Robbar

Sangbad Pratidin

ভারতের প্রতিটি বন্যপ্রাণ বাল্মীক থাপারের মৃত্যুর খবরে হয়তো দু’-ফোঁটা চোখের জল ফেলেছে

লাইন দিয়ে দাঁড়ানো জিপসি-ভর্তি মানুষের হাজার ক্যামেরার সাটারের শব্দকে উপেক্ষা করে যেমন রাজকীয় ভঙ্গীতে হেঁটে যায় ভারতীয় বাঘ, তেমনই ভ্রুক্ষেপহীন ছিল বল্মীক থাপারের কণ্ঠস্বর, লেখা।

→

দু’পায়ে দু’রকম জুতো পরে মা দৌড়ে বেরিয়ে গেল, ইবতিসম্‌-এর উপন্যাসের শুরু এমনই আকস্মিক

দিদিমাকে পাওয়া যাচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত নাতনি আলা খুঁজে পাচ্ছে দিদিমাকে সমুদ্রের তীরে, সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে বসে আছে। চুপ করে বসে আছে। বাচ্চা মেয়ে। সে বুঝতে পারে দিদিমা ওই ভাবে বসে বসে সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে মরে গেছে!

→

অন্ধের স্পর্শের মতো দিগন্তের প্রথম আলো

চোনজিন আংমো একজন দক্ষ পর্বতারোহী, ঠিক আর পাঁচজন পর্বতারোহীর মতো নয়, তাঁদের থেকেও স্পেশাল! কারণ তাঁর ‘ভিশন’ সবার চেয়ে আলাদা। ঠিক যে ভিশনের কথা বলেছেন হেলেন কেলার, যার সাফল‌্য চোখে দেখা, বা ছুঁয়ে দেখা যায় না, শুধু অনুভব করা যায়।

→

দুঃখের জাল ছিঁড়ে ফুটবল আজও মায়াবী

আতশবাজির রোশনাইয়ে উজ্জ্বল আলিয়াঞ্জ এরিনার আকাশ, আবেগস্নাত গ্যালারি। সেই আনন্দধারার মাঝে কোনও এক জ্যোৎস্নার রাত কি খুঁজছিলেন লুইস এনরিকে? যে রাতের সন্ধান বহু যুগ আগে পেয়েছিলেন তাঁর মতো সন্তানহারা আরেক পিতা।

→

সন্ত্রাসেও আছি, সিদ্ধিতেও আছি

অকাজের ইঁদুর বিজ্ঞানীদের খুব ভরসার। পরীক্ষাগারে জীবনদানের জন্য কোনও পুরস্কার নেই। দু’-একটা কুকুর-বিড়ালের মূর্তি বসেছে বটে, তবে ইঁদুরদের স্মৃতি তর্পণের কোনও ইতিহাস নেই। শুধু তাদের মতো গর্ত করার প্রক্রিয়া রপ্ত করলে খনি লুঠ করা যায়, আবার ভূগর্ভে আটকে পড়া শ্রমিকের প্রাণ বাঁচানো যায়।

→

সুনীল দাসের ছবি আঁকা ছিল কাগজে পেনসিল না ঠেকিয়ে একটু ওপরে, যেন হাওয়াতে ড্রইং হচ্ছে

সুনীল দাসের ঘোড়ার ড্রইংয়ে কিন্তু সরলরেখার স্থান নেই। সবই বক্ররেখা। যাকে আমরা বলি, লিরিক্যাল লাইন। অথচ পশ্চিমের ধাঁচে, আধুনিক শিল্পে যে স্ট্রাকচার, ছবির জমিকে ধরে রাখার কথা বারবার বলা হয়েছে সেটাও পাচ্ছি পুরোপুরি। সেটা কী করে হল?

→

মনরো মনোরম নয়

মেরিলিন মনরোর জীবন নিয়ে কম চর্চা হয়নি হলিউড, হলিউড ছাড়িয়ে দিকে দিকে। কেউ তাঁকে ‘ডাম্ব ব্লন্ড’ বলবে, তো কেউ বলবে যৌনতার প্রতিরূপ। ব্যক্তিগত জীবন কাঁটাছেড়া করার এই লক্ষণ আজও সমানতালে চলছে। বিদিশা চট্টোপাধ্যায় বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে কথা বলে জানলেন গসিপ কালচার আজও কেমনভাবে জিইয়ে আছে।

→

মালবিকা-আকাঙ্ক্ষার ভালোবাসার বারান্দা আজ অনেক মানুষের নিশ্চিন্ত আশ্রয়

প্রায় ৩২-৩৩ বছর পরস্পরের দোসর ও জীবনসঙ্গী মালবিকা-আকাঙ্ক্ষা। সহযোদ্ধা হিসেবে বহু সমকামী মেয়ে ও যৌন সংখ্যালঘু অন্যান্য মানুষজনের হাত ধরে আছে ওরা দু’জন, ওদের ভালোবাসার বারান্দায় চেয়ার/মোড়া/মাদুর পেতে বসে একটি বড় পরিবারের অনেক সদস্য।

→

এই আমি নরমা জিন, এই আমার মুখোশ, এই আমি মেরিলিন মনরো

১৯৫০ সালে খুবই কম পারিশ্রমিকের বিনিময়ে তাঁর ‘কন্ট্রাক্ট’ হয় ‘টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স’-এর সঙ্গে; তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকলে ১৯৫১ সালে তৎকালীন সংবাদমাধ্যম তাঁকে ‘মিস চিজকেক’ আখ্যা দেন। ‘চিজকেক’ মানে (অতি) ‘মিষ্টি’ মেয়ে নয়, এটি একটি মার্কিন স্ল্যাং; যার অর্থ– স্বল্প পোশাক পরা মহিলা, সস্তা ও লোভনীয় বস্তু।

→

অভিনেত্রী হিসেবে, ‘গসিপ’-কে অবজ্ঞা করতে শিখিয়েছেন মেরিলিন মনরো

মেরিলিন মনরো নামটা শুনলে এখনও মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার ইচ্ছে হয়। ফুৎকারে উড়িয়ে দেওয়া যায় সব উড়ো কথা। মনরো নিজেও হয়তো পুরোটা পারেননি। একটা জিতে যাওয়া লড়াইয়ের শেষপ্রান্তে এসে ময়দান ত্যাগ করেছেন। কিন্তু তবুও মনরো আমাদের শক্তি দেন, উঠে দাঁড়ানোর ভরসা দেন।

→