Robbar

Robbar Digital

ছবি-আঁকিয়ে অনিল চট্টোপাধ্যায় ও একটি অপ্রকাশিত চিঠি

নায়ক নয়, চরিত্রাভিনেতা হওয়ার দিকেই ঝোঁক দিয়েছিলেন তিনি। অসম্ভব ভালোবাসতেন ছবি। নিজের ছবি আঁকার হাতটিও ছিল চমৎকার। ছবির সমঝদার সেই মানুষটি চিঠির সঙ্গে মাঝে মাঝেই এঁকেছিলেন ছবি। সেসব ছবি ও ব্যক্তিগত স্মৃতির ঝলক মিশিয়ে এই লেখা।

→

‘হিন্দু’ বা ‘মুসলমান’ নয়, ধর্ম-পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে তবসসুম বলতেন ‘মনুষ্যত্ব’

দুর্ভাগ্যজনকভাবে শব্দের উঠোনে আর ভাষার দেওয়ালে আমরা পুঁতে রেখেছি ধর্মের আমূল পেরেক– সেই রেওয়াজের ঠিক উলটো পথে হেঁটে, আসগারি আর অযোধ্যানাথ ছোট্ট কিরণবালার নাম রেখেছিলেন খাঁটি আরবি শব্দে, ‘তবসসুম’।

→

ওকাকুরা আর প্রিয়ম্বদার প্রেম: জাপানি ছবির বিষণ্ণ অপেরা

প্রিয়ম্বদা তখন চল্লিশোর্ধ্ব আর ওকাকুরা পঞ্চাশের দ্বারপ্রান্তে। শান্ত, শুভ্র, করুণ শঙ্খের মতো অথচ দীপ্তিময় প্রিয়ম্বদাকে দেখে মন হারিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মনে হয়েছিল, প্রিয়ম্বদা যেন সূক্ষ্ম রেখা ও হালকা রঙে আঁকা এক জাপানি ছবির মতো। শোনা যায়, ‘শ্বেত কমল’ নামে তাঁর একটি ছবিও এঁকেছিলেন তিনি।

→

দলকল্যাণের জন্য রাজনীতি সমাজকে নরকে পরিণত করবে, বিশ্বাস করতেন মহাশ্বেতা দেবী

‘তিন কন্যা’ ও ‘অধবা’ নামে দু’টি নভেলেট একত্রে গ্রথিত হয়েছিল দে’জ থেকে। বইটির পরিচিতিতে লেখা হয়েছিল– ‘রাজনীতি যখন জনকল্যাণের পথ ছেড়ে দলকল্যাণের হাতিয়ার হয়ে ওঠে, তখন তা সমাজকে অবক্ষয়ের কোন নরকে পৌঁছে দেয়– তারই এক নিরাবরণ চিত্র… ‘তিনকন্যা’ ও ‘অধবা’…।’

→

কলকাতায় যখন বোমা পড়েছিল পরিবার-সহ ‘দ্যাশের বাড়ি’তে আশ্রয় নিয়েছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

সুনীলের ‘একা এবং কয়েকজন’ উপন্যাস এবং সুনীলের ‘কেউ কথা রাখেনি’ কবিতায় মামাবাড়ির মাঝি নাদের আলি ও তিনপ্রহরের বিলের কথা রয়েছে। মাদারীপুরে তিনটি প্রধান নদ-নদী বাদে রয়েছে অসংখ্য খাল-বিল। কিন্তু কোথাও ‘তিনপ্রহরের বিল’ নেই, রয়েছে কেবল সুনীলের গদ্য-পদ্যে।

→

বাড়ি থেকে পালিয়ে দু’জন, মিশলেন বাড়ি থেকে পালিয়ে ছবিতে

‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’ আজকে যখন আমরা দেখি তখন আসলে দেখি দুই বন্ধুর গল্প। এই দুই বন্ধুর গল্পের মধ্য দিয়ে কীভাবে একটা সংগীত, ছবি– সব মিলিয়ে এক বিস্ময়কর জায়গা তৈরি হয়।

→

রিয়া-রাখির বিয়ে নিয়ে শোরগোলে ক্যুইয়ার সম্প্রদায়ের মানুষ শুধুই চমকদৃশ্য হয়ে থেকে যাচ্ছে না তো?

লেখা শেষ করে জানলাম, রিয়া-রাখির বিয়ে মোটেও রাখির গ্রামে হয়নি, তাদের এক বন্ধু সাংবাদিক তার নিজের গ্রামে তাদের নিয়ে আসে, বিবাহ অনুষ্ঠান সেখানেই সম্পন্ন হয়। কেন নিয়ে আসতে হল? পরিস্থিতি কি তাহলে অনুকূল ছিল না? পাঠক, এই ধোঁয়াছবি দেখতে দেখতে অপেক্ষা করুন।

→

স্বল্পভাষী দুলাল দত্তর সম্পাদনাই চিরকালের গল্প বলেছে

সিনেমার নেপথ্য-কর্মী দুলাল দত্ত-র মতো মানুষকে মৃত্যুর মাত্র দেড় দশক পরে বেমালুম মানুষকে বেমালুম ভুলে যাওয়া বাঙালির মজ্জাগত স্বভাব। তাঁকে কি সম্পূর্ণ বিস্মৃত হয়েছি আমরা? জীবিতকালেও জীবনের শেষভাগে এসে একেবারে একা হয়ে গিয়েছিলেন মানুষটি।

→

শিশুঘাতক থেকে কেন শিশুরক্ষক দেবতা হয়ে উঠলেন কার্তিক?

দেবসেনাপতি কার্তিক। প্রজননের দেবতা বা কৃষিদেবতা রূপেই কার্তিকের সমধিক পরিচিতি। কার্তিক নিজে একসময় অপদেবতা বা ভয়ংকর ক্ষতিকারক শিশু-হন্তারক পিশাচবর্গের দেবতা ছিলেন। পরে তিনিই বৌদ্ধ হারিতীর মতো মঙ্গলময় শিশুরক্ষক দেবতায় পরিণত হলেন। কিন্তু কেন?

→

মাদাম জারমেইনের বই-ই ইতিহাসে প্রথম, যার পাণ্ডুলিপি নষ্ট করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল শাসক

মাদাম দ্যে স্তালের যে কোনও কিছু আলোচনা করার ঠাট হল পাশাপাশি রেখে তুলনা করা। একদিকে ফরাসি বিপ্লবের চরমপন্থায় তাঁর অনাস্থা, অন্যদিকে আলোকপ্রাপ্তির জ্ঞানের বিভব হিসেবে রোম্যান্টিক দর্শনের বিশ্বাস– এইসব মিলিয়ে ‘‘দ্যে ল’আলেমান’’ বইটিতে তিনি ফরাসি রাষ্ট্রচেতনার উল্টো‌দিকে জার্মানির ক্লাসিসিজমকে ইউরোপের জন্য একটা স্থিত আদর্শ হিসেবে পেশ করলেন।

→