স্টাম্প মাইক হিচককের ছবি ‘Rear window’-র মতো। কেবল লুকিয়ে পড়শিকে জানলা দিয়ে দেখে নেওয়া। এতে এক গোপন আনন্দ আছে। এর বাইরে আছে মাঠ। স্ট্যান্ডে বসে খেলা দেখার উত্তেজনা। ওই লাল বল উইলো কাঠে লাগলে যে শব্দের মূর্চ্ছনা, তাতে আমার প্রাণ রাখা আছে।
মৃত পুত্রকে জড়িয়ে ধরে জননীর সে আর্তিঘেরা ক্যাথের ছবির দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকা যায় না। ক্যাথের অজস্র ছবির মধ্যে আরেকটি– দুঃস্বপ্নের জেগে ওঠা– অন্ধকার নিশুতি রাত্রে এক অসহায় মা, আলো নিয়ে রাশি রাশি মৃতদেহ থেকে নিজের ছেলের লাশ শনাক্ত করার চেষ্টা করে চলেছে।
রুশিদের চারপাশের জগৎ যখন চরম বিশৃঙ্খলভাবে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে, তখন রুশিরা ভোদ্কার শরণাপন্ন হচ্ছে দু’টি কারণে: মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে বিনিয়োগ হিসাবে, আর সে বিনিয়োগ যদি ব্যর্থও হয় তাহলে তারা অন্তত ভোদ্কায় ডুবে ভুলে থাকতে পারবে নিজেদের দুঃখ-দুর্দশা।
প্রফুল্লদার ছোটগল্প ‘বর্ষায় একদিন’ নিয়ে আমি ছবি করেছি। বিহারের প্রেক্ষাপটে লেখা এই গল্প। শুটিং করেছি ঝাড়খণ্ডে। অত্যন্ত মানবিক গল্প। দু’জন সাধারণ মানুষ, যাদের অনেক কিছুই নেই– কিন্তু আনন্দ রয়েছে।
এই মানুষগুলোর সমর্থনে দেশের সাধারণ মানুষের ধৈর্যের বাঁধ একটু একটু করে ভাঙতে ভাঙতে সমস্ত দেশ জুড়ে ১৪ জুন পালন করা হয় ‘নো কিংস ডে’। ছোট থেকে বিরাট শহর– প্রায় ২০-২৫ জন থেকে লক্ষাধিক মানুষ শামিল হন প্রতিবাদে।
এই মহাবিশ্বের বিপুলতার কোনও ধারণা ছাড়া, হাজার হাজার ইলিউশনকে সত্য বলে জেনে যে বিন্দুতে শুরু করেছিলাম, সেই বিন্দুতেই শেষ, প্রান্ত জীবনে মনে হচ্ছে জীবন কী অর্থহীনভাবে ছোট!
ততদিনে কলকাতা শহর থেকে ডি-গামা সাহেবের কেকের দোকান উঠে গিয়েছে। চিরতরে। ততদিনে কোকা-কোলা। জেমস বন্ড। সোভিয়েত ভেঙে রমরমে বিশ্বায়নের বাজার। ততদিনে ‘সংখ্যালঘু’ শব্দটাই বাজার এবং রাষ্ট্রের ঠেলায় আরও ভুলে যেতে যেতে, মার্জিনালাইজড হতে হতে, মিম অথবা ৩০ সেকেন্ডের কন্টেন্ট।
কোথায় বন্ধুর ঘর? ঈশ্বর যতখানি ভাবতে পারেন, তার চেয়েও সবুজ ওই পথ, যে-পথে ছড়িয়ে আছে ভালোবাসা– ‘বন্ধুত্বের নীল ডানার মতোই ব্যাপ্ত’, সেই পথে আছে তার সন্ধান। নিঃসঙ্গতার ফুল যেখানে, তার ঠিক দু’ পা আগে সে হাত বাড়াচ্ছে আমাদের দিকে। যুদ্ধধ্বস্ত সেই পৃথিবীর হাত কি আমরা ধরতে পারব, ততখানি ভালোবাসার সাহস কি হবে আমাদের?
যেহেতু আমি লেখক নই, তাই এটা মূলত লেখা-চর্চা। অক্ষর, শব্দ, বাক্য, ব্যাপারটা তো সবার মনের মধ্যে আছেই। অগোছালো, অসংগঠিতভাবে আছে। সব মাধ্যমেই স্রষ্টা এবং গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগের কিছু শর্তাবলি থাকে। সেটুকু জানার, বোঝার একটা মস্ত সুযোগ হল এখানে।
শচীন নেই। বিরাট নেই। তো কী হয়েছে! যশস্বী আছেন। শুভমান আছেন। বোল্ড ইন্ডিয়া আছে। ভয়কে জয় করার মন্ত্রগুপ্তি তাঁদের নখদর্পণে!
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved