E-Robbar
টাইপিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে মেয়েদের একচেটিয়া ছিল টেলিফোন অপারেটরের কাজ। শুধু কলকাতা শহরে নয়, বিশ্ব জুড়েই এই কাজের জন্য মেয়েদের বিশেষ ভাবে উপযোগী মনে করা হত। এর নেপথ্যেও ওই একই যুক্তি– মেয়েদের গলার স্বর, কথা বলার ভঙ্গি ইত্যাদি।
অন্বেষা সেনগুপ্ত ও সীমন্তিনী মুখোপাধ্যায় ও সুপূর্ণা ব্যানার্জি ও
হামাগুড়ি দিলেও বাঙালি সমাজে গোপাল কিন্তু নিতান্ত ‘শিশু’ নয়। এপার বাংলা আর ওপার বাংলা এক হয়ে গিয়েছে গোপালের কাছে। শহরে গোপাল তাঁর ঈশ্বরত্ব সরিয়ে রেখে ঘরের এক মানুষ হয়ে গিয়েছেন সময়ের সঙ্গে।
পিনাকী ভট্টাচার্য ও
তান্ত্রিক থ্রিলারের ‘ফর্মুলা’ খুব সোজাসাপ্টা– অকাল্ট এমন এক প্র্যাক্টিসের ইতিহাসের অতল হতে উত্থান হবে যা পেগান, আধিভৌতিক, তামসিক, ভীতিপ্রদ আসলে ‘অনাধুনিক’। তার সাথে সংঘাত হবে এমন কিছু বাঙালির যারা উচ্চবর্ণ হিন্দু, যাদের কাছে আধুনিকতা ‘আছে’। অর্থাৎ একধরনের সাবর্ণ ‘ভদ্রলোক’ আধুনিকতা ও অবদমিত মধ্যযুগীয় প্রাগাধুনিকের বিভীষিকার কনফ্রন্টেশনের গল্প।
অনিন্দ্য সেনগুপ্ত ও
বিভিন্নরকম স্নায়বিক সমস্যা, অ্যালার্জি, কিছু কিছু খাবার এবং ওষুধের প্রতিক্রিয়া– এরকম হরেক সমস্যার জন্ম দিতে পারে জোর করে বাঁ-হাতের অভ্যাস বদল। শুধু তাই নয়, চোখ, কান, মস্তিষ্ক ও হাতের সমন্বয়ের সমস্যা দেখা দেওয়াও খুব স্বাভাবিক। ফলে শিশুদের সহজাত গুণগুলি প্রকাশে বাধা পায়।
মৌসুমী ভট্টাচার্য্য ও
এক বছর ধরে ওয়ার্কশপ, মাস পাঁচেকের রিহার্সালের পর একদিন দেবেশদা যান চেতনা নাট্যদলের মহলাকক্ষে। নাটকের অভিনয় দেখে তিনি না কি হাততালি দিয়ে উঠেছিলেন এবং সেদিনই মন্তব্য করেছিলেন যে এটা বাংলা নাটকের ইতিহাসে একটা অভিনব ঘটনা হতে চলেছে।
সুধাংশুশেখর দে ও
‘দ্য পিয়ানিস্ট’, ‘চায়না টাউন’ কিংবা ‘নাইনথ গেট’ যতটা আলোচিত, ততটা আলোচিত নয় এই ট্রিলজির ছবিগুলি। ‘রোজমেরিস বেবি’ অবশ্য ব্যতিক্রম। কিন্তু বাকি দু’টি ছবি নিয়ে সেভাবে কথা হয় না। তবু নবতিপর পোলানস্কির শিল্পকৃতির মননকে বুঝতে হলে এই ছবিগুলিকে বাদ দেওয়া যাবে না। কারণ এই ছবিগুলির নেপথ্যেই লুকিয়ে রয়েছে তাঁর নির্জন ‘অপর’ বোধ।
বিশ্বদীপ দে ও
আজকের পুঁজিতান্ত্রিক রাশিয়ার সোভিয়েত সমাজতন্ত্রের কোনও কোনও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার যে প্রয়াস চলছে তাকে সমাজতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রয়াস বলে চালানো ঠিক হবে না। সমাজতন্ত্র থেকে পাঠ নিতে তার কোনও কোনও সুকৃতিকে কাজে লাগিয়ে গরিবগুর্বোদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তথাকথিত ‘জনকল্যাণ মূলক’ পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের ভিত শক্ত করাই এর মূল উদ্দেশ্য।
অরুণ সোম ও