Robbar

সংগ্রামে ‘আধ্যাত্মিক’ সংহতিরও প্রয়োজন, বুঝিয়েছিলেন জুডি কলিন্স

সংগীত-জগতের পুরুষপ্রধান মহলে, পরপর পুরুষ-শিল্পীদের গেয়ে আসা গানও তিনি পুনরায় গেয়ে, তাতে একজন্মের মতো নিজের গায়নশৈলীর ছাপ রেখে দিয়েছেন। এমনকী বিটলস-এর গান, উডি গাথরির গানও। জনতার মন জিতে নিয়েছেন, তাদের সূক্ষ্মতর অনুভূতিগুলোর সামনে আরশি ধরেছেন অনায়াসে। পিট সিগার, বব ডিলান, আর্লো গাথরি ওঁর পারদর্শিতার কাছে, বাহাদুরির কাছে নতজানু হয়ে, মঞ্চে ঠিক পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।

→

‘বেচাল’ তিনি হননি, কণ্ঠের পাশাপাশি সেই কারণেও কি সমাজে তাঁর যোগ্য জায়গা মিলল মাত্রায় কম ঝামেলায়?

যে ঠুমরি গাইতে গাইতে রসুলন শেষটায় হারিয়েই গিয়েছিলেন, সিদ্বেশ্বরী সেই ঠুমরি গেয়েই কেন তুলনায় কম অপমান, লাঞ্ছনার ভাগী হলেন? গিরিজা দেবী কেমন করে সেই ঠুমরিকেই সমাজের সামনে মেলে ধরলেন এমন করে, যেন ঠুমরি মূল শাস্ত্রীয় সংগীতেরই অঙ্গ?

→

বেগম আখতার কণ্ঠ নয়, দিমাগ দিয়ে গাইতেন, জানতেন কখন কোন স্বর বাজিমাত করে

শেষের দিকে তাঁর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতেন তাঁর মেয়ে শিষ্যরা—শান্তি হিরানন্দ, অঞ্জলি বন্দ্যোপাধ্যায়, রীতা গাঙ্গুলি। সকলেই মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করেন, বেগম আখতার তাঁদের মাতৃসম স্নেহে মুড়ে রেখেছিলেন। এ মাতৃত্ব তাঁর ওপর কেউ চাপিয়ে দেয়নি। এ মাতৃত্ব তিনিই বেছে নিয়ে হতে পেরেছিলেন শিষ্যদের প্রিয় ‘আম্মি’।

→

শান্তিনিকেতনের পুরাতন আশ্রমিকদের রবীন্দ্রসংগীত শুনে মেহফিলে মেহফিলে গেয়েছেন সিদ্ধেশ্বরী দেবী

১৯৭৬ সালে স্ট্রোক হওয়ার পর থেকে গাইতে পারতেন না আর। এহেন শিল্পী, যে এত সংগ্রাম করলেন দু’কলি গাইতেই, গান না থাকলে তার জীবনে কী থাকে? ১৯৭৭ সালে পাড়ি দিলেন না-ফেরার দেশে। অন্য বাহিরে। সে বাহিরের গায়ে কান পেতে দাঁড়ালে হয়তো আজও খামাজে ঠুমরি শোনা যাবে।

→

মুখরা এক মেয়ে, অনুষ্ঠানের আয়োজকের কাছে নিজের প্রাপ্য পারিশ্রমিক চাইছেন

‘কলের গান’ বলতে আমরা যা বুঝি, ভারতে সেই কলের গানে প্রথম কণ্ঠ দেন গওহরই। সে সময় ব্রিটিশ গ্রামোফোন কোম্পানির একটি উদ্যোগে ফ্রেড গাইসবার্গ গওহরকে আরপিএম ডিস্কের জন্য একটি গান রেকর্ড করার সুযোগ দেন প্রথম।

→

কেউ কেউ পারফর্ম করে, কেউ কেউ গান গায়

ক, খ, গ, ঘ মুখস্থ করলাম দিন সাত ধরে। বছর খানেক কঠিন অধ্যবসায়ের পর প্রথম বাংলা বই, ‘চাঁদের পাহাড়’। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় আমার প্রিয় লেখক। বাংলাকে আজ মাতৃভাষাই তো মনে হয়।

→

রসুলন বাইকে নিভৃতে শোনার দায় থেকে যায় কান দু’টির

রসুলন বাইয়ের মৃত্যুর ৫০ বছর উপলক্ষে বিশেষ নিবন্ধ।

→