নারীর কণ্ঠ বন্ধ হয়, আর তার জায়গায় তৈরি হয় পুরুষের ইতিহাস। একদিকে হান্নার নিঃস্বতা, অন্যদিকে চার্লির প্রতিভা। কিন্তু কে সেই ‘প্রতিভা’র ভিত্তি নির্মাণ করে? সমাজ কীভাবে ভাঙা গলাকে অপদার্থতা ভাবে, অথচ সেই কণ্ঠ হারানোর মধ্য দিয়েই তো তৈরি হয় এক ট্র্যাজিক মুখাভিয়ন। চার্লি নিজেই বলেছিলেন, ‘My mother taught me not through speech, but through silence.’
আসলে বিষয়টা ভাষার নয়। ভাষা এখানে গহীন চিত্রনাট্যের প্রচ্ছদ মাত্র। এবং বড় অস্ত্রও। অমিত মালব্যরা খুব ভালো করেই জানেন, দেশজুড়ে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর নানা অন্যায়ের বিরুদ্ধে যদি বাঙালি ভাবাবেগ একজোট হতে চায়, তাহলে তাকে ভাষা দিয়েই কাটতে হবে। তাই ‘বাঙালি’ ও ‘বাংলাদেশি’ তত্ত্বের অবতারণা।
একজন অভিজ্ঞ যোদ্ধা হিসাবে উনিশ শতকের ইংল্যান্ডে শ্রমিক আন্দোলনগুলিতে ধারাবাহিকভাবে অংশ নিয়েছেন, এমনকী ফরাসি বিপ্লবকালে, যখন একদিকে তিনি ও তাঁর প্রিয় পার্টনার দুনিয়া কাঁপানো ইশতেহার লিখছেন, এঙ্গেলস অগুনতি যোদ্ধাদের সঙ্গে বরফ পাহাড় ডিঙিয়ে রাইফেল কাঁধে পা মিলিয়ে পাড়ি দিচ্ছেন প্যারিসে।
‘মল ফ্ল্যান্ডারস্’ উপন্যাসের নায়িকা মলির মতো একটা মেয়ে, সাহিত্যে না পাই, জীবনে কি পাইনি? পেয়েছি তার ড্রেসিং টেবিলের সৌজন্যে। সেই ড্রেসিং টেবিলে ছিল তিনটে আরশি। তিন মুকুর মায়ার মধুপুর, বলেছিলুম সেই সাজুগুজুর টেবিলকে।
বাঙালি এইসব মামুলি ব্যাপারকে ধর্তব্যের মধ্যেও আনত না। মাত্র এক দশক আগেও এসব নিয়ে কেউ ভাবেনি। অথচ আজ বাঙালিকে এসব নিয়ে ভাবানো যাচ্ছে। কে ভাবাচ্ছে? বাঙালির একশ্রেণির লোকজন। যাদের মূল লক্ষ্য এই ভাষার হিন্দু-মুসলমান করে গোবলয়ের সঙ্গে তফাতটা আরও কমিয়ে আনা যাবে।
বি-গ্রেড ছবিগুলোর প্রধান হাতিয়ারই ছিল পোস্টার। কখনও বম্বে থেকে ছাপানো, কখনও-বা স্থানীয় শিল্পীর আঁকা পোস্টার। মহিলাদের শরীরী বিভঙ্গ, উত্তেজক ভঙ্গি, নগ্নতা কিংবা রগরগে সংলাপ থাকত। মূলত পুরুষ দর্শকের মনোযোগ পাওয়ার জন্য তৈরি এই পোস্টারগুলি হয়ে উঠেছিল শহরের ‘ওভার গ্রাউন্ড পর্নোগ্রাফি’।
১৮৪৫ খ্রিস্টাব্দে টমাস কুকের অনন্য উদ্যোগে সংগঠিত হয় এমন একটি সফর, যেখানে সব ব্যবস্থা এক ছাদের তলায়– ট্রেনের আসন, থাকার জায়গা এবং সময়ানুগ পর্যটন। এই ঘোষণা সাড়া ফেলে দেয় ব্রিটেনে। কুক তখনই বুঝতে পারেন– ভবিষ্যৎ শুধু স্টেশনের টাইম টেবিলে নয়, মানুষের মনের ভেতরে গড়ে উঠছে নতুন এক ট্র্যাভেল রেনেসাঁ।
শ্রীরামপুরের ঝুলনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে চারদিন শ্রীকৃষ্ণের চারটি রূপকে আলাদা করে পুজো করা হয়। এইগুলো হল নৌকা বিহার, রাজবেশ, রাখালবেশ, ঘোড়বেশ। শ্রীরামপুরের অন্যান্য মৃৎশিল্পীর মতোই এই চারটি বেশের মূর্তি তৈরি করেন শিল্পীরা।
গল্পের প্রবাহে ছেলে বা মেয়েটি এখানে নিজেরাই সব সিদ্ধান্ত নেয়, কাউকে কম বেশি মনে হয়নি। দিলওয়ালের কাজলের মতো নায়িকাকে অপেক্ষা করতে হয়নি যে, কখন ট্রেন স্টেশনে বাবা হাতটা ছাড়বে আর প্রেমিক হাতটা ধরে নেবে।
কেন দেশ ছেড়েছিল কাবুলিওয়ালারা? কীভাবে তারা ভারতে এসে পড়ল? কত পুরনো এই অভিবাসন? পশ্চিমের পথ ডিঙিয়ে কীভাবে তারা এসে পড়ল ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা শহরে। বাংলায় আর্দ্র জলহাওয়ায় কি তাদের জীবনচর্যা, সংস্কৃতি ও খাদ্যাভ্যাসে বদল হল? উত্তর খুঁজেছেন তুহিন হক।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved