একটা কথা কোনও দিন মানিকদা জিজ্ঞেস করা হয়নি। লেখা, আঁকা, টাইপ করার সময় কখনও কখনও হাঁটু দুটোর দিকে ওই ভাবে তাকিয়ে থাকেন কেন? মানিকদা, আপনার এত বড় লেখার ঘর, ভাবনার ঘর, বসার ঘর, আঁকার ঘর, আড্ডার ঘর, সমস্ত ঘর জুড়ে লেখাপড়া আর সৃষ্টির চিহ্ন, সরঞ্জাম। কিন্তু লেখার টেবিল নেই কেন মানিকদা?
দেশভাগে বিধ্বস্ত এই মেয়েরা সংসারের নানা টানাপোড়েন সামলে যখন ‘স্ত্রীভূমিকাবর্জিত’ কর্মক্ষেত্রে প্রথম ঢুকলেন, তখন তাঁদের নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বই হয়ে উঠল বিরাট ভরসার জায়গা।
‘জন অরণ্য’ ছবির এক সংলাপে যেমন বলা হয়– মাত্র দশটি খালি পদের জন্য একলক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। এটি কোনও ষড়যন্ত্র নয়, বরং এক ভয়ংকর বাস্তবতা। ‘জন অরণ্য’ মুক্তির ৫০ বছরে বিশেষ নিবন্ধ।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যতই শতাব্দী ধরে লালিত বিশ্বাসের ভিতকে নড়িয়ে দিক না কেন, দেখাই তো যাচ্ছে তা মানবজীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, উন্নয়ন, মুহুর্মুহু বিপ্লব। তো এরকম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উদযাপন যে কল্পবিজ্ঞান করত, তাকে হয়তো একটু বাড়াবাড়ি করলে ইউটোপিয়ান বলাই যায়।
‘পক্ষীরাজের ডিম’ কিন্তু প্রেমের ছবিও বটে। কৈশোরের প্রেম, আহা! আমরা তো ভুলতেই বসেছিলাম। কতদিন পর বাংলা ছবি তার প্রেমের গানে বয়ঃসন্ধি দেখল।
সকাল থেকে ঝিরঝির। টিপটিপ। মেঘলা আকাশ। আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে, রোববার.ইন নিয়ে এল বাংলা কার্টুনের বর্ষাকাল। কার্টুন যখন সংবাদপত্রর পাতা থেকে ক্রমে উধাও হয়ে যাচ্ছে, তখন হঠাৎ কালো মেঘের মতোই এই লেখার এসে পড়া। প্রিয় পাঠক, পড়ুন, দেখুন। বাংলা কার্টুনের পাশে থাকুন।
বৃষ্টি-স্নানের ঠিক আগের মুহূর্তেই ব্রতকথায় দুর্গার স্বপ্নের খতিয়ান দিয়েছেন সত্যজিৎ। তারপর বৃষ্টিধারায় নিজেই মুছে দিয়েছেন দুর্গার সমস্ত স্বপ্নকে। স্বপ্নের অস্থায়িত্ব, স্বপ্নের ভঙ্গুরতাকেই ব্যঞ্জনা দিয়েছেন এইভাবে।
১৯৭৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর। জন্ম নিল ‘ফ্যানট্যাস্টিক’। নামকরণ করলেন সত্যজিৎই। আসলে এ নিছকই কোনও পত্রিকার জন্ম নয়। এক অকালমৃত স্বপ্নকে ফের জাগিয়ে তোলা।
মনসুরের তৈরি করে দেওয়া এক ধরনের পাঞ্জাবিই রীতি মেনে বাবাকে পরতে দেখেছি। পাঞ্জাবি অবশ্যই অনেকগুলো, নানা সময়ে তৈরি করতে দেওয়া। কিন্তু প্রতিটা পাঞ্জাবিই এক্কেবারে একইরকম দেখতে। ছয়ের দশকের পাঞ্জাবির নকশা বা কাপড় যা, নয়ের দশকেও তাই।
জীবনে প্রথম প্রবন্ধ লিখেছিলাম। সাহিত্যে সুকুমার রায়ের ইলাস্ট্রেশন নিয়ে। বিশেষ করে জোর দিয়েছিলাম হাইব্রিড জন্তু-জানোয়ার বানানোর দিকটায়। সেই লেখায় রায়সাহেব আমার হাতে লেখা পাণ্ডুলিপির মার্জিনে কিছু কিছু সংশোধনী নির্দেশ দিয়েছিলেন, শিক্ষকের মতো হাতের লেখায়। বারবার ছুঁয়ে দেখেছি মার্জিনে সে হাতের লেখা।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved