙুলে হিরে। কারও বুঝতে অসুবিধে হল না, কলকাতার কোন পুরুষ পড়েচে এস্থারের প্রেমে। ঠাকুমা চিকের আড়াল থেকে সব দেখলেন, বুঝলেন। কিন্তু আরও এক আঘাত অপেক্ষা করছিল তাঁর জন্য।
–সে কী গো? আবার কী আঘাত? জ্ঞানদার কণ্ঠে কৌতুকী আগ্রহ!
–প্রাণ প্রতিষ্ঠা করার সময় কেঁপে উঠলেন ঠাকুরবাড়ির প্রাচীন পুরোহিত। দুর্গার মুখ আর এস্থারের মুখ প্রায় হুবহু এক। শুনেছি, ঠাকুমা সম্বিত হারিয়ে ছিলেন। এবং কদিনের মধ্যেই ঠাকুর্দার কাছ থেকে বিচ্ছেদ চাইলেন।
–বিচ্ছেদ চাইলেন মানে? হিন্দু বিয়ে তো। বিচ্ছেদ চাওয়া যায়?
–ঠাকুমার স্মার্টনেসটা দ্যাখো। কয়েকজন সেরা হিন্দু পন্ডিতকে ডেকে বললেন, তিনি স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ চান।
–সেরা হিন্দু পন্ডিতরা এই অবিস্মরণীয় অবিশ্বাস্য চাহিদার কারণ জানতে চাইলেন।
–তখন? জ্ঞানদা বলে অপার বিস্ময়ে।
–ঠাকুমা স্পষ্ট বললেন, আমার স্বামী ম্লেচ্ছ সংসর্গ করেন। আমি হিন্দু নারী। স্বামীর এই অনাচার আমি মানতে পারছি না।
–তখন পণ্ডিতরা কী বললেন?
–বললেন, মা জননী, আপনি স্বামীর অনাচার মেনে নিয়ে স্বামী সংসর্গ করতে বাধ্য নন। কিন্তু স্বামীসেবা আপনার অবশ্য কর্তব্য।
–তারপর?
–তারপর তো চুকে গেল ল্যাটা। আমার ঠাকুর্দা পাশেই আরও একটা প্রাসাদ বা মহল গড়ে ফেললেন। ওটাই আমাদের ৫ নম্বর জোড়াসাঁকোর বাড়ি। ৬ নম্বর বাড়িটা কিন্তু আগেই তৈরি, যেটাতে আমরা থাকি। ৫ নম্বর বাড়িটায় ঠাকুর্দা গৃহপ্রবেশ করেন ১৮২৩-এর ১১ ডিসেম্বর। ‘সমাচার দর্পণ’ পত্রিকায় যা লেখা হয়েছিল, বাংলা ভাষার স্টাইলটার জন্য আমি ভুলতে পারিনি।
–প্লিজ বলো! ফাজলামি করবে না কিন্তু।
–পাগল! এ হল সেই সময়ের খাঁটি বাংলা। ইয়ার্কি চলবে না। লেখাটা এই রকম : ‘নতুন গৃহসঞ্চার। কলিকাতা ১১ ডিসেম্বর ২৭ অগ্রহায়ণ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে প্রীযুতবাবু দ্বারিকানাথ ঠাকুর, দ্বারকানাথ নয় কিন্তু, ছাপার অক্ষরে দ্বারিকানাথ, স্বীয় নবীন বাটীতে অনেক অনেক ভাগ্যবান সাহেব ও বিবাদিগকে নিমন্ত্রণ করাইয়া আনাইয়া চতুর্বিধ ভোজনীয় দ্রব্য ভোজন করাইয়া পরিতৃপ্ত করাইয়াছেন এবং ভোজনাবসানে ওই ভবনে উত্তম গানে ও ইংলন্ডীয় বাদ্য শ্রবণে ও নৃত্য দর্শনে সাহেবগণ অত্যন্ত আমোদ করিয়াছিলেন।’
–সেই আমোদে এস্থার আসে নাই? হো হো করে হেসে জানতে চায় জ্ঞানদা।
–চোরের মন ঠিক…. বলে জ্যোতি।
–এস্থার কি বোঁচকা? আরও হেসে বলে জ্ঞানদা। তারপর বলে, ছাড়ো তো ওইসব আদ্যিকালের গপ্প। আজ বিকেলের গপ্পে এসো।
–মানে?
–মানে, ছবি তোলার সময় আমাকে কেমন দেখাচ্ছিল? বানিয়ে বলবে না। সত্যি কথাটা বলবে নতুন। অন্ধকারে জ্ঞানদার ঠোঁটে দীর্ঘ চুমু খেয়ে জ্যোতি বলে, সাদা শাড়ি, সাদা ফুলস্লিভ ব্লাউস– ভেরি ডেন্টি অ্যান্ড এলিগ্যান্ট।
–নতুন, তুমি কালার ব্লাইন্ড। ওটা তো ফিকে গোলাপি শাড়ি। অ্যান্ড ম্যাচিং ব্লাউস।
–তাতে কী। ছবিতে তো সাদাই আসবে। আমার কুর্তাও কিন্তু ফিকে গোলাপি। উঠবে ধপধপে সাদা। মেজদাদা কিন্তু ফরম্যাল স্যুটে দারুণ দেখাচ্ছিল। তবে কী করে টাই আর ওই কোটটা পরে সহ্য করছিল গরমে জানি না।
কলকাতায় কি অত শীত পড়েছে?
–আমার বরের কথা ছাড়ো। তোমার বউয়ের দিকে একবারও না তাকিয়ে অমন উদাসীন থেকে তার মনে কষ্ট দিলে কেন? সেটা বল তো।
–জেনেশুনে ন্যাকামি কোরো না মেজবউঠান।
–ন্যাকামি? কাদম্বরীকে সবুজ শাড়িতে কিন্তু আজ সত্যি ভাল লাগছিল।
–আমার বউ সেজেগুজে ঘর থেকে বেরবার আগে রবিকে ডাকল। জানতে চাইল, ছবি তুলতে যাচ্ছি, কেমন লাগছে বল তো?
–রবি কী বলল? পলকা গাম্ভীর্যে জিজ্ঞেস করল জ্ঞানদা।
–বলল, এত সাজগোজের কী দরকার নতুন বউঠান। কাজলবিহীন সজল নয়নে হৃদয় দুয়ারে ঘা দিও। তাহলেই এনাফ ফর মি।
–রবিটা দিন দিন বেহায়া হয়ে যাচ্ছে।
–কী ট্যালেন্টেড বল তো! এরকম আনফরগেটেবল একটা লাইন। কী অনায়াসে বলতে পারল!
–আর তোমার কাদম্বরী কী বলল?
–বলল, আড় চোখে হেসে, কাছে এসে দ্যাখো রবি, কাজল পরেছি কি না। কী হল? কাছে এসো।
(চলবে)
…মেজবউঠাকরুণ-এর অন্যান্য পর্ব…
মেজবউঠাকরুণ ২৮: দেবদূতের সঙ্গে পাপের আদানপ্রদান
মেজবউঠাকরুণ ২৭: কাদম্বরী শুধুই রবির, আর কারও নয়
মেজবউঠাকরুণ ২৬: আমারও খুব ইচ্ছে বউঠান, পাঁচালির দলে ভর্তি হয়ে গ্রামে গ্রামে মনের আনন্দে গেয়ে বেড়াই
মেজবউঠাকরুণ ২৫: জ্ঞানদা প্রথম মা হল একটি মৃত সন্তান প্রসব করে!
মেজবউঠাকরুণ ২৪: কাদম্বরীকে ‘নতুন বউঠান’ বলে উঠল সাত বছরের রবি
মেজবউঠাকরুণ ২৩: ঠাকুরপো, তোমাকে সারা বাড়ি খুঁজে বেড়াচ্ছি, আর তুমি ছাদে একা অন্ধকারে দাঁড়িয়ে!
মেজবউঠাকরুণ ২২: কাল থেকে আমিও রবির মতো একা হয়ে যাব না তো ঠাকুরপো?
মেজবউঠাকরুণ ২১: জ্ঞানদার মধ্যে ফুটে উঠেছে তীব্র ঈর্ষা!
মেজবউঠাকরুণ ২০: স্বামী সম্বন্ধে জ্ঞানদার মনের ভিতর থেকে উঠে এল একটি শব্দ: অপদার্থ
মেজবউঠাকরুণ ১৯: কাদম্বরী ঠাকুরবাড়িতে তোলপাড় নিয়ে আসছে
মেজবউঠাকরুণ ১৮: নতুনকে কি বিলেত পাঠানো হচ্ছে?
মেজবউঠাকরুণ ১৭: চাঁদের আলো ছাড়া পরনে পোশাক নেই কোনও
মেজবউঠাকরুণ ১৬: সত্যেন্দ্র ভাবছে জ্ঞানদার মনটি এ-বাড়ির কোন কারিগর তৈরি করছে
মেজবউঠাকরুণ ১৫: জ্ঞানদার কাছে ‘নতুন’ শব্দটা নতুন ঠাকুরপোর জন্যই পুরনো হবে না
মেজবউঠাকরুণ ১৪: জ্যোতিরিন্দ্রর মোম-শরীরের আলোয় মিশেছে বুদ্ধির দীপ্তি, নতুন ঠাকুরপোর আবছা প্রেমে আচ্ছন্ন জ্ঞানদা
মেজবউঠাকরুণ ১৩: বিলেতে মেয়েদের গায়ে কী মাখিয়ে দিতে, জ্ঞানদার প্রশ্ন সত্যেন্দ্রকে
মেজবউঠাকরুণ ১২: ঠাকুরবাড়ির দেওয়ালেরও কান আছে
মেজবউঠাকরুণ ১১: ঠাকুর পরিবারে গাঢ় হবে একমাত্র যাঁর দ্রোহের কণ্ঠ, তিনি জ্ঞানদানন্দিনী
মেজবউঠাকরুণ ১০: অসুস্থ হলেই এই ঠাকুরবাড়িতে নিজেকে একা লাগে জ্ঞানদানন্দিনীর
মেজবউঠাকরুণ ৯: রোজ সকালে বেহালা বাজিয়ে জ্ঞানদার ঘুম ভাঙান জ্যোতিঠাকুর
মেজবউঠাকরুণ ৮: অপ্রত্যাশিত অথচ অমোঘ পরিবর্তনের সে নিশ্চিত নায়িকা
মেজবউঠাকরুণ ৭: রবীন্দ্রনাথের মায়ের নিষ্ঠুরতা টের পেয়েছিলেন জ্ঞানদানন্দিনী
মেজবউঠাকরুণ ৬: পেশোয়াজ অন্দরমহল আর বারমহলের মাঝখানের পাঁচিলটা ভেঙে দিল
মেজবউঠাকরুণ ৫: বাঙালি নারীশরীর যেন এই প্রথম পেল তার যোগ্য সম্মান
মেজবউঠাকরুণ ৪: বৈঠকখানায় দেখে এলেম নবজাগরণ
মেজবউঠাকরুণ ৩: চোদ্দোতম সন্তানকে কি ভুল আশীর্বাদ করলেন দেবেন্দ্রনাথ?
মেজবউঠাকরুণ ২: তোমার পিঠটা কি বিচ্ছিরি যে তুমি দেখাবে না বউঠান?
মেজবউঠাকরুণ ১: ঠাকুরবাড়ির বউ জ্ঞানদাকে ঘোমটা দিতে বারণ দেওর হেমেন্দ্রর
পাশাপাশি এ-ও বলতে হবে, রবীন্দ্রনাথের আঁকা নারীমুখে যেমন অনেকে নতুন বউঠানের মিল খুঁজে পান, তেমনই কারও চোখে সেখানে উদ্ভাসিত ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর আদল। এই দ্বিতীয় মতে, চিত্রী রবি ঠাকুরের চোখে ওকাম্পোর ছায়া নিঃসন্দেহে আরও প্রবলতর, কারণ নতুন বউঠান সেখানে দূর গ্রহান্তরের বাসিন্দা।