Robbar

Sangbad Pratidin Robbar

উত্তরের আশায় লেনিনকে সমাধির ঠিকানায় চিঠি পাঠাত সাধারণ মানুষ

তিনি মৃত কি মৃত নন বড় কথা নয়– বহু সোভিয়েত নাগরিকের ধারণা ছিল তাদের দুঃখ-দুর্দশার একটা সদুত্তর লেনিনই দিতে পারেন। অধিকাংশ চিঠিই আসত ট্রান্সককেশাস ও মধ্য এশিয়া থেকে।

→

বানু মুশতাকের লেখা সংস্কৃতিগতভাবে আলাদা, তবুও নারীপৃথিবীর অভিজ্ঞতায় খুব আলাদা নয়

মুসলিম সমাজের প্রেক্ষিতে এই বই লেখা হলেও কোনও এক নির্দিষ্ট ধর্ম বা ভৌগোলিক অবস্থানে এই বইকে সীমাবদ্ধ করা যাবে না। নারীর জন্ম এবং এই পুঁজিবাদী, ভোগবাদী, পিতৃতান্ত্রিক, ধর্মান্ধ পৃথিবীতে তার যাপন এক অর্থে বিপ্লব।

→

‘সেকু’ বনাম ‘কীসের কুসুম’

বলুক ওরা সেকু, বলুক দেশদ্রোহী, বলুক গান্ডে-পিন্ডে দেশের খাচ্ছি, বলুক নজরুল ভুল, বলুক কীসের কুসুম, তবু আমরা ওদের থামাব। থামাতেই হবে ওদের রক্তপিপাসা আর যুদ্ধজিগিরের মৌলবাদী উসকানি।

→

ইতিহাস জানা থাকলে ‘পাক’ নিয়ে এত বিপাকে পড়তে হত না

১৯০২ থেকে ১৯৪০ মহারাজ কৃষ্ণরাজা মাইসোরে রাজত্ব করেছেন। বলা হয় মাইসোরের স্বর্ণযুগ। কৃষ্ণরাজা ছিলেন খাদ্যরসিক। তাঁর রসনাতৃপ্তির কাজে সদা তৎপর মাডাপ্পা নিত্যনতুন খাবার তৈরি করতে গিয়ে, একদিন জন্ম হল মাইসোর পাকের– যা অচিরেই হয়ে উঠল ভারতবর্ষ নামটার সঙ্গে জুড়ে থাকা সমস্ত খাবারের মধ্যে একটি।

→

শনির চেয়েও ভয়ংকর তার বাহনের দৃষ্টি

মানুষ পাপাচারী। সে সদাই বেঁচে থাকার অর্থে নানাবিধ পাপে লিপ্ত থাকে। লোভে পাপ, পাপই জীবন। ফলে সে সংশয়ী আর ভীত। তাই শনিতে আমাদের বড়ই ভয়। তার বাহনের ওই কদাকার রূপ সেই ভয়কে ভয়াবহ করে তোলে।

→

উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমারের বাংলার হরফ সংস্কারের কাজই সত্যজিৎকে টাইপোগ্রাফি চর্চার দিকে ঠেলে দিয়েছিল

জীবনে প্রথম প্রবন্ধ লিখেছিলাম। সাহিত্যে সুকুমার রায়ের ইলাস্ট্রেশন নিয়ে। বিশেষ করে জোর দিয়েছিলাম হাইব্রিড জন্তু-জানোয়ার বানানোর দিকটায়। সেই লেখায় রায়সাহেব আমার হাতে লেখা পাণ্ডুলিপির মার্জিনে কিছু কিছু সংশোধনী নির্দেশ দিয়েছিলেন, শিক্ষকের মতো হাতের লেখায়। বারবার ছুঁয়ে দেখেছি মার্জিনে সে হাতের লেখা।

→

‘কীর্তির্যস্য’র নাম বদলাতে চেয়েছিলেন ভবতোষ দত্ত

কলকাতার ট্রামলাইনের পথ ছেড়ে শান্তিনিকেতনের ছায়া সুনিবিড় পথের হাঁটা ও মাঝে মাঝে খরতর দিবাকর স্পর্শ পাঠক উপভোগ করুন। এই পর্বে দেখা হয়েছে দুই নিবিড় প্রাবন্ধিক, ভবতোষ দত্ত ও নেপাল মজুমদারের সঙ্গে।

→

ধূমপান নিষেধের নিয়ম বদলান, আকাশবাণীর স্টেশন ডিরেক্টরকে বলেছিলেন ঋত্বিক ঘটক

আকাশবাণীতে ঋত্বিক ঘটক স্টেশন ডিরেক্টরকে বলেছিলেন, ‘আমি স্বদেশি লোক। সিগারেট নয়, বিড়ি খাই। আপনারা আপনাদের নিয়ম পাল্টান। আর্টিস্টরা বিড়ি খাবে না– এটা হতে পারে না।’

→

যে বইয়ে বাদ যায়নি পাঠক প্রতিক্রিয়াও!

১৪ ডিসেম্বর ২০২১ থেকে ১৬ জানুয়ারি ২০২৩– ফেসবুক ওয়ালে এই সময় পর্বে বাছাই ৩০টি লেখা নিয়ে এই সংকলন। তবে বিষয় আলোচনা দিয়ে দাঁড়ি টানলে এই গ্রন্থ পর্যালোচনা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এ ব‌ইয়ের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ, ফেসবুকের ‘দেয়াল লিখন’-এ যে পাঠক প্রতিক্রিয়া, তার সংযোজন। সাহিত্যকর্মের আঙিনা হিসেবে যত‌ই ফেসবুকের ভূমিকাকে গুরুত্বহীন হিসেবে দেখা হোক, পাঠক-লেখকের সরাসরি সংযোগের উপায় হিসেবে এই মাধ্যমের উপযোগিতাকে অস্বীকারের উপায় নেই।

→

শেষবার বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার আগে জানলায় নিজের আঁকা দুটো ছবি সেঁটে দিয়েছিলেন গণেশ হালুই

কৈশোরে ব্রহ্মপুত্র পাড়ের জামালপুরের বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় সঙ্গে ছিল রং-তুলি কাগজ, কাঠের বোর্ড আর তামার পাতের মাথাওয়ালা খানকতক বোর্ড পিন। যখন মায়ের হাতে ট্রাঙ্ক, বিছানা, বাসনকোসনের বোঝা, তখনও তাঁর আশ্রয় ওই রং-তুলি। বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার সময় বাড়িতে যেখানে পড়তে বসতেন, তার মুখোমুখি জানলাটি চিরকালের জন্য বন্ধ করে নিজের আঁকা দুটো ছবি সেঁটে দিয়ে যান।

→