কমবয়সি ছেলেমেয়েদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অনেক সময় আমার মনে হচ্ছিল– এরা যখন একা, এক্কেবারে একা নিজের কথা লিখতে বলতে চাইছে, এদের সদ্য পেরিয়ে আসা সময়টাকেই মনে হচ্ছে একমাত্র আশ্রয়। বর্তমান বা ভবিষ্যতের স্বপ্ন নয়, প্রতিদিনের নতুন অভিজ্ঞতা নয়, গতদিনের কিছু মায়া জড়িয়ে যাচ্ছে তাদের কথায়।
বিখণ্ডিত বাঙালি জাতির জন্য কি মিলনান্তিকতা আশা করেছিলেন ঋত্বিক? ‘কোমল গান্ধার’-এ অবুঝ অনসূয়া তো শুরুতে চেষ্টা করেছিল দুই দল একসঙ্গে একটা প্রোডাকশনের ব্যবস্থা করতে, ঋত্বিকের নিজের চিত্রনাট্যেই কি তার পরিণতি শুভ হয়েছিল। মহাকাল যে আরও নির্মম এক চিত্রনাট্যকার।
অকারণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথ তাঁর নয়। তবে শাস্ত্রীয় সংগীত, বিশেষত বিষ্ণুপুর ঘরানার ধ্রুপদ চর্চা তাঁর নিজস্ব গায়নভঙ্গি গড়ে দিয়েছিল। গুরুর মতোই বিজ্ঞানের ছাত্র হয়েও সংগীতের প্রতি অমোঘ আকর্ষণ কোথাও তাঁর গানকে প্রভাবিত করেছিল বলে মনে হয়।
মানুষ কতটা নিরুপায় হলে বমির পাশ থেকে বাংলার বোতল তুলে নেয়? কতটা অসহায় হলে সে ভ্রূক্ষেপ করে না প্রস্রাবের ‘সুবাস’? কতটা হিতাহিতশূন্য হলে তার চোখে পড়ে না আবরণের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে থাকা আরশোলার শুঁড়?
১৯৭৫ সালে বিড়লা আর্ট গ্যালারিতে আয়োজিত হয়েছিল তাঁর জীবনের প্রথম ও শেষ একক প্রদর্শনী। আজ কাফী খাঁর ১২৫-তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ নিবন্ধ।
নীতিগত কারণে যাঁরা ‘বন্দে মাতরম্’ গাইবেন না বা আপত্তি জানাবেন, তাদের ওপর কি জোর করা হবে? তাহলে ওই পুরনো কথাটা– ‘ফ্যাসিজম’, সেটা যদি আমরা এই কেন্দ্রীয় শাসকদের এই ধরনের কার্যকলাপের ওপর প্রয়োগ করতে চাই, সেটা কি খুব অনুচিত হবে?
১১,৩০০ জন ডিএসএ সদস্য নিউ ইয়র্কে জোহরানের পক্ষে প্রচার করেছেন। কিন্তু মোট স্বেচ্ছাসেবীর সংখ্যা ছিল এর ৯ গুণেরও বেশি। অর্থাৎ ডিএসএ-র বামপন্থী রাজনীতি আর কোনও ‘ফ্রিঞ্জ এলিমেন্ট’ নয়, ধীরে ধীরে মেইনস্ট্রিমে জায়গা করে নিচ্ছে।
শুধু ক্রিকেট নয়, একশো বছরে মেয়েদের ইন্ডিভিজুয়াল ইভেন্টের সাফল্যও কিন্তু নারী ক্ষমতায়নের সূত্র। ইলা মিত্র, নীলিমা ঘোষ, মেরি ডিসুজা, আরতি সাহা, সাইনি আব্রাহাম, মেরি কম– এঁরা কেউ কম নন। এদেরকে কেন্দ্র করে ধীরে ধীরে দেশজুড়ে নারী ক্রীড়ার সিরিয়াস চর্চা হয়েছে।
সমস্ত অপপ্রচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে প্রান্তিক সমাজের একজন মানুষ যখন নিজের রাজনীতির সঙ্গে কোনওরকম আপোস না করে, এত বড় একটা জয় হাসিল করে নেয়, তখন সবার মনেই একঝলক আশা জেগে ওঠে এই নৈরাশ্যের হতাশার যুগে। মনে পড়ে যায় সেই চিরন্তন স্লোগান, ‘Another world is possible’।
সালোঁ মাদামরা বৈজ্ঞানিক-কবি-লেখকদের সঙ্গে আলাপে বেশ আত্মবিশ্বাসী থাকলেও, মহিলাদের পড়াশুনো নিয়ে পিছিয়েই ছিলেন। মহিলাদের মনন ক্ষমতার সম্যক পরিচয় পেয়েও এইসব বিদ্বৎজন, মেয়েরাও যে রাজনীতি, সমাজনীতি ও বিজ্ঞানের বিষয়গুলি পড়তে পারে তা ভাবতে পারেননি।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved