প্রীতীশদা বলতেন, আমি এই ‘লাভ’ (love) শব্দটাকে একেবারে পছন্দ করি না। আই লাইক ‘হেট’ অর ‘রেসপেক্ট’– এখন বুঝি, এটা বজায় রাখার জন্যই প্রীতীশদার এত পাগলামি! ‘এক্সট্রিমিস্ট’ যাকে বলে আর কী! ওঁর বিশ্বাস, পৃথিবী কালকেই শেষ হয়ে যাবে, যা করার আজকেই করতে হবে এবং তা হবে জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ।
আমিরের বাড়িতে একসঙ্গে খেতাম রাতের খাবার, দিনের খাবার শুটিং-এর লোকেশনে। খাওয়ার পাতে বাঙালিদের মতোই হাতের এঁটো শুকিয়ে যেত, কথা আর শেষ হত না।
আমাদের নতুন দল কন্ট্রিভান্সের প্রদর্শনীতে নিয়মিত আসতেন শ্যামলদা। আমার ছবি দেখতে আসতেন যে কারণে, সেটা উনিও বলেছেন আর আমিও লক্ষ করেছি। ছবিতে রং খুঁজতেন। উনি আমার রং পছন্দ করতেন।
জয়াদির মধ্যে যেটা আরও আছে প্রচণ্ড আন্তরিকভাবে, তা হচ্ছে বাঙালিপনা। এখনও সাদা চুলেও ফিক করে ওই ঠোঁট টিপে ধন্যি মেয়ে মার্কা মুচকি হাসিটি আগলে রাখতে পেরেছেন।
মাঝে মাঝে মনে হয়, এখন সিদ্ধার্থ খুঁজে বেড়াচ্ছে কত কী! আলো। সিভিলাইজেশান। প্রযুক্তি। অলিতে গলিতে, চাকার দাগ, ল্যাম্পপোস্ট, ধাতুর ঢাকনা, ফেলে দেওয়া আবর্জনার মধ্যে থেকে মানুষের কীর্তি, অনেক দিন আগেকার মানুষের ইচ্ছাগুলো।
পঞ্চাননতলার পাশে ফণী পোটোর বাড়ি বলে কি কেউ একটা লিখে দিতে পারত না! তাহলে আমিই করব এবার। এই লেখাটার মাধ্যমেই ইন্টারনেটে নাম তুলব ফণীজ্যাঠার।
ঘরের মধ্যে ছবি আঁকা শেখানো যত, তার চেয়েও বেশি ছবি নিয়ে কথাবার্তা হত। আসলে ছবি আঁকার চেয়ে বড় কথা, এমনই একটা পরিবেশের মধ্যে উনি রাজনীতির বাইরে থাকতে চাইতেন। কবিতা লিখতেন। ফোটোগ্রাফি করতেন খুব ভালো। ওঁর উর্দু কবিতার বইও এখান থেকেই ছাপা হয়েছিল, যার প্রচ্ছদ আমার।
দু’-চার দিন পর ডায়েরি ফিরে আসলে দলের অফিস থেকে আর একজন নিতে পারত। কখনও মিটিঙের আগে পরে কেউ অফিসে বসেই ডায়েরি লিখত বা অন্যদের লেখা নিঃশব্দে পড়ত। কখনও বা অলস ডায়েরি অনেক দিন পড়ে থাকত অফিসে।
সঞ্জনা কাপুরের সবচেয়ে বড় ক্ষমতা দেখানো এবং বিশাল কর্মযজ্ঞ সামলানোর পরিচয় আমরা পেলাম ‘ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল’-এর সময়।
তখনকার দিনে অদ্ভুত কিছু কিছু মঞ্চের শিল্প ছিল, যেমন হরবোলা, হাস্যকৌতুক ইত্যাদি। যোগেশদা হাস্যকৌতুক করতেন শুরুর দিকে এবং তারপরে অঙ্গভঙ্গি করে হাস্যকৌতুকের সঙ্গে শরীরকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করতেন। সেটা নিঃসন্দেহে তাঁর নিজস্ব।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved