সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর যে বিশেষ সাক্ষাৎকার আমরা গ্রহণ করি, সেখানে সুনীলের একটি প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে তিনি ‘হো হো’ করে হেসে প্রসঙ্গান্তরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সুনীল বলেছিলেন, ‘এরকম শোনা যায়, আপনি নাকি একসময় রাস্তায় বাসে-ট্রামে কোনও সুন্দরী রমণীর দেখা পেলে কাউকে বুঝতে না দিয়ে তাঁকে নীরবে অনুসরণ করতেন?’
মাথা পাকা না হলে জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর মনস্তাত্ত্বিক লেখা বোঝা বেশ কঠিন। মনে হয়, এই কঠিনের জন্যই প্রচারের আলো থেকে অনেক দূরে। যে-প্রচার আশাপূর্ণা দেবী বা বিমল মিত্ররা পেয়েছেন।
বিগত তিন বছরে দিল্লিতে কুকুরজনিত রোগ রেবিসে মৃতের সংখ্যা শূন্য, বাকি অপরাধের সংখ্যার পরিসংখ্যান বাদ দিয়ে যদি শুধু ধর্ষণের সংখ্যা গোনা হয়– হয়তো একই নিয়মে দিল্লির সমস্ত পুরুষদের শেলটারে বন্দি করে রাখা উচিত। এবং কোনও অবস্থাতেই ছাড়া সম্ভব নয়।
আমরা বহুদিন ধরে বুঝি এবং মানি, ঈশ্বরের থাকা-না-থাকা নিয়ে যে দু’টি তরফ আছে দেশে, তারাই যথাক্রমে ‘আস্তিক’ ও ‘নাস্তিক’। তাঁর অস্তিত্ব মানে যে সে আস্তিক, যে তাঁর না-থাকায় ভরসা রাখে সে নাস্তিক। তিনি ছাড়া কিছুই আর নেই, এই যা কিছু দেখছি কিংবা দেখছি না– এই সবই তিনি কিংবা তাঁরই বিচ্ছুরণ, এমনকী, আমিও তাই, তাঁরই অন্তর্গত, তাঁরই ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা, বাসনা। এই অর্থে সবচেয়ে বেশি আস্তিক আসলে চরম না-পন্থী।
আসলে জেগে, ঘুমিয়ে একটা যৌথ স্বপ্ন আমরা দেখছিলাম। দারুণ একটা পত্রিকা করার। কাউকে টক্কর দেওয়ার মতো করে না। নিজের মতো করে। পাঠকের কথা আগেভাগেই ভেবে নয়, পাঠকের কাছে ভালো লেখা পৌঁছে দিয়ে দেখা, পাঠক কী করছেন, পড়ছেন? সেটাই আমাদের পথ।
শিষ্য যখন গুরুর কাছে আসে, সে আসে অজ্ঞানতা নিয়ে– হয়তো আঘাতে জর্জরিত হয়ে আশ্রয়ের জন্য আসে। কিন্তু একে প্রকৃত গুরুসান্নিধ্য বলা যেতে পারে না। এই সান্নিধ্য মূলত আশ্বাসের জন্য, মনস্তাত্ত্বিক পরামর্শের জন্য। সেই সান্নিধ্য ক্ষণস্থায়ী।
মহিলা পরিচালক হিসেবে সমসাময়িক বাংলা তথা ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে এত ব্যাপ্ত পরিসরে কাজ করা, সিনেমার মতো শিল্পমাধ্যমে খুব কঠিন ব্যাপার– নন্দিতাদি তা করে দেখিয়েছেন। আমার সৌভাগ্য সেই জার্নিটার সঙ্গে নিজেকে জুড়ে নিতে পেরেছি।
একের যেমন আঁটোসাঁটো বিপুল গৌরব, দু’য়ের কি তেমন গৌরব আছে? এক ক্লাসের ফার্স্ট বয় (নাকি গার্ল?), দুই বেচারা তো জীবনে ফার্স্ট হতে পারল না। সমাজেও দু’-নম্বরিদের খুবই দুর্নাম; যদিও দু’-নম্বরি লোকজনে সমাজ ছয়লাপ, তারাই এখন গ্লোরিয়াস মেজরিটি। কিন্তু এক হতে পারল না– এ দুঃখ নিয়ে দুই আদৌ এখন আর ভাবে কি না, জানি না।
গানের কথার দিকে খেয়াল করতে শিখছি কিছুটা পরে, তখন সুর আর কথাকে খানিক আলাদা করতেও পারছি। আর গান বেছে নিচ্ছি তখন, কী গাইতে চাই, কী গাইতে চাই না, সেই গ্রহণ-বর্জনে কথাকে আলাদা করে চিনছি, আর সেই প্রোসেসটা ধীরে ধীরে জরুরি হয়ে উঠছে।
আজও হুইস্কি-প্রসূত বেদনার ওপর ঝরে পড়ে তার রাঙা শাড়ির দুষ্টু আঁচল। তার পানতপ্ত ফাটলে জমে ওঠে ঘাম। সব কিছু এত টাটকা কেন আমার মনকেমনে? কেন হুইস্কির গোপন লকারে স্মৃতির পুরোনো গয়নাগুলো দূরের আকাশে উজ্জ্বল তারার মতো?
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved