এগজিবিশনের ব্যাপারটায় যে আভিজাত্য, প্রকাশই তা প্রথম ভাঙল। চারুশিল্পর ক্ষেত্রে শিল্পীর অন্তর্দৃষ্টি সাধারণ মানুষের বোধগম্যের বাইরের কিছু, সেটাও বোধহয় সে মানতে চায়নি। সেই কারণেই তো বলেছিল, তার আর্ট জনগণের আর্ট, ফুটপাতও তাদের সামনে আর্টকে তুলে ধরার উপযুক্ত স্থান হতে পারে এবং শিল্পী সমাজের তথাকথিত আভিজাত্যের লক্ষণে আঘাত করতে চায়।
একটা বিজ্ঞাপনে দেখেছিলাম, ১০ নং আর জি কর রোডে অবস্থিত হিন্দু অবলাশ্রমের সেক্রেটারি জনৈক পদ্মরাজ জৈন ‘সুবর্ণ জাতীয়া’ মাত্র ছ’বছর বয়সি ‘কুমারী বালিকার’ জন্য ‘পাণিপ্রার্থী’-দের কাছ থেকে আবেদনপত্রের প্রত্যাশী। ওই একই ব্যক্তি ‘১৬ বৎসর’ বয়সি কুম্ভকার বালবিধবার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিতে গিয়ে বলে নিচ্ছেন, সে-ই পাত্রী ‘লেখাপড়া জানে না’। একইসঙ্গে তাঁর পরিষ্কার কথা, ‘কোন প্রকার পণ বা যৌতুকাদি দেওয়া হইবে না।’ এটা ১৯৩১ সালের বিজ্ঞাপন।
প্রেসিডেন্সি জেলে সুভাষচন্দ্রই প্রথম দুর্গাপুজো শুরু করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন অনেকেই জানেন। কিন্তু তারও ১৫ বছর আগে বার্মার জেলে থাকার সময়ও তিনি যে একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন, তা নিয়ে খুব বেশি কিছু চর্চা হয়নি।
হালুমের গল্পই বলব। হালুম যেমন ডোরাকাটা শার্দূলের জাতীয়-গর্জন, তেমনই থলথলে ভুঁড়ির ওপর থ্যাবড়া বেল্টে ঢলঢলে খাঁকি হাফপ্যান্ট ধরে রাখা সেকালের কতিপয় বাঙালি শিকারিরও। পক্ষীর বক্ষ এফোঁড়-ওফোঁড় করলেই যাদের ‘আলমিরা’ থেকে বের করে জাপানি হুইস্কির ছিপি খুলতে ইচ্ছে করত।
সবাই জানেন, হিন্দু ধর্মে ছাতা দান মহাপুণ্যের কাজ। মহেন্দ্র দত্তরা সে কাজ করে আসছেন পাঁচ জেনারেশন ধরে। তিনি নাকি বর্ধমানে রাজার দরবারে পাখোয়াজবাজ ছিলেন? একবার রাজার বিলিতি ছাতা সারিয়ে চমকে দেন, এবং উল্লসিত রাজার বকশিসের টাকাতেই ব্যবসা খুলে ফেলেন?
কলকাতার আলো। কতরকমের আলো, কতরকমের তেজ। জোৎস্নার কলকাতা থেকে বাতিওয়ালা, তেলের কুপি, লণ্ঠন, ল্যাম্পপোস্ট– সেই মায়াভরা আশ্চর্য কলকাতার ছবি আজ আর দেখা যায় না।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved