শান্তিনিকেতনের সবার গলায় গান, সবার কানে সুর। রবীন্দ্রনাথ থাকবেন– অথচ সেখানে আশ্রমকন্যাদের গানের কথা থাকবে না!
ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী যতই অস্পৃশ্যতা ‘নিষিদ্ধ’ হোক, সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭৫ বছর পরেও এই বাংলায় অস্পৃশ্যতার মতো বিষয় উপস্থিত। কেন?
ভারতের কৌতুক শিল্পীরা নানা সময়ে নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন। কিন্তু বাকি কমেডিয়ানদের সঙ্গে কুণালের তফাত হল, কুণাল বরাবর রাজনৈতিক ও তাঁর রসিকতা তীক্ষ্ণ ও তাতে ঝুঁকি থাকে। বর্তমান ভারতের দিকে তাকালে দেখতে পাচ্ছি শাসককে নিয়ে রসিকতা কি রাজ্য কি কেন্দ্র– কেউ সহ্য করতে পারছে না।
বছর খানেক আগে হাওড়ায় রাম নবমীর মিছিলে কিশোর সুমিত শা-এর ছবি ভেসে ওঠে, যে বন্দুক উঁচিয়ে হুংকার দিচ্ছিল ‘জয় শ্রী রাম’। মনে পড়ে যায় পহেলু খানকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত দুই কিশোরের কথা যারা অ্যাডোলেসেন্সের জেমির চরিত্রের মতোই সাজা কাটাচ্ছে বিশেষ সংশোধনাগারে।
তুলনাহীন স্পিভাকের অনর্গল যুক্তিবাদী বাগ্মিতা। তাঁর সন্ধান ও প্রকাশের, তাঁর যুক্তির এবং ভাষার কত যে মুহূর্ত জ্বলজ্বল করছে স্মৃতিতে কী বলব! তখন তিনি তাঁর বিতর্ক উজ্জ্বল, বোধ শাণিত, ভাষায় অব্যর্থ যৌবনে। গোল টেবিলের আর সবাই বিদেশি পুরুষ। একমাত্র নারী তিনি। এবং বাঙালি। হাতে জ্বলছে সিগারেট। সিগারেট মুখে তীব্র আগুনবিন্দু যেন তাঁরই দার্শনিক চেতনা, তাঁরই ধ্যানবিন্দু !
অদম্য প্রাণশক্তি ও জেদ রয়েছে তাঁর। কাজ তিনি করেই ছাড়বেন। উচ্চকোটির একজন অ্যাকাডেমিশিয়ান, অথচ কী মারাত্মক প্র্যাকটিক্যাল!
মানুষকে ভালোবাসবার অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল শক্তিদার। তাঁর আবদার ফেলবার কথা আমি ভাবতেও পারতাম না।
বিনা বেতনের গৃহস্থালির কাজে সময় ব্যয় করে ২৮৮ মিনিট, পুরুষরা সেখানে ব্যয় করে ৮৮ মিনিট! অন্বিতার রান্না করে রেখে যাওয়া ভাত তাঁর স্বামী খেতে পেরেছে কি না জানি না, তবে আমাদের রক্ত চুষে দিব্যি ফুলে ফেঁপে বাড়ছে পুঁজি আর পিতৃতন্ত্র।
মোমবাতির নিভু নিভু শিখায় বড় ফ্রেমের চশমার সেই মানুষটিকে প্রথমবার দেখা। নাম– শক্তি চট্টোপাধ্যায়।
পাড়-বাঁধ দিয়ে প্লাবনভূমিতে বন্যার জল ঢুকতে না পারায় নদীখাত অগভীর হচ্ছে। বন্যার জল ধরার ক্ষমতা কমে যাচ্ছে নদীর।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved