কাজ-পেরোনো ঘামের ঘ্রাণ, একলা হওয়া, মাথার ভিতর লুকোনো প্রেম নিয়ে প্ল্যাটফর্মের পর প্ল্যাটফর্ম পার হয়ে তারা ফিরে আসে চেনা স্টেশনে, কিংবা নিশ্চিন্দিপুরে যাওয়ার আগে লেডিস কামরার কাছে চুপিচুপি বিদায় নিয়ে যায়।
এ মৃত্যুর নেপথ্যে ধর্ষণের ভয় ছিল কি না, সে প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়ে শোনানো হবে এমন এক কাহিনি যাতে মনে হবে নিশুতি রাতে মেয়েটিরই বুঝি ছোঁয়াছুঁয়ি খেলার ইচ্ছে হয়েছিল।
ছোট্ট বইয়ের সংক্ষিপ্ত যাত্রা দ্রুত ফুরোয়, কিন্তু সেই সময়ের গন্ধ ঘিরেই থাকে পাঠককে।
চোখে-দেখার বাইরের দর্শনে তো বাংলা সাহিত্য ভরে আছে, তবে সাধারণ মানুষকে সাধারণ চোখে দেখার এই সহজ চোখটুকু যে জীবনের আঘ্রাণ দেয়, তা-ই বা কম কী!
সম্ভাবনার বহুরূপতাকে ধরেই এক কাল থেকে অন্য কালের মধ্যে সংযোগের সেতু গড়েন তিনি।
করোনা আমাদের নতুন করে বুঝিয়ে দিয়েছিল, স্কুল কতখানি গুরুত্বপূর্ণ। স্কুল মানে তো শুধু দেওয়াল, শুধু চক, ব্ল্যাকবোর্ড নয়। সেখানে একটা জীবন্ত আদানপ্রদান ঘটছে।
এই নাইট ডিউটি থেকে আমাদের আদৌ ছুটি মিলবে কি কোনও দিন?
পুরো বিষয়টাই আদতে গিয়ে ঠেকছে মেয়েদের নিজের এজেন্সি পাওয়া নিয়ে, যে দাবি পিতৃতন্ত্রের বিলকুল না-পসন্দ।
‘দহাড়’-এর একেবারে শেষে, ধৃত সিরিয়াল কিলার বিন্দুমাত্র অনুতাপ না রেখে সেই হুঁশিয়ারিই ছুড়ে দিয়েছিল– ভালো মেয়েরা সীমা পেরোয় না। আচ্ছা, কেবল সীমা পেরোলেই কি মেয়েরা হারিয়ে যায়? আর যারা ‘ভালো মেয়ে’ এই গোত্রনামেই কেবল পরিচিত হতে থাকে, সেখানেও কি থাকে না আরেকরকম হারিয়ে যাওয়া?
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved