কীর্তনের উদ্দেশ্যকে মাথায় রেখেই একসময় শুরু হয়েছিল ‘খ্রিস্টকীর্তন’! এর সূচনা সেই নদীয়ার চাপড়াতেই। সেখানে যিশুর বন্দনায় শোনা যেত শ্রীখোল, করতাল ইত্যাদি কীর্তন-উপযোগী বাদ্য।
১৯৭০ বা ’৭১ সালে। নকশাল আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের মুখ, হত্যা-প্রতিহত্যা, বামপন্থার নানাখানা চেহারা আর নকশাল দমনের ভয়াবহতার প্রতিবেশে মারি ফারার কলকাতায় হাজির হয়েছিল। কেয়া আর অজিতেশ-এর অনুবাদ খরখরে গদ্যে সেদিন মারি-কে হাজির করেছিল।
নায়ক নয়, চরিত্রাভিনেতা হওয়ার দিকেই ঝোঁক দিয়েছিলেন তিনি। অসম্ভব ভালোবাসতেন ছবি। নিজের ছবি আঁকার হাতটিও ছিল চমৎকার। ছবির সমঝদার সেই মানুষটি চিঠির সঙ্গে মাঝে মাঝেই এঁকেছিলেন ছবি। সেসব ছবি ও ব্যক্তিগত স্মৃতির ঝলক মিশিয়ে এই লেখা।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে শব্দের উঠোনে আর ভাষার দেওয়ালে আমরা পুঁতে রেখেছি ধর্মের আমূল পেরেক– সেই রেওয়াজের ঠিক উলটো পথে হেঁটে, আসগারি আর অযোধ্যানাথ ছোট্ট কিরণবালার নাম রেখেছিলেন খাঁটি আরবি শব্দে, ‘তবসসুম’।
প্রিয়ম্বদা তখন চল্লিশোর্ধ্ব আর ওকাকুরা পঞ্চাশের দ্বারপ্রান্তে। শান্ত, শুভ্র, করুণ শঙ্খের মতো অথচ দীপ্তিময় প্রিয়ম্বদাকে দেখে মন হারিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মনে হয়েছিল, প্রিয়ম্বদা যেন সূক্ষ্ম রেখা ও হালকা রঙে আঁকা এক জাপানি ছবির মতো। শোনা যায়, ‘শ্বেত কমল’ নামে তাঁর একটি ছবিও এঁকেছিলেন তিনি।
‘তিন কন্যা’ ও ‘অধবা’ নামে দু’টি নভেলেট একত্রে গ্রথিত হয়েছিল দে’জ থেকে। বইটির পরিচিতিতে লেখা হয়েছিল– ‘রাজনীতি যখন জনকল্যাণের পথ ছেড়ে দলকল্যাণের হাতিয়ার হয়ে ওঠে, তখন তা সমাজকে অবক্ষয়ের কোন নরকে পৌঁছে দেয়– তারই এক নিরাবরণ চিত্র… ‘তিনকন্যা’ ও ‘অধবা’…।’
সুনীলের ‘একা এবং কয়েকজন’ উপন্যাস এবং সুনীলের ‘কেউ কথা রাখেনি’ কবিতায় মামাবাড়ির মাঝি নাদের আলি ও তিনপ্রহরের বিলের কথা রয়েছে। মাদারীপুরে তিনটি প্রধান নদ-নদী বাদে রয়েছে অসংখ্য খাল-বিল। কিন্তু কোথাও ‘তিনপ্রহরের বিল’ নেই, রয়েছে কেবল সুনীলের গদ্য-পদ্যে।
‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’ আজকে যখন আমরা দেখি তখন আসলে দেখি দুই বন্ধুর গল্প। এই দুই বন্ধুর গল্পের মধ্য দিয়ে কীভাবে একটা সংগীত, ছবি– সব মিলিয়ে এক বিস্ময়কর জায়গা তৈরি হয়।
লেখা শেষ করে জানলাম, রিয়া-রাখির বিয়ে মোটেও রাখির গ্রামে হয়নি, তাদের এক বন্ধু সাংবাদিক তার নিজের গ্রামে তাদের নিয়ে আসে, বিবাহ অনুষ্ঠান সেখানেই সম্পন্ন হয়। কেন নিয়ে আসতে হল? পরিস্থিতি কি তাহলে অনুকূল ছিল না? পাঠক, এই ধোঁয়াছবি দেখতে দেখতে অপেক্ষা করুন।
সিনেমার নেপথ্য-কর্মী দুলাল দত্ত-র মতো মানুষকে মৃত্যুর মাত্র দেড় দশক পরে বেমালুম মানুষকে বেমালুম ভুলে যাওয়া বাঙালির মজ্জাগত স্বভাব। তাঁকে কি সম্পূর্ণ বিস্মৃত হয়েছি আমরা? জীবিতকালেও জীবনের শেষভাগে এসে একেবারে একা হয়ে গিয়েছিলেন মানুষটি।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved