অতীতের জলতরঙ্গে ক্ষণিক পা ডুবিয়ে আমরা বর্তমানের সিঁড়ি ভাঙি, ভেঙে এসে দাঁড়াই ভবিষ্যতের চাতালে। কত কিছুই তো পুরনো হয়ে যায় জীবনে। ঘড়ি। ছাতা। কলম। পাড়া। প্রেমিকা। হয় না শুধু ঘর। কখনও হবেও না
রাষ্ট্রনেতাদের জনপ্রিয়তা অর্জনের এ আর এক কৌতুককর প্রয়াসও বটে।
কন্যা বেলা ভাগীদার হননি কবির নোবেল পাওয়ার খবরে। কারণ তখন চার বছরের শীতল সম্পর্ক শুরু হয়েছে। ক্ষমা চেয়ে একের পর এক চিঠি লিখে গেছেন কবি– মেয়েকে, জামাইকে, তবু তাঁরা কাছে আসেননি। মেয়ে বাবাকেই দোষী সাব্যস্ত করেছে, জামাই-শ্বশুরের প্রতি বিদ্বিষ্ট হয়েছে। আর রবীন্দ্রনাথ নিজের সহ্যশক্তি দিয়ে তা সহ্য করে গিয়েছেন।
সিনেমা, সাহিত্য, স্মৃতিকথা থেকে বোঝা যায়, দেশভাগের পরে বহু বাঙালি মেয়ের, বিশেষত উদ্বাস্তু মেয়ের রোজগারের সুযোগ মেলে টাইপ-শর্টহ্যান্ডের কাজে।
এ সংসারে অন্যায় করেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর! যদি পাওয়া যেত, তাহলে বোধহয় দেখতে পেতাম শনির দৃষ্টি বিপদ ছাড়াও শান্তি আনে কত।
রাজার শহর বর্ধমানের চিত্রাবলিদের পাড়ায় এখনও এক ‘একলা’ বৈশাখের লড়াই। অনেকের সে ইতিহাস আজও অজানা। চুপিচুপি সে লড়াই চলে নিজেদের নিয়ে জীবনের অন্ধকারে। এবং সেখানে তাঁদের একার একাকে নিয়েই লড়তে হয় নিত্যদিন।
বলা হয়, প্যান্ডোরার বাক্সে নাকি এখন শুধু প্রত্যাশা রাখা আছে। কিন্তু কেউ বাক্সটা খোলে না। কেউ সাহস দেখায় না। যে পুরাণকথা শেষ হয় একটি মেয়ের জানার খিদেকে নিয়ন্ত্রণ করে, সেই পুরাণকথার বিশেষ দ্রষ্টব্যে যদি আশাবাদ থেকে থাকে, তবে সেই বাক্স এখনও খোলা হয়নি কেন? তার মানে এতদিন যে গল্প বলা হয়েছে, সেটা আদ্যন্ত মিথ্যে।
পয়লা বৈশাখের সূর্যের অন্তর্ভেদী লেজার ক্ষীণ কার্ডবোর্ডের বাক্সকে নাস্তানাবুদ করে চলে ক্রমাগত। বাক্সের সবকিছু গরম থাকে শেষ পর্যন্ত। দেখি, ভাবি আর অবাক হই। এই যে পৃথিবী পুড়ছে। আমরাও পুড়ছি। আমাদের ওই বাক্স-সম সহনশীলতার কথা সুকুমার সেন লেখেননি।
বাংলার মিষ্টি-সংস্কৃতি যতটা প্রাচীন, মিষ্টি সংশ্লিষ্ট মোড়কের মান ও জাতি (কোয়ালিটি) সে তুলনায় নেহাতই অর্বাচীন। নতুন মিষ্টি উদ্ভাবন আর তার সদ্ব্যবহার নিয়ে বাঙালি উদ্যোক্তা থেকে ভোক্তা ও শিল্পীসমাজ যতটা ভাবিত এবং এ-নিয়ে তাঁরা যে সময় ব্যয় করেছেন– তার ছিঁটেফোঁটাও যদি মিষ্টির প্যাকেজিং নিয়ে করত তাহলে বাংলার মিষ্টি অনেক আগেই ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম সদর্থক হাতিয়ার হতে পারত।
আজ বাঙালির নববর্ষ। নববর্ষ মানেই কলেজ পাড়ায় উৎসবের আমেজ। তারই টুকরো-স্মৃতি নিয়ে আজকের ‘ইতি কলেজ স্ট্রিট’।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved