Robbar

Sangbad Pratidin Robbar

বস্তু নাকি ভাবনা, শিল্পকলায় কী খোঁজেন?

কলা হয়ে উঠল সামাজিক মাধ্যমের নায়ক, শিল্পজগতে এক ঝড়। হাসির মাঝে প্রশ্ন উঠতে শুরু করল, শিল্প আসলে কী? এই কলা তো একদিন পচে যাবে, তবু কেন এটি ১২০,০০০ ডলারে বিক্রি হল? কেন আরেকটি সংস্করণ গেল ১৫০,০০০ ডলারে?

→

গাজা, দুর্ভিক্ষ ও উদাসীন নাগরিকদল

গাজার থেকে অনেক হাজার মাইলের নিরাপদ দূরত্বে বসে আমিরের গল্প বা এই না-খেয়ে  প্রায় মৃত বাচ্চাদের ছবি দেখি, কিন্তু আসলে কল্পনাও করতে পারি না কীসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এরা আর এদের মা-বাবারা, যদি তাঁরা বেঁচে থাকেন। চ্যানেল পাল্টে দিই, এই দুর্বিসহ খবর পড়া বন্ধ করে দিই, নিজের জীবনযাপন করি, নিজেদের সমস্যায়, নিজেদের সুখশান্তির আশায়। কিন্তু মাঝে মাঝেই মনে হয়, আমাদের মতো ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র মানুষেরা, যাঁরা সবাই আজকের পৃথিবীর জনগণ হয়ে, এটার সাক্ষী  হয়ে থাকছি প্রতিক্রিয়াহীন।

→

চন্দননগর না ব্লুমসবেরি কোথায় বাড়ি ভার্জিনিয়ার, তার চেয়ে জরুরি প্রশ্ন: তাঁর ঘর ছিল না কেন?

বহু বছর আগে ইতিহাসবিদ উইলিয়াম ডালরিম্পল প্রথম বলেছিলেন, ভার্জিনিয়া উলফ নাকি আংশিকভাবে বাঙালি– তাঁর মাতৃকুলের শিকড় নাকি এই ভূখণ্ডেই। তাঁর দাবি, উলফের প্রপিতামহী চন্দননগরে জন্মেছিলেন এবং তাঁর বিবাহের নথিও খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু উলফকে বোঝার জন্য কি তাঁর রক্তের ভূগোল জরুরি, নাকি তাঁর লেখায় ঘুরে বেড়ানো শূন্যতাগুলো?

→

গান্ধীনগরে রাত্রির কবিই প্রথম বিদ্রুপাত্মক তেতো হাসি এনেছিলেন বাংলা কবিতায়

২০০৮ সালেই আমি মণিভূষণ ভট্টাচার্যের প্রবাদপ্রতিম কাব্যগ্রন্থ ‘গান্ধীনগরে রাত্রি’ পুনর্মুদ্রণ করি। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭৪ সালে। এই কবিতা-বইয়ে তিনি বাংলার বিপ্লবপন্থী রাজনৈতিক কর্মীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। সাতের দশকে নকশালবাড়ি আন্দোলন বাংলার রাজনীতিতে আলোড়ন তুলেছিল।

→

আমাদের বিস্মৃতিশক্তির কথা বলে গিয়েছেন ভাস্কর চক্রবর্তী

কবিদের নিয়ে কথা উঠলেই মনে হয়, রবীন্দ্রনাথের পরে গত ৭৫ বছরের বাংলা কবিতায়  ভুলে যাওয়া নিয়ে স্মৃতি-বিস্মৃতির কাজ কারবারে ভাস্করের মতো এতটা আলো কেউ ফেলেননি। রবীন্দ্রনাথের গানে কবিতায় ভুলে যাওয়ার যে অপূর্ব আসা-যাওয়া আছে তা নিয়ে আমরা যদি বসি, কত যে বাঁচার পথ পাওয়া যাবে!

→

রবীন্দ্রনাথের নীড় থেকে জীবনানন্দর নীড়, এক অলৌকিক ওলটপালট

থতমত খেয়ে তিনি ‘নীড়’ শব্দটির দিকে তাকালেন। সেখানে রবীন্দ্রনাথের হাতযশ ছিল। ‘পাখী আমার নীড়ের পাখী’ নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে তিনি পাশার দান দিলেন ‘পাখীর নীড়ের মতো’– এ যেন হেগেল থেকে মার্কস– এক অলৌকিক উল্টে দেওয়া। সংস্কার থেকে শব্দ প্রতিস্থাপনের দায় কবির মৌলিক দায়। একেই ‘ভাষা বিহার’ বলে।

→

তিল থেকে তাল

গোপন অঙ্গে তিল মানে আবার রোমান্টিক চ্যালেঞ্জ! এটি কার কার রয়েছে, এখানে বলা মুশকিল কিন্তু যার যারই রয়েছে তারা বিবেককে (অগ্নিহোত্রী নয়) প্রশ্ন করে দেখতে পারেন!

→

সেকালের ডাকাতির গপ্প

সেকালের ডাকাতদের অত্যাচার ছিল ভয়ংকর। মেয়েদের গায়ে হাত দিত না। কিন্তু সব রাগ পুষিয়ে নিত বাড়ির পুরুষকে বাগে পেলে। উনুনে আগুন জ্বেলে তামার টাটে ন্যাংটো বসিয়ে চেপে ধরত। কিংবা ঢেঁকির গড়ে উপুড় করে শুইয়ে দুটো দশাসই ডাকাত পার দিত মাজার ওপরে। মাঝার হাড় ছাতু হয়ে যেত।

→

শরীরে সিঁদুর-শাঁখা-পলা নেই, সধবা হয়েও সাদা শাড়ি পরতেন উনিশ শতকের অঘোরকামিনী রায়

অঘোরকামিনী সময়ের রীতি মেনে দেবী হননি, হয়েছিলেন, ‘রায়’, ‘মিসেস রায়’। এই কারণে যদি বলি, অঘোরকামিনী রায়, ডক্টর বিধানচন্দ্র রায়ের মা, তাহলে বোধহয় নিজেকে আবদ্ধ করলাম প্রথাগত চিন্তার আবদ্ধতায়। অপমান করে বসলাম, প্রবল আত্মমর্যাদাসম্পন্ন, ব্যতিক্রমী সেই নারীকে। বরং মনের মুক্তি সঙ্গে কলমের শান্তি লেগে থাকে, যদি বলি, অঘোরকামিনী রায়ের কনিষ্ঠ সন্তান পশ্চিমবঙ্গের রূপকার তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর বিধানচন্দ্র রায়।

→

প্রধানমন্ত্রীকেও রাগ-তাল জানতে হবে, নইলে দেশ সুরে থাকবে কী করে, বলেছিলেন খাঁ সাহেব

বিসমিল্লা পাঁচ ওয়াক্ত নমাজ পড়তেন, তাঁরই সারাদিনের সাধনায় অসংখ্য রাধাকৃষ্ণর বিরহের সুর। আমি দেখেছি, রাধার বিরহের বাজনা বাজাতে বাজাতে খাঁ সাহেবের চোখ দিয়ে টপটপ করে জল পড়ছে। উস্তাদ বিসমিল্লা খাঁ-র মৃত্যুদিনে, তাঁকে দিয়েই শুরু হল নতুন কলাম ‌‘ঘোষবর্ণ’।

→