লোকমুখে শুনেছিলাম, উমাদিকে বাবা কোনও ইন্সট্রাকশন দেননি। অর্থাৎ, সেভাবে কোনও ডিরেকশনই দিতে হয়নি। চিত্রনাট্য পড়ে এতটাই নাকি তৈরি ছিলেন তিনি! এবং স্বাভাবিকভাবেই মনে হয়নি যে, এটা ওঁর প্রথম ছবি। সকলেই খুবই চমৎকৃত হয়েছিলেন ওঁর কাজ দেখে। এমনকী, ওঁকে নাকি কখনও সেকেন্ড টেক দিতে হয়নি।
সুব্রহ্মণ্যনের দুর্গায় ত্রিশূল ব্যতীত দেবী ও মানবীর মধ্যে ফারাক খুঁজে পাওয়া ভার। তিনি মনে করেন, মানুষের অন্তরে দেবত্ব আর পশুত্বের যে সহাবস্থান, সেখানেই অসুরদলনীর সারসত্যটি উদ্ঘাটিত। বাইরে থেকে আরোপিত নয়, শ্রেয় আর প্রেয়র দ্বন্দ্বে সত্য এবং সুন্দরের প্রতিষ্ঠার মধ্যেই দেবীর সত্যিকার আবির্ভাব।
নন্দলাল বসুর ছবিতে অধিকাংশ দুর্গা বেগবতী। তাদের ডানদিকে ফেরানো সিংহের মাথা আর তারা সেই গতিমুখেই যুদ্ধে রত। বাংলার সরাচিত্রের মতো কম্পোজিশন নয়। সেখানে দুর্গা অনেক স্থির।
দারিদ্রে লালিত, আজন্ম বস্তুসুখে বঞ্চিত মেয়েটি যেন এক আশ্চর্যময়ী। সে দুয়ারের ভিখারিকে ভিক্ষা দেয় পিছনপানে সংকটের দিকে তাকাতে তাকাতে, মৃদু ভীত, অপারগ, যে সমস্যাগুলি সে এখনও পুরোপুরি বোঝে না, তাকে বুঝছে কিন্তু বুঝছে না... পিতৃতান্ত্রিক পরিবারে ভাইয়ের গুরুত্ব বেশি সে জানে।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved