লুকা মদ্রিচদের সাবেক কোচ, জ্যোতিষী দেখিয়ে ভারতের দল বানাচ্ছেন! জ্যোতিষীর নাম ভূপেশ শর্মা। ফি নিয়েছেন প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। আপনি কি সেই ১৫ লাখ এখনও পেয়েছেন? পাবেন কী করে! সবাই কী আর ‘শর্মাজি কা বেটা’। আপনি ভাবছেন ব্যাড প্যাচ! আসলে আপনার হাতে লেখা আছে, আপনার পায়ে খেলা নেই। মাঠে নামার আগে একবার হাতটা দেখিয়ে নিন।
ফুটবল? ম্যাচ ডে? প্রতিপক্ষ মারকুটে? অফ ফর্ম? ভয় করছে? সকাল থেকে পেট গুড়গুড়? চিন্তা নেই। সব সমস্যার সমাধান পেতে দেখে নিন, আপনার আজকের দিনটি। সেই মতো মাঠে নামুন। বল রাখুন পায়ে ও বুকে। খেলা ঘুরবে।
মেষ রাশি! বিকেলের পর লক্ষ্যভ্রষ্ট হতে পারেন। এই সময় শুভ কাজে হাত না দেওয়াই শ্রেয়। স্ট্রাইকার হলে আজ গোল পাবেন না। পেনাল্টি বাইরে মারতে পারেন। আজ দলে না থাকাই ভালো। কী ভাবছেন? শুভ কাজে হাত দেওয়া যাবে না, কিন্তু খেলবেন তো পা দিয়ে। তাই তো? যদি হ্যান্ডবল হয়? ভেবে দেখেছেন? আপনি মশাই আজ বাদ।
বৃষ রাশি! দুপুরের পর দিনটি পয়া। সাফল্য আসবে। ম্যাচ তো বিকেলে। সেন্ট্রাল ফরোয়ার্ড খেলুন। কোনও মাই-কা-লাল থামাতে পারবে না আজ! কী বললেন? আপনি গোলি? আজ গোলি মারার দিন, খাওয়ার নয়।
মিথুন রাশি? ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যা, মাঠেও প্রভাব ফেলতে পারে। নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনতে পারেন। মানে সেমসাইড করবেন! আজ ডিফেন্সে খেলবেন না। উপরে খেলুন। হাফ-লাইনের নিচে নামবেন না। ভুলেও ব্যাকপাস করবেন না, বলা তো যায় না, কোত্থেকে কী হয়ে যায়!
কর্কট রাশি! কাঙ্ক্ষিত ফল পেতে দেরি হবে। হতাশা আসতে পারে। তবে শেষবেলায় আশানুরূপ সাফল্য আসবে। মানে একটা-দুটো বারে লাগবে। তাতে চিন্তার কিছু নেই। ইনজুরি টাইমে ঠিকই গোল পাবেন।
সিংহ রাশি হলে, রাগারাগির কারণে, হাতাহাতি ও রক্তারক্তির সম্ভাবনা। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় ও রেফারির সঙ্গে বচসায় জড়াবেন না। ফিজিওকে বলবেন, স্ট্রেচার নিয়ে সাইডলাইনে বসতে। কিটব্যাগে রাখুন ডেটল, ব্যান্ডেড ও মেডিক্লেমের কাগজ।
কন্যা রাশি হলে, আজ স্থিরতা প্রয়োজন। অস্থির হলেই বিপদ। আপনি গোলকিপার? এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকুন। বল নিজে থেকে হাতে আসবে। বেশি লাফালাফি নয়। মনে রাখবেন, আপনি সি. কে. নায়ার। অযথা, ম্যানুয়াল নয়ার হতে যাবেন না।
রাশিফলের সঙ্গে ফুটবলের কী সম্পর্ক? আপনি তো আচ্ছা ব্যাকডেটেড! হুঁ হঁ বাওয়া। জ্যোতিষশাস্ত্র। এ হ’ল স্টিমাচ সাহেবের টোটকা। ইগর স্টিমাচ। নাম তো শুনা হি হোগা।
লুকা মদ্রিচদের সাবেক কোচ, জ্যোতিষী দেখিয়ে ভারতের দল বানাচ্ছেন! জ্যোতিষীর নাম ভূপেশ শর্মা। ফি নিয়েছেন প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। আপনি কি সেই ১৫ লাখ এখনও পেয়েছেন? পাবেন কী করে! সবাই কী আর ‘শর্মাজি কা বেটা’। আপনি ভাবছেন ব্যাড প্যাচ! আসলে আপনার হাতে লেখা আছে, আপনার পায়ে খেলা নেই। মাঠে নামার আগে একবার হাতটা দেখিয়ে নিন।
খালি পায়ে ইংরেজ হারানোর গল্প আর ক’দিন? বুট পায়ে তো একবারও কোয়ালিফাই করলেন না। খালি বলছেন, পয়সা নেই। মাঠ নেই। এই নেই, ওই নেই। আরে মশাই, একবার বুক ঠুকে বলুন না, কপালে নেই। দেখবেন মুশকিল আসান। ফর্ম খারাপ আবার কী! সিনা বাজিয়ে বলুন, ভাগ্য খারাপ! ভাগ্যের দোষ, নিজের ঘাড়ে নেন বলেই তো এত সমস্যা। ম্যাচের আগে যদি কেউ চোট পায়, ইগর সাহেব কী করবেন? তার সব হিসাব-নিকাশ ঘেঁটে ‘ঘ’ হয়ে যাবে না? তাই বুদ্ধিমানের কাজ হল, আগে থেকেই কে চোট পাবে, জেনে নেওয়া। তাকে দলে না রাখলেই হল।
কী বললেন? প্রতিভা? প্রতিভা আমাদের কম নেই। ভাঁড়ারে রত্নের ছড়াছড়ি। শুধু আঙুলেও দু’-একটা লাগবে। জেনে নিন, মুক্তোটা কোথায় পরবেন? পোখরাজ পরলেই, আপনিও পক্ষীরাজ। মারাদোনা যেমন, হাতে লেখা ছিল গোল করবেন। হাত দিয়ে গোল করেছেন। আপনি ভাবছেন, ‘হ্যান্ড অফ গড’। এসব অ্যাক্ট অফ গড। এখনও সময় আছে। মেনে নিন।
বিশ্বাস হচ্ছে না? আপনি কি বৃশ্চিক? তবে শুনুন, আজ ভুলেও মাঠে নামবেন না। নামলে বুটের ফিতে কষে বাঁধুন। নয়তো হোঁচট খাবেন। শত্রু আপনার ক্ষতি করতে পারে। আঘাত পাবেন। নেইমার বেচারাকে দেখুন। খালি চোট পায়। হতভাগা, কানে দুল পরবে, তবু হাতে আংটি পরবে না। ইগর সাহেব, ভূপেশবাবু কেউই কি ওকে বলছে না, ‘সাবধানের নেই মার!’
এই যে ফিফা আবার আমাদের ফেডারেশনকে ব্যান করে দিয়েছিল। ইগর সাহেব ও ভূপেশ শর্মার কৃপায় কিছুটা সামাল দেওয়া গেল। রাহুর গ্রাস কেটেছে। আপনি আর কী বুঝবেন? সব বিষয়ে খালি রাজনীতি খোঁজেন! গোমেদ পরুন মশাই। এই ড্রিম ইলেভেনে টিম বানিয়ে, আপনার মাথাটা পুরো চাঁদে গ্যাছে।