Robbar

Ritwik Ghatak

দেশভাগের পর স্মৃতিই হয়ে উঠেছিল রণেন রায়চৌধুরীর গানের খাতা

কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ ঘোষিত হলে, ১৯৪৮ সালের জুলাই মাসে গ্রেফতার হন রণেন রায়চৌধুরী। ১১ মাস কারাবাস আর ৭ মাস নজরবন্দি থাকার পর মুক্তি পেয়ে, আটক করা বইপত্র ফেরত পেলেও, তার মধ্যে থাকা গানের খাতাগুলি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারপরে ছিন্নমূল হয়ে দেশ ছাড়ার কারণে শুধু স্মৃতিতে থেকে যাওয়া গানগুলিই হয়ে উঠেছিল তাঁর ‘নির্ধনিয়ার ধন’।

→

ধূমপান নিষেধের নিয়ম বদলান, আকাশবাণীর স্টেশন ডিরেক্টরকে বলেছিলেন ঋত্বিক ঘটক

আকাশবাণীতে ঋত্বিক ঘটক স্টেশন ডিরেক্টরকে বলেছিলেন, ‘আমি স্বদেশি লোক। সিগারেট নয়, বিড়ি খাই। আপনারা আপনাদের নিয়ম পাল্টান। আর্টিস্টরা বিড়ি খাবে না– এটা হতে পারে না।’

→

ঋত্বিকের ‘বাড়ী থেকে পালিয়ে’ রুক্ষ বাস্তবের, শিব্রামের ‘বাড়ী থেকে পালিয়ে’ অনাবিল শিশুসাহিত্য

বইয়ের পাতার কাঞ্চন যখন সেলুলয়েডের কাঞ্চন হয়ে ওঠে, তখন তা আর শিব্রামের কাঞ্চন থাকে না, তা হয়ে যায় ঋত্বিকের কাঞ্চন। সেই কাঞ্চন দেখে এক কাঞ্চন দেশের স্বপ্ন, যার নাম এল ডোরাডো।

→

‘কোমল গান্ধার’ এক প্রেমের ছবিই, যা ভবিষ্যৎ অর্থনীতির দলিল হয়ে উঠেছিল

৬০ বছর পরের ভবিষ্যৎ অর্থনীতির দলিল হয়েও কোমল গান্ধার অপূর্ব প্রেমের ছবি। একটি ব্যক্তিগত ছবি। ব্যক্তিগত দলিল। ঋত্বিক ঘটকই ভৃগু।

→

জগদ্দল মানুষ হয়, বিমল হয়ে যায় যন্তর, যার পোড়া পেট্রোলের গন্ধে নেশা লাগে

একটা ভাঙাচোরা লড়ঝড়ে গাড়ি’র মনুষ্যত্ব– নেহাতই উন্মাদ না হলে এই ছবির উদ্ভট প্লট কেউ বিশ্বাস করবে না, ‘অযান্ত্রিক‌’ প্রসঙ্গে বলেছিলেন ঋত্বিক।

→

শালবনে মাতাল নীলকণ্ঠের যে গমনাগমন– তা আসলে শ্মশানের পরপারে বসে থাকা মানুষের

এই হলাহল পান করার অধিকার তো একমাত্র তাঁর। একমাত্র তিনিই, নীলকণ্ঠ বাগচি ওরফে ঋত্বিক ঘটক।

→

গীতা আর নীতার তফাত আদর্শচ্যুত মানুষ আর আদর্শে বেঁচে থাকা মানুষের তফাত

‘মেঘে ঢাকা তারা’ যে বছর জাতীয় পুরস্কারের জন্য লড়েছিল, সে বছর জুরিতে ছিলেন কারা? তাদের কি সিনেমার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না! সুপ্রিয়া দেবীর জাতীয় পুরস্কার না পাওয়াটা নীতার জীবনের মতোই বিশ্বাসঘাতকতার!

→

তিতাস শুকোয়, কান্না শুকোয় না, সুরও না

তিতাস কি ভালোবাসার নাম নয়? তিতাস কি সারল্যের নাম নয়? জীবনের বাঁকের নাম কি তিতাস? প্রতিবাদের নাম কি তিতাস?

→

ঘাটশিলায় হঠাৎ বহুরূপী কালীর সঙ্গে দেখা না হলে ‘সুবর্ণরেখা’-র ওই দৃশ্য তৈরি হত না

‘মেঘে ঢাকা তারা’-তে নীতা জগদ্ধাত্রীর প্রতীক– কোমল, আশ্রয়দাত্রী। আর সেখানেই তাঁর মা একধরনের টেরিবল মাদার।

→

একবার সুন্দরের পানে চেয়ে, একবার বেদনার পানে

গুরু দত্তের সঙ্গে বাঙালির একটি নিজস্ব অন্তরসূত্র আছে। গুরু দত্তের প্রাথমিক শিল্পশিক্ষা তো উদয় শঙ্করের কাছে। ‘ইন্ডিয়ান কালচারাল সেন্টার’-এ, আলমোড়ায়। এবং সেখানে তিনি ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সাহেবকেও পেয়েছিলেন।

→