প্রথমবারের বইমেলায়, জরুরি অবস্থার ভেতর, ইতিউতি বিক্রি-বিলি হল নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়া ‘কলকাতা’ পত্রিকাটির বাংলা-ইংরেজি জরুরি অবস্থা বিরোধী সংখ্যা দু’টি। এ পত্রিকার সম্পাদক জ্যোতির্ময় দত্ত, লেখক গৌরকিশোর ঘোষ, বরুণ সেনগুপ্ত, শম্ভু রক্ষিত তখন ছিলেন জেলে। পরের বছর বইমেলায় (তখন বোধহয় শিথিল জরুরি অবস্থা), তারও পরের বছর, পর পর এই দু’বছরে পূষণ গুপ্ত ও রণজিৎ দাশের সম্পাদনায় পকেট বুক সাইজে লালবর্ণ প্রচ্ছদে বের হয়েছিল ‘এই সময়ের রাজনৈতিক কবিতা’।
পাঁচিল টপকে বেলতলা গার্লস স্কুলের ঘণ্টা ও হাতুড়ি নিয়ে এসেছিল ঘঞ্চু ও অলোকেশ ভট্টাচার্য। ঘঞ্চু– যার আদিনাম ঘনশ্যাম দাস, এই নামেই সে এ ঘটনার কয়েক বছর পর লিখেছিল আশ্চর্য এক উপন্যাসিকা, ‘ঘন শ্যামবাজার’। পরবর্তীকালে সে সোমক দাস নামে কয়েকটি গল্পগ্রন্থ ও কাব্যগ্রন্থ লিখেছিল। বছর দেড়েক আগে প্রয়াত হয়েছে আমাদের এই অপরূপ বন্ধু। অকালে। অলোকেশও অকালপ্রয়াত, প্রাণবন্ত তরুণ কবি অলোকেশ অতি তরুণ বয়সেই ডানা মেলে উড়ে গিয়েছে। সজল চোখে তার ওই ওড়া দেখেছি। ওষুধের গন্ধ ছড়িয়ে ওড়া।
‘আত্মপ্রকাশ’ নামে তুমুল কবিতাপত্রটি সম্পাদনা করতেন যিনি, আমাদের বন্ধু কবি সমরেন্দ্র দাস, খোঁজ দিয়েছিলেন বেলতলা গার্লস স্কুলের ওই ঘণ্টার। গোটা অভিযানটির নির্দেশক ছিলেন সমরেন্দ্রদা। পাঁচিলের ওপার থেকে। কালীকৃষ্ণ গুহ তখন ছিলেন দমকলের অধিকর্তা। ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের সেই দমকলের সদর অফিস থেকে ঘঞ্চু, শৌণক, আরও কয়েকজন বয়ে নিয়ে এল একটি ঘরাঞ্চি। তরুণ কবিরা ঘরাঞ্চি বয়ে চৌরঙ্গির রাস্তা দিয়ে রবীন্দ্রসদন অভিমুখে চলেছেন, যেন ছোটখাটো মিছিল! –তৎকালের শিথিল জরুরি অবস্থায় পথচারীরা এ দৃশ্যে ভড়কে গিয়েছিলেন। মিছিলটির অগ্রভাগে ছিলেন সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর পিছু পিছু কথা বলতে বলতে আসছিলেন ভাস্কর চক্রবর্তী আর পার্থপ্রতিম কাঞ্জিলাল।
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
পবিত্র সরকারের বইমেলাধুলো: বইমেলার গেটে কবি অরুণ মিত্রকে স্যালিউট করেছিল পুলিশ
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
রবীন্দ্রসদনের উল্টোদিকে, এখন যেখানে মোহরকুঞ্জ, তখন ছিল মাঠ। ১৯৭৬ সালের মার্চের গোড়ায় সেখানেই হয়েছিল কলকাতার প্রথম বইমেলা। সেখানেই ব্যবহৃত হয়েছিল ওই ঘরাঞ্চি ও ঘণ্টা। এক এক কবিকে ওই ধবধবে সাদা রং করা ঘরাঞ্চির টংয়ে বসিয়ে কবিতা পাঠ করানো হত। নিচে ঘরাঞ্চির পায়া শক্ত করে ধরতেন কেউ কেউ। এক একজন কবির কবিতা পাঠ শেষ হলেই, ঢং ঢং করে ঘণ্টা বাজিয়ে দিতেন তুষার রায়। আবার কাউকে কবিতা পড়তে ডাকতেন শক্তি, ঘণ্টা বাজত ঢং ঢং ঢং। আমাকে ওই টংয়ে উঠিয়ে দিয়েছিলেন তুষারদা। আমি পড়েছিলাম ‘ভারতবর্ষ’ কবিতাটি। ‘কৃত্তিবাস’-এ বের হয়েছিল, ‘জলপাই কাঠের এসরাজ’ কাব্যগ্রন্থে আছে। তুষার রায় তড়তড়িয়ে ঘরাঞ্চির টংয়ে উঠে কবিতা পড়লেও, তারাপদ রায় উঠতে পারলেন না, তিনি নিচে দাঁড়িয়ে পড়লেন, ‘নীল দিগন্তে এখন ম্যাজিক…’
জরুরি অবস্থা তখন এক বছর পূর্ণ করার দিকে যাচ্ছিল, সমাজদেহে, বিশেষত সাহিত্য-সংস্কৃতি ক্ষেত্রে জাগছিল মুক্তিব্যাকুল উসখুস। কলকাতার দেওয়ালে ছবি আঁকছিলেন শিল্পীরা, সাপ আর পদ্মফুল আঁকার পাশাপাশি অসিত পাল মনোহরদাস তরাগের গম্বুজে শুরু করেছিলেন চিত্রপ্রদর্শনী আর কবিতা পাঠের আসর। শানু লাহিড়ী আঁকছিলেন আশা-আকাঙ্ক্ষায় ভরপুর মানুষের দলবলের জমায়েত মুখ। নাটকের দলগুলি ইতিউতি নড়াচড়া শুরু করেছিল, এলোমেলো ভাসছিল রবীন্দ্রসংগীত। একযোগে অনেক কিছুই মিলে জরুরি অবস্থা এক বছর গড়ালেও তার ভেতরই ১৯৭৬-এর ৫ মার্চ থেকে শুরু হয়েছিল প্রথম কলিকাতা পুস্তকমেলা। রবীন্দ্রসদনের উল্টোদিকের মাঠে এ-মেলা চলেছিল ১৪ মার্চ পর্যন্ত। সে মেলায় যোগ দিয়েছিলেন ৩৪ জন প্রকাশক, সব মিলিয়ে স্টল হয়েছিল ৫৪টি। তৎকালীন রাজ্যপাল এ এল ডায়াস উদ্বোধন করেছিলেন এ বইমেলা।
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
এক এক কবিকে ওই ধবধবে সাদা রং করা ঘরাঞ্চির টংয়ে বসিয়ে কবিতা পাঠ করানো হত। নিচে ঘরাঞ্চির পায়া শক্ত করে ধরতেন কেউ কেউ। এক একজন কবির কবিতা পাঠ শেষ হলেই, ঢং ঢং করে ঘণ্টা বাজিয়ে দিতেন তুষার রায়। আবার কাউকে কবিতা পড়তে ডাকতেন শক্তি, ঘণ্টা বাজত ঢং ঢং ঢং। আমাকে ওই টংয়ে উঠিয়ে দিয়েছিলেন তুষারদা। আমি পড়েছিলাম ‘ভারতবর্ষ’ কবিতাটি। ‘কৃত্তিবাস’-এ বের হয়েছিল, ‘জলপাই কাঠের এসরাজ’ কাব্যগ্রন্থে আছে। তুষার রায় তড়তড়িয়ে ঘরাঞ্চির টংয়ে উঠে কবিতা পড়লেও, তারাপদ রায় উঠতে পারলেন না, তিনি নিচে দাঁড়িয়ে পড়লেন, ‘নীল দিগন্তে এখন ম্যাজিক…’
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
প্রথম এই কলকাতা বইমেলা হওয়ার মাস ছয়েক আগে, ঘোর জরুরি অবস্থার ভেতর কয়েকজন প্রকাশক কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসে কয়েকবার বসে ১৯৭৫-এর পুজোর পর গড়ে ফেলেন ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড’। গিল্ডের সভাপতি হন সুশীল মুখোপাধ্যায়। গিল্ড গঠিত হওয়ার পর তাঁরা ওই বছরই কলকাতা তথ্যকেন্দ্রে বইপত্রের একটি প্রদর্শনী করেছিলেন। বহুদিন ধরে প্রকাশকরা কলকাতায় একটি বইমেলার আয়োজন করার কথা ভাবছিলেন, তথ্যকেন্দ্রে বইপ্রদর্শনীর সাফল্যে বিষয়টি দানা বাঁধে। কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই গিল্ডের প্রকাশকরা এরপরই লেখক-কবিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন। প্রবল উৎসাহী হয়ে ওঠেন শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, তুষার রায়রা। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, হিমানীশ গোস্বামী, বরেন গঙ্গোপাধ্যায়, পবিত্র মুখোপাধ্যায়-সহ অনেকেই হয়ে ওঠেন তৎপর। আমার মনে আছে, ওই দিনটিতে সন্ধ্যায় আমি কফি হাউসে ছিলাম। গিল্ডের বিমল ধর, সুপ্রকাশ বসুরা জোড়হস্তে টেবিলে টেবিলে ঘুরে সকলকে বইমেলায় যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, যেন গিল্ডের মেয়ের বিয়ে। আমরা, সে সময় অল্প বয়স, মেতে উঠেছিলাম।
প্রথমবারের এই মেলায়, জরুরি অবস্থার ভেতর, ইতিউতি বিক্রি-বিলি হল নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়া ‘কলকাতা’ পত্রিকাটির বাংলা-ইংরেজি জরুরি অবস্থা বিরোধী সংখ্যা দু’টি। এ পত্রিকার সম্পাদক জ্যোতির্ময় দত্ত, লেখক গৌরকিশোর ঘোষ, বরুণ সেনগুপ্ত, শম্ভু রক্ষিত তখন ছিলেন জেলে। পরের বছর বইমেলায় (তখন বোধহয় শিথিল জরুরি অবস্থা), তারও পরের বছর, পর পর এই দু’বছরে পূষণ গুপ্ত ও রণজিৎ দাশের সম্পাদনায় পকেট বুক সাইজে লালবর্ণ প্রচ্ছদে বের হয়েছিল ‘এই সময়ের রাজনৈতিক কবিতা’। সন্দীপ, আমাদের বন্ধু, লিটিল ম্যাগাজিন লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা সন্দীপ দত্ত প্রথম বইমেলা থেকেই লিটিল ম্যাগাজিনের এ মেলায় মর্যাদালাভ ও অধিকার রক্ষায় ছিল তৎপর। এই তৎপরতায় সাফল্যও পেয়েছে আমাদের অকালপ্রয়াত এই বন্ধু। প্রথম বই মেলার শেষদিনে মূলত ‘আনন্দ’-র উদ্যোগে বসেছিল বইবাজার। অতি সস্তার ঢালাও বই বিক্রির বাজার থেকে আমি অমিয় চক্রবর্তীর কবিতার বই কিনেছিলাম।
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
কালীকৃষ্ণ গুহর বইমেলাধুলো: বইমেলায় বাজানো হত উচ্চাঙ্গ সংগীতের ক্যাসেট
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
প্রথমবার না এলেও, পরের বইমেলাগুলিতে আসতে থাকে ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু প্রকাশনগুলি। বিভিন্ন রাজ্যের প্রকাশনী, এরপর বিভিন্ন দেশের যোগদান, থিমকান্ট্রি– এসবে গত দু’আড়াই দশকে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা জমজমাট। তবু এ বইমেলার বারো আনাই বাংলা বইয়ের। কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভেলিয়নটিও অতি আকর্ষণীয়। এক সময় কলকাতার প্রকাশনাগুলির বই প্রকাশের প্রধান সময় ছিল পয়লা বৈশাখ, এখনও নববর্ষের দিন কিছু বই প্রকাশিত হয় বটে, কিন্তু বইমেলা এ-ব্যাপারে নববর্ষকে টেক্কা দিয়ে দিয়েছে। বইমেলার বেশ কিছু তথ্য দিয়েছে আমার তরুণ বন্ধু, দে’জ-এর অপু দে। সেসব তথ্যের চেয়ে এ-খবরে আমি চমৎকৃত হয়েছি, এই খবরটি জেনে, যে বছর বইমেলা শুরু হয়, সেই বছর ১৯৭৬-এ অপুর জন্ম, অর্থাৎ অপু আর কলকাতা বইমেলা সমবয়সি। আমি এ ভাবনায় উল্লসিত, শৈশব থেকে, এই যুবাবয়স থেকে, অপু ও বইমেলা– দু’টি বন্ধু একত্রে বড় হয়েছে, হেসেছে, খেলেছে, ঘুরেছে। সত্যিই তো তা-ই। বইয়ের হোলসেলার, এই টেকনিক্যাল কারণে দে’জ কিন্তু প্রথম ও দ্বিতীয় বছর গিল্ডের সদস্য হতে পারেনি, তৃতীয় বছর থেকে দে’জ বইমেলায় যোগ দেয়।
প্রথম বইমেলার কথা বললাম। আরও কিছু বলা দরকার। রবীন্দ্রসদনের উল্টোদিকের মাঠ থেকে ১৯৮৮ সালে পার্ক স্ট্রিটের ময়দানে উঠে আসে বইমেলা। হাওড়া শিয়ালদা, উত্তর-দক্ষিণ– সব দিক থেকেই সুগম। জমজমাট হয়ে ওঠে কলকাতা বইমেলা। এসবের আগেই ১৯৮৪ সালে ‘আন্তর্জাতিক বইমেলা’র খেতাব পেয়ে কলকাতা বইমেলা হয়ে ওঠে ‘কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা’। ১৯৮০ সাল থেকে রাজ্য সরকারের শিক্ষা বিভাগ প্রতি বছর ডিসেম্বরে আর একটি বইমেলার আয়োজন করত, লোকমুখে তা সরকারি বইমেলা নামে পরিচিত ছিল। জনপ্রিয়তা অর্জনে ব্যর্থ হয়ে এবং গিল্ডের কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার গণ আলোড়নে সরকারি বইমেলাটি ১৯৯৪-এর পর বন্ধ হয়ে যায়।
পার্ক স্ট্রিটের কলকাতা বইমেলায় প্রথমবার থিম হয়েছিল ১৯৯১ সালে অসম রাজ্যটি। ১৯৯৪ -এ প্রথম থিমকান্ট্রি হয় আফ্রিকার জিম্বাবোয়ে।
৪৭ বছরের কলকাতা বইমেলা। এতগুলি বছরের, তাতে ইতিহাসের টোকা লাগবেই। ১৯৮৩ সালে কলকাতা বইমেলায় একটি গ্রন্থপ্রকাশে এসে মঞ্চেই হৃদরোগে মারা যান আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদক অশোককুমার সরকার। ১৯৯৭-এর বইমেলার থিম দেশটি ছিল– ফ্রান্স। জাঁক দেরিদা এসেছিলেন সেবার বইমেলা উদ্বোধনে। সেবার বইমেলার ষষ্ঠদিনে আগুন লেগেছিল বইমেলায়, আতঙ্কে হৃদরোগে মারা গিয়েছিলে জিতেন শীল নামে এক বইপড়ুয়া। পরিবেশবাদীদের মরিয়া বাধাদান, বিক্ষোভ, মামলা মোকদ্দমায় পার্ক স্ট্রিটে বইমেলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর পার্ক সার্কাসে বইমেলার চেষ্টা হলেও, সেখানেও ওঠে পরিবেশ বিঘ্নিত করার অভিযোগ। সে বছর পণ্ড হয় বইমেলা। শেষে মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর তৎপরতায় তিন বছর যুবভারতী স্টেডিয়ামে বইমেলা হলেও, জমেনি। ২০০৯ থেকে সায়েন্স সিটির কাছে মিলন মেলায় বইমেলা শুরু হওয়ায় আবার জমে উঠতে থাকে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। মিলনমেলা সংস্কারের জন্য ছেড়ে দিতে এখন ২০১৮ সাল থেকে বইমেলার ঠিকানা সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক। যাতায়াত সুগম। বইমেলা ফের জমজমাট হয়ে উঠেছে।
৪৮ বছর বয়স হয়ে গেল বইমেলার। শতবর্ষও পেরিয়ে যাবে। শতবর্ষ পরে মানুষ ভাববে, কেন শুরু হয়েছিল বাঙালির এই ১৪তম পার্বণ? অনেক কিছু মিলে গিয়েছিল ১৯৭৬-এ ওই ঘোর জরুরি অবস্থার সময়। ইচ্ছে জেগেছিল সেই অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তির। বইমেলা সেই মুক্তির প্রথম পদক্ষেপ। সকল অট্টালিকা গম্বুজ মিনার সৌধের চেয়ে উঁচু বই।
বীরভূমের লেখক-গবেষকেরা মনে করেন, বীরভূমের লাভপুরের কাছে দেবী ফুল্লরাতেই সেই পীঠের অধিষ্ঠান আবার বর্ধমানের গবেষকেরা দাবি করেন, ঈশানী নদীর বাঁকে বর্ধমানের দক্ষিণডিহিতেই দেবীর ওষ্ঠপাত ঘটেছিল। তবে ভক্তদের কাছে দুটিই সমান গুরুত্বপূর্ণ তীর্থক্ষেত্র এবং অলৌকিক শক্তি দুই জায়গাতেই বর্তমান।