Robbar

বেঁচে থাক পাঠক আর রোববার.ইন-এর রোজকার বন্ধুত্ব

Published by: Robbar Digital
  • Posted:August 17, 2025 8:47 pm
  • Updated:August 19, 2025 12:29 pm  
Srinjoy Bose on the beginning of Robbar Digital’s 2nd anniversary

রোববার.ইন এই চিরায়ত বাংলাভাষারই ডিজিটাল পত্রিকা। এবং সীমান্তহীন পাঠকের জন্য। ‘রোববার’ পত্রিকা ‘ফি রোববার’ প্রকাশিত হয় বটে, কিন্তু রোববার.ইন রোজই। রোববার মানে তো একটু আলস্য, একটু অবসর, একটু নিজেকে ঝালিয়ে নেওয়া, প্রকাশ্যে আড়মোড়া ভাঙা– আজকের ভাষায় যাকে ‘রিস্টার্ট’ বলে। সেই ‘রিস্টার্ট’-এর দরকার কি রোজই পড়ে না? বিশেষত বাংলা ভাষাভাষীদের এই দুঃসময়ে? এক ক্লিকে যদি একঝলক টাটকা হাওয়া মেলে? পাওয়া যায় মনের মলিনত্ব মুছে দেওয়ার মতো ডিজিটাল ডাস্টার?

সৃঞ্জয় বোস

সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের চওড়া রাস্তায় তখন ভোরের কাঁচা রোদ। নরম রোদ, অবাধ্য নয়। ছেলেবেলায় বালতি ঢাকা দিয়ে রোদ আটকে রাখার যে খেলা, তা এই ভোরের রোদের সঙ্গে করলেই হত। তারই সঙ্গে মাঝে মাঝে, ঘাড়ে-গলায়-চুলে ঘুরে যাচ্ছে রাতজাগা ঠান্ডা বাতাস। আমাদের কাজ তখন সবে ফুরিয়েছে। মনে পড়ছিল ঋতুদাকে। ঋতুদার খুব ভোরবেলার ফোন। আমার জড়ানো গলা। ওদিকে উচ্ছ্বসিত হয়ে ঋতুদার কথা বলা। তখনই ‘রোববার’ নিয়ে কত কী যেন ঋতুদা করে ফেলবে!

২ বছর আগের এক ভোর। ঋতুদার কথা সেদিন মনে পড়ছিল শুধু ভোরবেলার নরম রোদ আর ঠান্ডা হাওয়ার জন্য, এমনটা নয়। এই ভোরবেলা ঘুমভাঙা নয়, রাতজাগা ভোরবেলা। অফিসে তরুণতুর্কিদের দাপাদাপি। রোববার.ইন শুরু হয়েছিল ওই রকম এক ভোর থেকেই।

‘ডিজিটাল’ মানেই হালকা, লঘু, অনেক সময়ই ‘ভুয়ো’– এই ধারণা রয়েছে বহু বাঙালিরই। সর্বভারতীয় স্তরের ইংরেজি পত্রিকাগুলোর ক্ষেত্রে বোধহয় ততটা মনে করা হয় না। তা বাংলা ডিজিটালের দোষে, না ইংরেজির মতো ভাষায় ভুয়ো খবর লেখা যায় না– এই সরল বিশ্বাসে, জানি না। আজ বাংলাভাষা নিয়ে যখন ভারত জুড়ে তর্ক-বিতর্ক তখন অন্তত বাঙালি বাংলাভাষাটাকে বিশ্বাস করুক। ভাষা তো আর ২১ ফেব্রুয়ারি, পয়লা কিংবা ২৫ বৈশাখের জন্য না। ভাষা উদযাপনের কম, যাপনের বেশি– সেটা বড় বেশি করে মনে হয় আজকাল।

রোববার.ইন এই চিরায়ত বাংলাভাষারই ডিজিটাল পত্রিকা। এবং সীমান্তহীন পাঠকের জন্য। ‘রোববার’ পত্রিকা ‘ফি রোববার’ প্রকাশিত হয় বটে, কিন্তু রোববার.ইন রোজই। রোববার মানে তো একটু আলস্য, একটু অবসর, একটু নিজেকে ঝালিয়ে নেওয়া, প্রকাশ্যে আড়মোড়া ভাঙা– আজকের ভাষায় যাকে ‘রিস্টার্ট’ বলে। সেই ‘রিস্টার্ট’-এর দরকার কি রোজই পড়ে না? বিশেষত বাংলা ভাষাভাষীদের এই দুঃসময়ে? এক ক্লিকে যদি একঝলক টাটকা হাওয়া মেলে? পাওয়া যায় মনের মলিনত্ব মুছে দেওয়ার মতো ডিজিটাল ডাস্টার?

ডিজিটালের প্রতি বাঙালির যে ঘোরতর সন্দেহ, তা বোধহয় অনেকটাই ঘুচিয়েছে রোববার.ইন, এই দু’বছরে। ক্লান্তিকর একঘেয়ে বিষয়ের টিপছাপে সে ধরা দেয়নি। ডিজিটালে গড়পড়তা ছবির যে ধরন, বদলেছে তাকেও। এমনকী, লেখার শব্দসংখ্যা কখনও সখনও ৫০০০-ও ছাড়িয়েছে! ডিজিটালে ৫০০০ শব্দ পাঠক পড়বে– এই বিশ্বাস রোববার.ইন করে। এবং পরিসংখ্যান বলছে, পাঠকের ওপর বিশ্বাস হারানো পাপ।

ভোর দিয়ে শুরু করেছিলাম এই লেখা। বলেছিলাম, ছেলেবেলার এক খেলার কথা। বালতিতে রোদ আটকে রাখার খেলা। বলেছিলাম, ভোরের কাঁচা রোদ নিয়ে এমনটা করলে হত। কিন্তু তবুও, রোদ আটকে রাখা যেত না। আজ দু’বছর আগের ওই কাঁচা রোদকে মনে হচ্ছে বাংলাভাষা। কোনওভাবেই তাকে বন্দি করা যাবে না। আর ভোরের ঠান্ডা বাতাসকে মনে হচ্ছে রোববার.ইন।

কাঁচা রোদ আর ঠান্ডা হাওয়ার এই বন্ধুত্ব বেঁচে থাক। বন্ধুত্ব বেঁচে থাক পাঠক ও রোববার.ইন-এরও। এই ডিজিটাল পৃথিবী তো ছোট হতে হতে আস্ত এক গ্রাম। মনে রাখবেন, ‘আমরা দুজন একটি গাঁয়ে থাকি। সেই আমাদের একটিমাত্র সুখ।’

……………………….

ফলো করুন আমাদের ওয়েবসাইট: রোববার.ইন

……………………….