E-Robbar
লেখার টেবিলে বসলেই টেবিলটা আমাকে নিয়ে যায় আমার অতীতে। আমার আমাকে বলে, ‘তোর অতীতের পাপ, অপরাধ, নরকই তোর লেখার স্বর্গ। সব রত্ন লুকিয়ে আছে ওখানেই। তোর পক্ষে লেখার উপাদান আর কোথাও পাওয়া সম্ভব নয়।’
রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ও
জয় গোস্বামী লেখালিখি থেকে স্বেচ্ছা-অবসর নিলেও, তাঁর এই এক টুকরো পাঠপ্রতিক্রিয়া পাঠকদের উত্তেজিত করে। পুরস্কৃত করে লেখককেও।
জীবনে উন্নতি করতে হলে মানুষকে ম্যাকিয়াভেলির পরামর্শ মতো চলতেই হবে, পড়তেই হবে শয়তান-শাস্ত্র ‘দ্য প্রিন্স’!
পদ্য লেখার পর সমস্ত কায়িক শক্তি নিংড়ে দিয়ে শক্তি চট্টোপাধ্যায় শক্তির মড়া হয়ে মাথা এলিয়ে দেন অকাতরে লেখার টেবিলেই। আজ শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন।
আশ্চর্য ভাষা এবং ইঙ্গিতে ম্যাগি ও’ফ্যারেল তাঁর উপন্যাসে ফুটিয়ে তুললেন শেক্সপিয়রের বালক-পুত্রের এই অসহায়তা এবং একাকিত্ব।
যে-রবীন্দ্রনাথকে আগলে রেখেছে তাঁর লেখার টেবিল অতি সন্তর্পণে, সেই রবীন্দ্রনাথকে চেনে না, চিনতে হয়তো চায়ও না তাঁর আঁকার টেবিল, এই নির্মম সত্যটি বুঝতে পেরেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।
এই অবিশ্বাস, অপ্রত্যয় এবং সংশয়ের যুগে হান কাং-এর উপন্যাস ‘গ্রিক লেসন্স’ ফিরিয়ে নিয়ে এল বাক্যহীন চক্ষুহীন অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো।