শীর্ষেন্দুদার আজ ৯০ তম জন্মদিন। আমার সঙ্গে তাঁর পরিচয় বিমল করের মাধ্যমে ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’র দপ্তরে। ততদিনে শীর্ষেন্দুদা রীতিমতো বিখ্যাত লেখক। দে’জ থেকে তাঁর প্রথম বই ‘আক্রান্ত’ ছাপা হয় ১৯৮৫ সালের বইমেলার সময়। সেই হিসেবে তাঁর সঙ্গে দে’জ পাবলিশিং-এর সম্পর্কের এটা ৪০ বছর পূর্ণ হল।
বিনা অনুমতিতে, স্বত্ব না কিনে, মূল ভাষার ধারেকাছে না গিয়ে, এবং সর্বোপরি গুগল ট্রান্সলেট জাতীয় কোনও সফ্টওয়্যারের যোগসাজসে এই যে অনুবাদকার্য সম্পন্ন হচ্ছে, এবং যেসব পাঠক পয়সা খরচ করে এই সব অনুবাদগ্রন্থ ক্রয় করছেন, তাঁরা দুধের স্বাদ ঘোলেই মেটাচ্ছেন না তো?
বিমল কর নিহিত সেই পাতালের মুখ– কখনও যা সামাজিক ঔচিত্যের বিধানে নাড়া দেয়– অকপটে খুলে ধরেন, কিন্তু আখেরে পৌঁছে দিতে চান কামনার স্থূল অন্ধিসন্ধি পেরিয়ে ভালোবাসার ব্যাপ্ত চরাচরে। গোপন কামনা-বাসনার খবরাখবর মেলে ধরা গেলে সেই সূত্র গোটা মানুষের কাছে নিয়ে যায়, প্রকৃত অবস্থান বোঝা যায় তাঁর।
নতুন প্রকাশকরা আর প্রতিষ্ঠিত প্রকাশকরা কলকাতার বইপাড়ায় বড়ো শো-রুম ধরনের দোকান দিচ্ছেন রাস্তার বিপরীতের বাড়িগুলির বিভিন্ন তলা জুড়ে, তখন পত্রপত্রিকা সমাজ মাধ্যমের বিজ্ঞাপন আর প্রকাশকের গ্রন্থ-তালিকা পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাচ্ছে কথাসাহিত্য, মানে ‘ফিকশন’ যত প্রকাশিত হচ্ছে তার সিংহভাগই হল গোয়েন্দা কাহিনি আর রহস্য-রোমাঞ্চ।
বিভূতিভূষণের লেখা মন দিয়ে পড়লে লুপ্ত প্রকৃতির তাজা-স্পর্শ পাওয়া যায়। তিনি একটু একটু করে সযত্নে ভালবাসার প্রকৃতি-বিজ্ঞান তৈরি করে রেখেছেন আমাদের জন্য।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved