মাঝে মাঝে মনে হয়, এখন সিদ্ধার্থ খুঁজে বেড়াচ্ছে কত কী! আলো। সিভিলাইজেশান। প্রযুক্তি। অলিতে গলিতে, চাকার দাগ, ল্যাম্পপোস্ট, ধাতুর ঢাকনা, ফেলে দেওয়া আবর্জনার মধ্যে থেকে মানুষের কীর্তি, অনেক দিন আগেকার মানুষের ইচ্ছাগুলো।
পঞ্চাননতলার পাশে ফণী পোটোর বাড়ি বলে কি কেউ একটা লিখে দিতে পারত না! তাহলে আমিই করব এবার। এই লেখাটার মাধ্যমেই ইন্টারনেটে নাম তুলব ফণীজ্যাঠার।
ঘরের মধ্যে ছবি আঁকা শেখানো যত, তার চেয়েও বেশি ছবি নিয়ে কথাবার্তা হত। আসলে ছবি আঁকার চেয়ে বড় কথা, এমনই একটা পরিবেশের মধ্যে উনি রাজনীতির বাইরে থাকতে চাইতেন। কবিতা লিখতেন। ফোটোগ্রাফি করতেন খুব ভালো। ওঁর উর্দু কবিতার বইও এখান থেকেই ছাপা হয়েছিল, যার প্রচ্ছদ আমার।
দু’-চার দিন পর ডায়েরি ফিরে আসলে দলের অফিস থেকে আর একজন নিতে পারত। কখনও মিটিঙের আগে পরে কেউ অফিসে বসেই ডায়েরি লিখত বা অন্যদের লেখা নিঃশব্দে পড়ত। কখনও বা অলস ডায়েরি অনেক দিন পড়ে থাকত অফিসে।
সঞ্জনা কাপুরের সবচেয়ে বড় ক্ষমতা দেখানো এবং বিশাল কর্মযজ্ঞ সামলানোর পরিচয় আমরা পেলাম ‘ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল’-এর সময়।
তখনকার দিনে অদ্ভুত কিছু কিছু মঞ্চের শিল্প ছিল, যেমন হরবোলা, হাস্যকৌতুক ইত্যাদি। যোগেশদা হাস্যকৌতুক করতেন শুরুর দিকে এবং তারপরে অঙ্গভঙ্গি করে হাস্যকৌতুকের সঙ্গে শরীরকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করতেন। সেটা নিঃসন্দেহে তাঁর নিজস্ব।
বন্ধুভাবাপন্ন মানুষটি এমনই মিশুকে ছিলেন যে, মিস্টার সমর বাগচী কিংবা বাগচী সাহেব না বলে সরাসরি ‘সমরদা’ বললেই যেন বেশি খুশি হতেন। এমনই সে সম্পর্ক যে অফিসের সহকর্মীদের পরিবারের সকলেরই উনি পরিচিত এবং প্রিয় মানুষ ছিলেন।
পৃথিবীর সব মানুষই এক একজন কমবেশি জাদুকর।
ভূপেনদা ডালভাতমার্কা বাংলায় কথা বলতেন আর গল্প করতে খুব ভালোবাসতেন। শেষের দিকে শরীর ভেঙে যাওয়াতে উনি খুব একটা বাইরে বেরচ্ছিলেন না। ঘরবন্দি অবস্থায় তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য কল্পনা এবং ললিতাদি দু’জনের কাছ থেকে ডাক পড়ত আমার।
ফটোগ্রাফির মস্ত শখ বিপুলদার। মাঝে মাঝেই ক্যামেরা নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন ছবি তুলতে পত্রপত্রিকার জন্য। নানা বিষয়ে আজগুবি সব ছবি দেখেছি সে ছবি খুব একটা কোথাও প্রকাশ করতেন না। অবাক হয়েছিলাম ওঁর পাবলিক টয়লেটের প্যান ভর্তি বিষ্ঠার ছবি দেখে। অনেক। গা ঘিনঘিন করেনি, বরং মনে হচ্ছিল যেন চমৎকার সব বিমূর্ত চিত্রকলা।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved