Robbar

Sangbad Pratidin

ক্যালোরি বাঁচাও বনাম শিঙাড়া-জিলিপি অন্তঃপ্রাণ

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে সম্প্রতি একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে বাকি মন্ত্রকগুলিতে। উদ্দেশ্য একটাই। লোকজনদের স্বাস্থ্য নিয়ে আরও বেশি সচেতন করা। শোনা যাচ্ছে, বিভিন্ন প্রকাশ্য স্থানে, যেখানে সাধারণ মানুষের যাতায়াত বেশি, সেখানে টাঙানো হবে পোস্টার। আর এই পোস্টারে লেখা থাকবে শিঙাড়া, জিলিপিতে ক্যালোরির পরিমাণ।

→

অন্ধবিশ্বাস মাথাচাড়া দিলে ‘অপয়া’ হয় মাথায় হাত

শরীর ও মনকে আধ্যাত্মিকতার সূত্রে বাঁধতে পারে, এমন অনেক যোগ-ব্যায়াম মাথায় হাত না-দিয়ে হয় না। এবং সেই বিজ্ঞানের বয়সও হাজার বছরের ভয় ও কুসংস্কারের থেকে কিঞ্চিৎ বেশি। কিন্তু কলোনিয়াল হ‍্যাংওভারে ভুগতে ভুগতে আমরা সে সব যুক্তি মাথায় রাখিনি। রেখেছি মাথায় হাত না রাখার কুসংস্কার।

→

শেষ নাহি যে শেষ কথা কে বলবে

মৃত্যু সম্পর্কে শ্রীরামকৃষ্ণ কী ভাবতেন, সে কথা নানা সময় বলে গিয়েছে নানা জনের সঙ্গে আলাপে-সংলাপে। আজ শ্রীরামকৃষ্ণর মৃত্যুবার্ষিকীতে বিশেষ নিবন্ধ শ্রীরামকৃষ্ণর মৃত্যুভাবনা নিয়েই।

→

যাঁরা পথে থাকেন, তাঁদের পোষ্য থাকতে নেই?

যে মানুষগুলো সারাটা জীবন সড়কের পাশের রাস্তাটাকে নিজেদের বাসস্থান ভেবেছে, তাঁদের কাছে পথকুকুররা তো পোষ্য। সেই পোষ্যকে যদি আইন করে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়, তাহলে কি ফুটপাথবাসীদের পোষ্যের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে না?

→

সংকরই বাঙালির দিশি, সংকর সাধনাতেই বাঙালি স্বাধীন

বাঙালির মতো মিশেলবাজ আর কে আছে? যেখান থেকে যা পাচ্ছে নিজের মিশেলে দিশি করে নিচ্ছে। বাঙালি দিশির চাদরে বিদেশিকে ঢুকিয়ে সংকর করে তোলে, বিদ্যাসাগরও তাই করেছিলেন।

→

অদক্ষ হলেও চলবে, কিন্তু মেয়েলি বৈশিষ্ট্য না থাকলে চাকরি পাওয়া ছিল দুষ্কর!

টাইপিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে মেয়েদের  একচেটিয়া ছিল টেলিফোন অপারেটরের কাজ। শুধু কলকাতা শহরে নয়, বিশ্ব জুড়েই এই কাজের জন্য মেয়েদের বিশেষ ভাবে উপযোগী মনে করা হত। এর নেপথ্যেও ওই একই যুক্তি– মেয়েদের গলার স্বর, কথা বলার ভঙ্গি ইত্যাদি।

→

বাঙালির গোপাল অতি সুবোধ বালক

হামাগুড়ি দিলেও বাঙালি সমাজে গোপাল কিন্তু নিতান্ত ‘শিশু’ নয়। এপার বাংলা আর ওপার বাংলা এক হয়ে গিয়েছে গোপালের কাছে। শহরে গোপাল তাঁর ঈশ্বরত্ব সরিয়ে রেখে ঘরের এক মানুষ হয়ে গিয়েছেন সময়ের সঙ্গে।

→

গথিক ও তান্ত্রিক– প্রাগাধুনিকের ভীতি

তান্ত্রিক থ্রিলারের ‘ফর্মুলা’ খুব সোজাসাপ্টা– অকাল্ট এমন এক প্র্যাক্টিসের ইতিহাসের অতল হতে উত্থান হবে যা পেগান, আধিভৌতিক, তামসিক, ভীতিপ্রদ আসলে ‘অনাধুনিক’। তার সাথে সংঘাত হবে এমন কিছু বাঙালির যারা উচ্চবর্ণ হিন্দু, যাদের কাছে আধুনিকতা ‘আছে’। অর্থাৎ একধরনের সাবর্ণ ‘ভদ্রলোক’ আধুনিকতা ও অবদমিত মধ্যযুগীয় প্রাগাধুনিকের বিভীষিকার কনফ্রন্টেশনের গল্প।

→

মুখে ‘বাঁয়ে হাত কা খেল’ বললেও সত্যিই কি বাম-বান্ধব সমাজ গড়ে তুলতে পেরেছি আমরা?

বিভিন্নরকম স্নায়বিক সমস্যা, অ্যালার্জি, কিছু কিছু খাবার এবং ওষুধের প্রতিক্রিয়া– এরকম হরেক সমস্যার জন্ম দিতে পারে জোর করে বাঁ-হাতের অভ্যাস বদল। শুধু তাই নয়, চোখ, কান, মস্তিষ্ক ও হাতের সমন্বয়ের সমস্যা দেখা দেওয়াও খুব স্বাভাবিক। ফলে শিশুদের সহজাত গুণগুলি প্রকাশে বাধা পায়।

→

নাটকের মহলা পছন্দ হলে তবেই তিস্তাপারের বৃত্তান্তর অনুমতি দেবেন, বলেছিলেন দেবেশ রায়

এক বছর ধরে ওয়ার্কশপ, মাস পাঁচেকের রিহার্সালের পর একদিন দেবেশদা যান চেতনা নাট্যদলের মহলাকক্ষে। নাটকের অভিনয় দেখে তিনি না কি হাততালি দিয়ে উঠেছিলেন এবং সেদিনই মন্তব্য করেছিলেন যে এটা বাংলা নাটকের ইতিহাসে একটা অভিনব ঘটনা হতে চলেছে।

→