জন-অংশীদারিত্বের মতো বিষয়টিকে শুধুমাত্র সংখ্যার দিক দিয়ে বিচার করলে ভুল হবে, কারণ তার ব্যঞ্জনা কোনও একটি বৃত্তের মধ্যে আবদ্ধ না থেকে ব্যাপ্ত ও প্রসারিত হয়েছে আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে। জি-২০-ভুক্ত দেশগুলির বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে সংযোগ ও যোগাযোগের মাধ্যমে দফায় দফায় বক্তৃতার আয়োজন থেকে শুরু করে মডেল জি-২০ বৈঠক সম্পর্কে পারস্পরিক আলোচনা ও বিতর্কের পথ প্রশস্ত করে তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে জি-২০ সম্পর্কিত বিশেষ অধিবেশন আয়োজনের মাধ্যমে বিশেষ কর্মকাণ্ডকে সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
ভারতের জি-২০-র সভাপতিত্বকাল নানা দিক দিয়েই এক অভিনব উদ্যোগ। উন্নয়নশীল দেশগুলির অগ্রাধিকার এবং মূল উদ্বেগের বিষয়গুলির ওপর এই সময়কালে বিশেষভাবে আলোকপাত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের দক্ষিণ প্রান্তের বক্তব্য বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপিত হয়েছে ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বকালে। জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থব্যবস্থা, শক্তিক্ষেত্রে রূপান্তর প্রচেষ্টা, নিরন্তর উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রার বাস্তবায়ন এবং প্রযুক্তিগত রূপান্তর প্রচেষ্টার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিকে জি-২০-র মঞ্চে ভারত তুলে ধরেছে। এখানেই শেষ নয়, ভারতের জি-২০-র সভাপতিত্বকালে জন-ভাগীদারি অর্থাৎ, উন্নয়ন প্রচেষ্টার সঙ্গে জনসাধারণকে যুক্ত করার মতো বিষয়টিও ভারত বারবার গুরুত্বের সঙ্গে বলে আসছে। জি-২০-ভুক্ত দেশগুলির বিভিন্ন কর্মপ্রচেষ্টার সঙ্গে সাধারণ মানুষের সংযোগ স্থাপন যে একান্ত জরুরি– একথাও প্রথম ভারত বিশেষ জোরের সঙ্গে তুলে ধরেছে বিশ্বমঞ্চে। তাই, এই সরকারি কর্মপ্রচেষ্টা এখন শুধুমাত্র সরকারের এলাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে জি-২০ প্রকৃত অর্থেই জনসাধারণের আন্দোলন রূপে গড়ে উঠেছে।
দেশের ৬০টি শহরে আয়োজিত হচ্ছে জি-২০-র ২২০টি বৈঠক। জি-২০-ভুক্ত দেশগুলির প্রায় ৩০ হাজারের মতো প্রতিনিধি যোগদান করেছেন এই বৈঠকগুলিতে। এছাড়াও, মূল বৈঠকের পাশাপাশি অন্যান্য যে কর্মপ্রচেষ্টা ও অনুষ্ঠানের সূচনা হয়েছে, তাতে অংশগ্রহণের মাত্রা ১ লক্ষেরও বেশি ছাড়িয়ে গেছে। এক কথায়, ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের সাধারণ মানুষের সঙ্গে জি-২০-র একটি নিবিড় যোগসূত্র স্থাপিত হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রক কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে সাধারণের এই অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। যেমন, শিক্ষা মন্ত্রকের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে সাধারণের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিভিন্ন উদ্যোগ ও কর্মপ্রচেষ্টা, যাতে সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের উৎসাহ ও উদ্দীপনা বিশেষভাবে চোখে পড়ে। ছাত্র, শিক্ষক, পিতা-মাতা, অভিভাবক এবং সর্বোপরি জনসাধারণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই কর্মপ্রচেষ্টায় নিজেদের শামিল করেছে। রাজ্য ও জেলা থেকে শুরু করে ব্লক, পঞ্চায়েত এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত জি-২০-র উদ্যোগ ও কর্মপ্রচেষ্টা সকলের মধ্যে বিশেষ সচেতনতার প্রসার ঘটিয়েছে। মানুষ অনুভব ও উপলব্ধি করেছে যে, জাতীয় শিক্ষানীতি, মৌলিক শিক্ষা এবং অক্ষর ও সংখ্যা পরিচয়ের মতো বিষয়গুলি ভারতের সভাপতিত্বকালে অগ্রাধিকারের তালিকায় উঠে এসেছে। এই ধরনের কর্মপ্রচেষ্টাগুলির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ২৩ কোটি ৩০ লক্ষ অংশগ্রহণকারী। ১৫ কোটি ৭ লক্ষ ছাত্রছাত্রী, ২৫ কোটি ৫০ লক্ষ শিক্ষক এবং ৫১ লক্ষ ১০ হাজার সমষ্টি সদস্যরা সর্বতোভাবে এগিয়ে এসেছে এই প্রচেষ্টাকে সফল করে তুলতে।
তবে, জন-অংশীদারিত্বের মতো বিষয়টিকে শুধুমাত্র সংখ্যার দিক দিয়ে বিচার করলে ভুল হবে, কারণ তার ব্যঞ্জনা কোনও একটি বৃত্তের মধ্যে আবদ্ধ না থেকে ব্যাপ্ত ও প্রসারিত হয়েছে আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে। জি-২০-ভুক্ত দেশগুলির বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযোগ ও যোগাযোগের মাধ্যমে দফায় দফায় বক্তৃতার আয়োজন থেকে শুরু করে মডেল জি-২০ বৈঠক সম্পর্কে পারস্পরিক আলোচনা ও বিতর্কের পথ প্রশস্ত করে তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে জি-২০ সম্পর্কিত বিশেষ অধিবেশন আয়োজনের মাধ্যমে কর্মকাণ্ডগুলিকে সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন উৎসবের আঙিনায় গড়ে তোলা হয়েছে জি-২০ মণ্ডপ, আয়োজিত হয়েছে কুইজ প্রতিযোগিতা, সেলফি প্রতিযোগিতা, এমনকী, ‘জি-২০ ভারত’ সম্পর্কে প্রবন্ধ ও নিবন্ধ রচনার এক বিশেষ উদ্যোগ। এ সমস্ত কিছুর মাধ্যমেই জি-২০-র উদ্যোগ ও কর্মপ্রচেষ্টাকে উৎসাহদান করা হয়েছে। সাধারণের অংশগ্রহণ স্বতঃস্ফূর্ত করে তুলতে জি-২০-র কর্মীগোষ্ঠীগুলি অভিনব উদ্ভাবন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জি-২০-র পরিকাঠামো সংক্রান্ত কর্মীগোষ্ঠী জাতীয় যুব দিবসে আয়োজন করেছে একটি ‘জি-২০ সাইক্লোথন’ এবং একটি মোটরবাইক র্যালির।
ভারতের সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয়তার আদর্শকে ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বকালে বিশেষভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। জি-২০ প্রতিনিধিবৃন্দকে স্বাগত জানানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে এক ধরনের প্রতিযোগিতার আবহ গড়ে উঠেছে বললেও অত্যুক্তি হয় না। স্থানীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে সাধারণের মধ্যে উৎসাহ সঞ্চার করতে এবং বিশেষ বিশেষ প্রথাগত ঐতিহ্য ও সাফল্যকে তুলে ধরতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি নানাভাবে প্রতিযোগিতামুখী হয়ে উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যে, এই উৎসাহ ও উদ্দীপনা এমন এক অনুকূল পরিবেশ গড়ে তুলেছে, যাতে নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মপ্রচেষ্টা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলির ওপর নানাভাবে আলোকপাত করেছে। মণিপুরের লোকটাক লেকের পুনরুদ্ধার ও পুনরুন্নয়ন প্রচেষ্টা, মুম্বই শহরতলির স্বাস্থ্যব্যবস্থা ঢেলে সাজানো কিংবা লখনউতে পরিকাঠামোর প্রসার এরই কয়েকটি বিশেষ দৃষ্টান্ত। এই উদ্যোগগুলি মিলিতভাবে একদিকে যেমন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তথা শিল্পী-কারিগরদের নিজস্ব প্রতিভাকে তুলে ধরার কাজে সফল হয়েছে, অন্যদিকে তেমনই বিশ্বমঞ্চে তা বিশেষ স্বীকৃতিও আদায় করে নিয়েছে। সেইসঙ্গে, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মতো বিষয়টির দিকেও সংশ্লিষ্ট দেশগুলির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। ভারতের ‘একটি জেলা একটি পণ্য’ অভিযানকে প্রতিনিধিরা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছেন। তাঁরা বিভিন্ন শিল্পকেন্দ্রে গিয়ে এই সমস্ত শিল্প নিদর্শন সংগ্রহও করেছেন। একইসঙ্গে তাঁরা ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সৌন্দর্য এবং পুরাতাত্ত্বিক মূল্যকে অনুধাবন করার চেষ্টা করেছেন। কোভিড পরবর্তীকালে পর্যটনের প্রসার সম্ভাবনার বিষয়েও তাঁরা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতের নানা প্রান্তে জি-২০ কর্মসূচি উপলক্ষে যে অর্থনৈতিক সুফল ও সুযোগ-সুবিধার প্রসার ঘটেছে, তা নিরন্তর রয়েছে। জি-২০-র বৈঠক ও অনুষ্ঠানকে সারা দেশের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে আমরা এমন এক অভিজ্ঞতার বাতাবরণ গড়ে তুলেছি, যাতে উপকৃত হবে ভারত সহ সমগ্র বহির্বিশ্ব। এই প্রচেষ্টার বিশেষ ইতিবাচক দিকটি হল এই যে, এর ফলে একদিকে ভারত যেমন সমগ্র বিশ্বের জন্য নিজের প্রচেষ্টাকে মেলে ধরার সুযোগ পেয়েছে, অন্যদিকে তেমনই বিশ্বের অন্যান্য দেশও ভারত সম্পর্কে তাদের আগ্রহ ও উৎসাহকে বাড়িয়ে তোলার এক বিশেষ সুযোগ লাভ করেছে।
বিশ্বের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সমাজের বিভিন্ন স্তরে আগ্রহ বাড়িয়ে তোলার কাজে জি-২০-র বিভিন্ন কর্মীগোষ্ঠী এবং উদ্যোগ আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য কর্মীবৃন্দ এমন একটি শক্তিশালী মঞ্চ গড়ে তুলেছে, যাতে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির দিকে নজর দিতে সকলের মধ্যে প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিতে পেরেছে। যেমন ধরা যাক, বিজ্ঞান প্রচেষ্টার কথা। বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জের কথা বিবেচনা করে সকলেই পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজে নেমে পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একইভাবে, শ্রম সম্পর্কিত বিষয়গুলিও আলাপ-আলোচনা ও বিতর্কের মাধ্যমে পারস্পরিক স্বার্থে এক বিশেষ অগ্রাধিকার লাভ করেছে। আবার, ‘ইয়ুথ-২০’র মতো বিষয়টি যেমন সাফল্য লাভ করেছে, অন্যদিকে তেমনই জন-অংশীদারিত্ব সম্পর্কেও এক বলিষ্ঠ আত্মবিশ্বাস সকলের মধ্যে গড়ে উঠেছে। ১,৫৬৩টি বৈঠকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার প্রতিনিধি ভারতের সভাপতিত্বকালে এমন এক শক্তি জুগিয়েছেন, যা নিঃসন্দেহে উল্লেখের দাবি রাখে। আবার, শুধুমাত্র ‘সিভিল-২০’– এই প্রচেষ্টাটির সঙ্গে বিশ্বের ৪৫ লক্ষ মানুষ যুক্ত হয়েছেন। জি-২০-র কর্মকাণ্ডে সোশ্যাল মিডিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে রয়েছে, যা সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে অংশগ্রহণের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি তাদের নানাভাবে উজ্জীবিত করে তোলার সুযোগও পেয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াগুলির মাধ্যমে যে ১৪ লক্ষ কোটির মতো প্রচার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, তার ফল উৎসাহব্যঞ্জক বলেই আমরা মনে করি।
এককথায়, জনসাধারণের সক্রিয় অংশগ্রহণ জি-২০ উদ্যোগের মাধ্যমে যে বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন করেছে– একথা বোধহয় নির্দ্ধিধায় বলা চলে। যেমন বারাণসীতে আয়োজিত জি-২০ প্রতিযোগিতায় ৮০০টির মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ লক্ষ ২৫ হাজার ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে। ওই একই সময়ে ৪৫০ জন লাম্বানি শিল্পী ও কারিগর তাঁদের দক্ষতা ও শিল্প প্রচেষ্টার নানা কর্মকাণ্ড তুলে ধরারও সুযোগ পেয়েছেন। এর সুবাদে প্রায় ১,৮০০টি অনুপম শিল্প নিদর্শন সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিশেষ উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ করা যায়।
আমাদের মিলিত কর্মপ্রচেষ্টা তথা সকলের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বকালে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা ও বিতর্কের প্রসার ঘটেছে। এর একটি বিশেষ উদাহরণ হল ‘লাইফ’ অর্থাৎ, পরিবেশের জন্য জীবনশৈলী গড়ে তোলার মতো প্রচেষ্টাটি মানুষের প্রাত্যহিক আচরণকেও পরিবেশ-বান্ধব করে তোলার ক্ষেত্রে অনেকাংশেই সফল হয়েছে। প্রাত্যহিক লেনদেনে ডিজিটাল মঞ্চ ও পদ্ধতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাধারণের মধ্যে এক বিশেষ আগ্রহ ও উৎসাহ সঞ্চারিত হয়েছে। অন্যদিকে আবার, মহিলা পরিচালিত উন্নয়ন সামাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও দায়িত্ব পালন করেছে। বিশ্ব সমৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরন্তর উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিও সাধারণের মধ্যে সচেতনতা প্রসারের পাশাপাশি এক বিশেষ গুরুত্ব ও তাৎপর্য লাভ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বকালকে সাধারণ মানুষের সভাপতিত্বকাল বলে বর্ণনা করেছেন। তাঁর এই বক্তব্য একটি বর্ণনামাত্র নয়, বরং তা সাধারণের মধ্যে উৎসাহ সঞ্চারের পক্ষে যথেষ্ট। কারণ, আমরা লক্ষ্য করেছি যে দেশজুড়ে মানুষের নিজস্ব মতামত এবং উৎসাহ-উদ্দীপনা এমন এক পরিবেশ ও বাতাবরণ গড়ে তুলেছে, যা জি-২০ আন্দোলনকে সত্যিই সত্যিই এক স্মরণীয় ঘটনা বলে চিহ্নিত করে রাখবে।