Robbar

গাইতে গাইতে গানেরাই হয়ে উঠেছে আমার শিক্ষক

অনেকে হয়তো মনে করেন আমি গান শেখাই, মানে ‘গানের মাস্টার’ হয়ে গিয়েছি বুঝি। একেবারেই তা নয়। আমি তো গানের কাছেই গানটা শিখি আর শেখাই শুধু নিজেকেই।

→

যেখানে অহং সেখানেই কেবল মৃত্যুর হাত পড়ে

প্রত্যেক মানুষ জীবনের কর্মের দ্বারা সংসারকে কিছু-না-কিছু দান করে, সংসার সমস্তই গ্রহণ করে, রক্ষা করে। কিন্তু সেইসঙ্গে মানুষ যখন নিজের অহংটিকে চিরন্তন করে রাখতে যায়, সে চেষ্টা বৃথা হয়।

→

জীবনে থমকে যাওয়াকে আমাদের দেশ অগৌরবের মনে করেনি

ধানের গাছ যখন রোদবৃষ্টির সঙ্গে সংগ্রাম করে বাড়তে থাকে, সেও যেমন সুন্দর, মাঠের দিন শেষ করে ঘরে আসার দিন আরম্ভ হয় যখন, সেই ফসলের রূপ হয়তো সুন্দরতর। সেই ফসলের মধ্যে ধানখেতের রোদবৃষ্টির ইতিহাস নিবিড়ভাবে নিস্তব্ধ হয়ে থাকে। সেই নিস্তব্ধতা অগৌরবের নয়।

→

কথা জিনিসটা মানুষের, আর গান হল প্রকৃতির

‘আজ যুক্তি তর্ক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ খাটবে না। আজ গান ছাড়া আর-কোনো কথা নেই।’

→

আত্মার স্বরূপ শূন্যতা নয়, নিখিলের প্রতি প্রেম

রবীন্দ্রনাথের মনে হয়েছে, ধর্মশাস্ত্রে যে বিভিন্ন কাজ না করার উল্লেখ থাকে, সেগুলি এই প্রকাশিত হওয়ার আদেশটিকে বাধামুক্ত করার জন্যই।

→

ভিতরের সাধনা আরম্ভ হলে বাইরে তার কিছু লক্ষণ টের পাওয়া যায়

সবই এখন বিনা প্রয়োজনের ঐশ্বর্য। এখন তার দেওয়ার আনন্দ।

→

মানুষের পক্ষে মানুষ হয়ে ওঠা সব থেকে কঠিন

পশুর মতো হাতে-পায়ে ভর দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে চলা মানবশিশুর পক্ষেও সহজতর, কিন্তু মানুষকে যে মাথা তুলে দাঁড়াতেই হবে।

→

যে হৃদয় প্রীতিতে কোমল, দুঃখের আগুন তাকেই আগে দগ্ধ করে

রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস করতেন, সমস্ত মানুষের সুখদুঃখকে এক করে একটি পরম বেদনা, পরম প্রেম আছে।

→

সাধনায় সাফল্যের আভাস মিললে সেই পথচলা সহজ হয়

রবীন্দ্রনাথ নিষ্ঠার তুলনা করেছেন মরুবাহন উটের সঙ্গে আর নিষ্ঠার সার্থকতা বোঝাতে বলেছেন অভিযাত্রী কলম্বাসের কথা।

→

প্রকৃতি ব্যক্তিবিশেষ মানে না, তার কাছে সকলে সমান

রবীন্দ্রনাথ বলেছেন- বিশেষকে মানে না বলেই সে বিশ্ব এবং সে বিশ্ব বলেই বিশেষের তাতে প্রতিষ্ঠা।

→