এয়ারপোর্ট থেকে বাড়ি ফিরে অঞ্জলি নাকি বাবা-মায়ের কাছে সেই দিনই আপাতভাবে মজা করে ঘোষণা করল, সে আজ এয়ারপোর্টে এমন এক মানুষকে দেখতে পেয়েছে যাকে সে বিয়ে করতে চায়!
পামুকের এই সদ্য প্রকাশিত সুদূর পর্বতমালার স্মৃতি আত্মখনন ও সন্ধানের এক আশ্চর্য নোটবুক। ‘পেঙ্গুইন’ প্রকাশিত এই বইয়ের প্রতিটি পাতায় টার্কিশ ভাষায় পামুকের হাতের লেখায় তাঁর মূল নোটবইটির ছবি। প্রতিটি পাতা ধারণ করছে তাঁর আঁকা একটি রঙিন স্মৃতিপট।
আমার ভাবতে ইচ্ছে করে পিটার হ্যান্ডকে-কে অস্ট্রিয়ান শীতের সন্ধ্যেবেলা। বিকেল চারটে বাজলেই তো কুয়াশা নামে ঘনিয়ে। জুঁইফুলের মতো তুষার নামে বিস্তৃত আবছামির বুক থেকে।
ঢাকনাহীন নারীদেহের সৌন্দর্য লুপ্ত হয়েছে মিলানের অজস্র শব্দের তলায়, ডুবে গেছে আটলান্টিস-এর মতো।
যৌবনের পাপের জন্য অনুশোচনায় ভরে যাচ্ছে মন। কিন্তু বুড়ো বয়েসের আর এক পাপ যে করে যাচ্ছি। এলিয়টের ভাষাতেই বরং শিকার করি সেই পাপ। বললাম বটে আমি বৃদ্ধ অনুতপ্ত ঈগল। কিন্তু সত্যি তাই?
খাস ইংরেজ জন ক্লিল্যান্ড নানা বদ খেয়ালের বশে সে ক্রমশ জড়িয়ে পড়ছে ঋণে। এরই মধ্যে সে কিনেছে একটা সস্তার টেবিল। এই টেবিলে সে খায়-দায়। জুয়া খেলে। লেখে।
জন ডান শেষ করেন তাঁর প্রেমের কবিতা। পৃথিবীতে এমন প্রেমের কবিতা এই প্রথম লেখা হল। ডানের চোখের জল পড়ে টেবিলটার ওপর।
কেমন সেই টেবিল, কেমন সেই টেবিলের মন, প্রাণ, চেতনা, ভাবনা-স্রোত, যে টেবিলে বসে, তাঁর অক্সফোর্ডের বাড়িতে নীরদচন্দ্র লিখে ফেলেন ‘আত্মঘাতী রবীন্দ্রনাথ’, ‘আত্মঘাতী বাঙালী’, ‘বাঙালী জীবনে রমণী’র মতো তিনটি দুর্বার দরবারি গ্রন্থ, যাদের পাতায় পাতায় চমকে ওঠে বিদ্যুৎবাহী মেধা, মৌলিক মনন, আর বাংলা গদ্যের সাবেকি কৌলিন্য, আভিজাত্য, ধ্রুপদী ধৈবত!
লেখার টেবিলের কথা শুনে আমার নোবেল এক্সেপ্টেন্স লেকচারে আমি এক অপ্রত্যাশিত অঘটন ঘটিয়েছি। বলেই চলেছি, বলেই চলেছি শুধু গাছের কথা!
সত্যিই ইতিহাস মানুষের নারকীয় তাণ্ডব ও নির্বুদ্ধিতার তালিকা? এছাড়া আর কোনও পরিচয় নেই ইতিহাসের?
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved