ভারতে গ্রাসরুট লেভেল ডেভেলপমেন্ট, তৃণমূল স্তর থেকে প্লেয়ার তুলে আনা হচ্ছে না– জাতীয় একটা হিড়িক ওঠে দল হারলেই। কিন্তু এ প্রশ্ন আমরা করি না যে, ভারতীয় ফুটবলের একেবারে তলার লেভেলে যাঁরা সদ্য পায়ে বল পাওয়া কিশোরদের খেলা শেখান, তাঁদের কতজন লাইসেন্স প্রাপ্ত কোচ? কতজন প্রো-লাইসেন্স প্রাপ্ত কোচ আছে এ দেশে? কতজন তরুণ, আবেগসর্বস্বতাকে বাদ দিয়ে স্রেফ ফুটবল কোচ হওয়ার জন্য বিদেশের একাডেমিতে ট্রেনিং নিতে যান?
নূর আলম। নামটা অনেকের কাছেই আজও অচেনা। এই অচেনা থাকার প্রধান কারণই হল ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে গড় ভারতীয় ফুটবলমোদী জনতার আবেগসর্বস্বতা, বাস্তববোধহীনতা। ফুটবল সংস্কৃতির সঙ্গে ফুটবলীয় সাফল্যের যে মিথোজীবী সম্পর্ক, তা আদৌ কি গড়ে উঠেছে ভারতীয় ফুটবলে কোনও দিন? উত্তরটা সম্ভবত ‘না’।
বছর ২৩-এর মুর্শিদাবাদের নূর আলম, ছেলেটি সদ্য উয়েফার কোচিং লাইসেন্স পেয়েছেন, ইউরোপে গিয়ে কোচিং শিক্ষা নিয়ে ফিরেছেন দেশে। সম্ভবত প্রথম কোনও ২৩ বছরের ভারতীয় যুবক এমন স্বীকৃতির অধিকারী হলেন। তাঁকে যখন আইএফএ-র সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কেন এআইএফএফ বা এএফসি-র মতো গভর্নিং বডি-র লাইসেন্সিং-এর পরীক্ষায় না বসে উয়েফাতে গেলেন? তাঁর অকপট জবাবটি তুলে দেয়া যাক–
‘আমি দেখতে চেয়েছিলাম ইউরোপে কী কোচিং, কী মেথড, কী প্রজেক্ট তাঁরা মেনে চলে, যার জন্য বেস্ট কোচ, বেস্ট প্লেয়ার, বেস্ট ফুটবল ফিলোজফার ওরা তৈরি করে, যেটা আমরা পারি না। I wanted to learn from the best to make my country the best…’
একজন ২৩ বছরের যুবক আমাদের জ্ঞানচক্ষু খুলে দেয় কি? বোধহয় না। খুললে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে ঘরের মাঠে হারের পর মনবীরের গোল মিস, গুরপ্রীতের খারাপ পারফরম্যান্স, শুভাশিস বোস কিংবা রাহুল ভেকের মিসটেকের মতো ‘টিপ অফ আইসবার্গ’ নিয়ে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন্দলে নামতাম না। এমনকী, ইগর স্টিম্যাচের কাঁধে বন্দুক রেখে একটা সাময়িক পরিত্রাণের পথ খোঁজার বাতুলতাও দেখাতাম না। ইগর স্টিম্যাচ, গুরপ্রীত, সুনীল, শুভাশিস কিংবা রাহুল ভেকের ভুল ভারতকে বিপদে ফেলেছে, অনেকে বলছেন বিশাল কাইথ কেন দলে নেই? স্টিম্যাচের ম্যাচ রিডিং নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। অনেকে আবার এ-ও বলছেন সুনীল ছেত্রীর সোনালি সময় তো অতীত হয়ে গেছে। এসব উড়ে বেড়ানো আলোচনার সবটুকুই নেহাত উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। বহুক্ষেত্রে এগুলি সত্যও বটে। কিন্তু দল নির্বাচন কিংবা ম্যাচ রিডিং-এ ভুল ফুটবলে নতুন বা বিক্ষিপ্ত ঘটনা তো নয়। এ সবকিছুর ওপর যা এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি বিষয়, তা হল ভারতীয় ফুটবল দর্শকদের এ সত্যকে মেনে নেওয়া যে, আমাদের দেশের ফুটবল সংস্কৃতি উন্নত ফুটবল উপহার দেওয়ার জন্য যথেষ্টই ছিল না কোনও দিন। ভারতে ক্লাব কোচিং করিয়ে যাওয়া অ্যাশলে ওয়েস্টউড, আফগানিস্তানের দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে যে ফুটবল উপহার দিয়ে গেলেন, তা তিনি কি ভারতের কোচ থাকলে পারতেন? নিঃসন্দেহে বলে দেওয়া যায়, পারতেন না। ইগর স্টিম্যাচের হাতে দায়িত্ব দেওয়ার পর ভারত যে সাফল্য পেয়েছে, তা বিক্ষিপ্ত, সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়া বা কুয়েতের সঙ্গে জয়ের ঘটনার পর স্টিম্যাচের চুক্তিও বাড়ানো হয়েছে ২০২৬ সাল অবধি। কিন্তু স্টিম্যাক বুঝে গেছেন, ভারতীয় ফুটবলের আসল অসুখ, যা সহজে সারার নয়। তাই হয়তো কোয়ালিফায়ারে তৃতীয় রাউন্ডে না তুলতে পারলে কোচিং থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা আগেভাগেই ঘোষণা করে রেখেছেন।
ভারতে গ্রাসরুট লেভেল ডেভেলপমেন্ট, তৃণমূল স্তর থেকে প্লেয়ার তুলে আনা হচ্ছে না– জাতীয় একটা হিড়িক ওঠে দল হারলেই। কিন্তু এ প্রশ্ন আমরা করি না যে, ভারতীয় ফুটবলের একেবারে তলার লেভেলে যাঁরা সদ্য পায়ে বল পাওয়া কিশোরদের খেলা শেখান, তাঁদের কতজন লাইসেন্স প্রাপ্ত কোচ? কতজন প্রো-লাইসেন্স প্রাপ্ত কোচ আছে এ দেশে? কতজন তরুণ, আবেগসর্বস্বতাকে বাদ দিয়ে স্রেফ ফুটবল কোচ হওয়ার জন্য বিদেশের একাডেমিতে ট্রেনিং নিতে যান?
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
আইএসএল-এ হায়দরাবাদ এফসি দলের কোচ থাংবোই সিংটো, জামশেদপুর দলের কোচ খালিদ জামিল কোচিং পরীক্ষায় পাশ করে, বহুদিন বড় কোচেদের সান্নিধ্যে কাজ করে এখন আইএসএলের দলের হটসিটে বসে সাফল্য পাচ্ছেন। কিন্তু এই সংখ্যাটা নেহাতই দুই বা তিন। বাকি সমস্ত দলেই বিদেশি কোচেরা হটসিটে। বছর তিনেক আগে, ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ফুটবলার রবি ফাওলার ভারতে কোচিং করাতে এসে বলেছিলেন, এদেশের প্লেয়ারদের দেখলে মনে হয় গোড়া থেকে কোনও দিন সঠিক ট্রেনিং-ই পায়নি, বেসিকস এত কাঁচা।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
গত ৩০ বছরে এদেশে যেসব ভারতীয় কোচেদের বারবার মিডিয়ার সামনে সফল হিসেবে দেখানো হয়েছে, যাঁরা বারবার বিদেশি কোচেদের তুলোধোনা করেছেন, তাঁরা নিজেরা কেন কোচিং লাইসেন্সিং বিষয়টিকে ভারতে কার্যত উপেক্ষণীয় করে দিয়েছেন?
সাম্প্রতিক একটি উদাহরণের দিকে তাকানো যাক। আইএসএল-এ হায়দরাবাদ এফসি দলের কোচ থাংবোই সিংটো, জামশেদপুর দলের কোচ খালিদ জামিল কোচিং পরীক্ষায় পাশ করে, বহুদিন বড় কোচেদের সান্নিধ্যে কাজ করে এখন আইএসএলের দলের হটসিটে বসে সাফল্য পাচ্ছেন। কিন্তু এই সংখ্যাটা নেহাতই দুই বা তিন। বাকি সমস্ত দলেই বিদেশি কোচেরা হটসিটে। বছর তিনেক আগে, ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ফুটবলার রবি ফাওলার ভারতে কোচিং করাতে এসে বলেছিলেন, এদেশের প্লেয়ারদের দেখলে মনে হয় গোড়া থেকে কোনও দিন সঠিক ট্রেনিং-ই পায়নি, বেসিকস এত কাঁচা। কথাটা নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি, কিন্তু সেই সমালোচকরা কি একথা অস্বীকার করতে পারবেন যে, ভারত ১৯৭০ সালের পর থেকে গত ৫০ বছরে যে কোনও ধারাবাহিক সাফল্য পায়নি, তার প্রধান কারণ ভারতের ফুটবলে খেলোয়াড় তৈরির কারখানাগুলিতে এই ‘বেসিকস’-এর অভাব? হাউটনের ভারতের ২০০৭-’০৮ সালের সাফল্য কিংবা চিরিচ মিলোভানের আটের দশকের সাফল্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি, স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের দ্বিতীয় দফা কোচিং-এ ভারতের ২০১৮ বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের প্রথম রাউন্ডে দুরন্ত খেলেও দ্বিতীয় রাউন্ডে ধরাশায়ী হয়ে যাওয়ার পিছনেও বড় কারণ প্লেয়ারদের ধারাবাহিকতার অভাব, যা আসে এই ‘বেসিকস’ থেকেই।
একজন খেলোয়াড়ের একটানা ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলে যাওয়া এবং সেই প্লেয়ারের অনুপস্থিতিতে প্রায় সমমানের একজন প্লেয়ারকে বেঞ্চ থেকে তুলে আনতে পারার যে সিস্টেম, সেই চেন সিস্টেম তৈরিই হল না ভারতে। এন পি প্রদীপ-স্টিফেন ডায়াস-বাইচুংদের যখন বব হাউটন সাফল্যের রাস্তাটা দেখালেন, সেই বিন্দু থেকে দলটার উড়ানের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াল পরবর্তী সেট অফ প্লেয়ার্সদের অভাব। ইগর স্টিম্যাক বলছেন– আমাদের কিছু প্লেয়ার কেরিয়ারের সায়াহ্নে, আর কিছু প্লেয়ার একেবারেই নবাগত। অর্থাৎ, কোচের বক্তব্যতেই স্পষ্ট যে, দেশের ফুটবল পরিকাঠামো ভালো ফুটবলার তুলে আনার জন্য তো যথেষ্ট নয়ই, এমনকী একটি স্থায়ী প্লেয়ারের জোগানও দিতে পারছে না। এদিকে আইএসএল হচ্ছে প্রতিবছর, প্রতিবছর এদেশে এসে খেলে যাচ্ছে নামীদামি বিদেশি প্লেয়াররা। সুনীল ছেত্রীর পর, ভারতে একজনও ধারাবাহিক ভালো খেলা স্ট্রাইকার তৈরি হল না কেন? অসীম বিশ্বাস থেকে রবিন সিং, হালের বিপিন সিং থেকে বিক্রম প্রতাপ অবধি কেউই পারলেন না ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলে যেতে– অনেকদিন আগে, তৎকালীন পঞ্জাব এফসি-র কর্তা রঞ্জিত বাজাজ বলেছিলেন, আই লিগে প্রত্যেক বছর বড় দলগুলি নিজেদের স্ট্রাইকিং পজিশনে বিদেশি প্লেয়ারদেরই খেলায়, তাই হীনমন্যতায় ভুগে বহু উদীয়মান ভারতীয় স্ট্রাইকার সাইডব্যাক, উইং হাফের মতো পজিশনে নিজেদের সেট করে ফেলছেন। স্ট্রাইকার কেউ হতেই চাইছেন না– এ কি সত্যিই আমাদের সিস্টেমের অপারগতা নয়?
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
আরও পড়ুন: নিজেকে না বদলালে হার্দিকের পক্ষে দেশনায়ক হওয়া কতটা সম্ভব বলা মুশকিল
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
প্রশ্ন আসতে পারে, তবে কি ক্লাবগুলি নিজেদের ক্ষতি করে ভারতীয়দের চান্স দেবে? এ বিষয়ে একটি মজার তত্ত্ব মনে পড়ে। বাজার এবং কনিজিউমারের সম্পর্ক। কনজিউমার বলে, বাজার যা দেয়, কনজিউমার তা-ই কনজিউম করে, আর বাজার বলে, কনজিউমার যা কনজিউম করে, বাজার তা-ই প্রোভাইড করে। ভারতের ক্লাব ফুটবলের মসিহা হয়ে ওঠা ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ও তাঁদের বিপুল ফ্যানবেস এই দাবি তোলে যে, ভারতে ভালো স্ট্রাইকার নেই, তাই বিদেশি দরকার। অন্যদিকে, প্লেয়ারদের মতে, ভালো ভারতীয় স্ট্রাইকার বড় ক্লাবে চান্স পায় না, তাই তৈরিও হয় না– এক অদ্ভুত পরিস্থিতির সামনে আমরা!
আবার ধরা যাক, একজন এসিএল চোটপ্রাপ্ত খেলোয়াড়কে অপারেশন করাতে যেতে হচ্ছে বিদেশে। মাইকেল সুসাইরাজের মতো খেলোয়াড় এদেশে এসিএল-এর ট্রিটমেন্ট করে আর ফিরতে পারলেন না পুরনো খেলায়। স্পোর্টস মেডিসিন ও সার্জারির ক্ষেত্রে এই সীমাবদ্ধতা কি আমাদের প্রাপ্য এতবছর পরেও?
মাঝে পড়ে থাকে আরেক অজুহাত– ভারতে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তাকে ক্রমাগত আক্রমণ! কিন্তু কেবলই ক্রিকেটের জনপ্রিয়তার প্রতি বিষোদগার করে কি ফুটবলের ধারাবাহিক ব্যর্থতাকে আড়াল করা সম্ভব? না। নূর আলমের প্রসঙ্গে ফিরে যাই। তিনি বলছেন– ‘I want to learn from the best, to make my country the best…’– এই যে অন্যের ভালো থেকে শিক্ষা নেওয়ার খিদে, যা কি না একটি ফুটবল দল শুধু নয়, সমগ্র ফুটবল সংস্কৃতির পাখির চোখ হওয়া উচিত– দুর্ভাগ্যের বিষয় এদেশে তা হয় না। এদেশে ফুটবল দর্শক ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টাকা দিয়ে সাবস্ক্রিপশন নিয়ে দেখে কেবলই অবসর বিনোদন বা আবেগী সমর্থক হিসেবে, যা একেবারেই কাম্য। কিন্তু তারচেয়েও বেশি জরুরি, বিলিতি ফুটবল থেকে বা পৃথিবীর যে কোনও উন্নত ফুটবল সংস্কৃতির থেকে শেখা, যা হয় না, যে কারণে নূর আলমদের এখানে ব্যতিক্রমী চরিত্র হিসেবে দেখানো হয় আজও।
ভারতের বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের তৃতীয় রাউন্ডে যাওয়া কার্যত অসম্ভব। কুয়েতের বিরুদ্ধে জয় কঠিন। আবার এ-ও ঠিক হয়তো, ফুটবলের অনিশ্চয়তায় ভারত জিতে গেল, কিন্তু তারপরেও একথা মানতে হবে যে ভারতের সমস্ত সাফল্যই ক্ষণস্থায়ী, কারণ এই গোড়ার গলদগুলি দীর্ঘকালীন চিকিৎসার দাবি রাখে। এই দল আমূল বদলে ফেললে, কিংবা স্টিম্যাচ-সুনীলদের সরালেই কি কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসবে? সম্ভবত না। কারণ, এদেশের ফুটবলকে যদি সত্যিই এগোতে হয়, তবে তার পুরোধা হতে হবে ফেডারেশনকে, কালেভদ্রে প্রেসিডেন্ট বদলে, কোচের পাশে বসে ‘আমি নই আমরা’-র মতো গা-গরম করা স্টেটমেন্ট দিয়ে হাততালি কুড়োনো একপ্রকার ‘এসকেপ মেকানিজম’। তাদের বুঝতে হবে, ভারতীয় ফুটবল মানে কেবল ১১জন প্লেয়ার ও রিজার্ভ বেঞ্চ নয়, বরং দেশের দেড়শো কোটি জনতার ভেতর থেকে প্লেয়ার তুলে আনার হাজার হাজার ক্যাম্পগুলি। একটি বাড়ি বানানোর স্বপ্ন মানে কেবলই তার ছাদের দিকে তাকিয়ে থাকা নয়, সামগ্রিকতাকে স্বীকার করে নেওয়া।
আগামী পাঁঁচবছরে দেশের ফুটবল ও কোচিং পরিকাঠামোর আমূল বদল জরুরি, যা এই ফুটবল সংস্কৃতিতে করা কঠিনই কেবল না, কার্যত অসম্ভব।
তাই-ই হয়তো, বারবার একই ঘাটে ফিরে আসছে নৌকা, যার আবেগ আছে ষোলো আনা, কিন্তু ৫০ বছর পরেও কোনও গতিবেগ নেই।
রবীন্দ্রনাথ চিঠিতে নন্দলালকে লিখেছেন, ‘আমার ছবিগুলি শান্তিনিকেতন চিত্রকলার আদর্শকে বিশ্বের কাছে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেচে’। এ কি ভারি আশ্চর্যের কথা নয়? এখানে ‘শান্তিনিকেতন চিত্রকলার আদর্শ’ বলতে তিনি কি বোঝাতে চেয়েছেন?