সময় জীবনানন্দের বাহুবন্ধনে অন্যরকম ভাবে ধরা দিল। এ রতিশয্যা বক্র-বাস্তবতার। কী আশ্চর্য প্রতিভায় যে জীবনানন্দ বুঝতে পারলেন, প্রচলিত সাহিত্যের ছাত্র হয়েও, গত শতাব্দীর ঠিক প্রথম দশকটিতেই গ্যালিলিও, নিউটন, যেমন কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাস বা হোমার– পরিত্যক্ত হয়েছেন মহাকাব্যের সম্মানে।
একজনের রক্তের গহন থেকে আকুলতা: ‘হে বন্ধু,আছো তো ভালো?’ অন্যজনের পথচলতি কথকতা: ‘'এতদিন কোথায় ছিলেন?’
এখন খানিকটা বুঝতে পারি জীবনানন্দ দাশ কেন তাঁর মাতৃভাষায় ‘জল’ নামের একটি অতিব্যবহৃত শব্দের নিকট ও সুদূর অর্থ বিষয়ে চিন্তিত হয়ে উঠেছিলেন।
থতমত খেয়ে তিনি ‘নীড়’ শব্দটির দিকে তাকালেন। সেখানে রবীন্দ্রনাথের হাতযশ ছিল। ‘পাখী আমার নীড়ের পাখী’ নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে তিনি পাশার দান দিলেন ‘পাখীর নীড়ের মতো’– এ যেন হেগেল থেকে মার্কস– এক অলৌকিক উল্টে দেওয়া। সংস্কার থেকে শব্দ প্রতিস্থাপনের দায় কবির মৌলিক দায়। একেই ‘ভাষা বিহার’ বলে।
এই হলাহল পান করার অধিকার তো একমাত্র তাঁর। একমাত্র তিনিই, নীলকণ্ঠ বাগচি ওরফে ঋত্বিক ঘটক।
‘মেঘে ঢাকা তারা’-তে নীতা জগদ্ধাত্রীর প্রতীক– কোমল, আশ্রয়দাত্রী। আর সেখানেই তাঁর মা একধরনের টেরিবল মাদার।
উৎপলেন্দু আমার দিকে তর্জনী-নির্দেশ করে বললেন যে, ‘আপনি এত বলেন, লেখেন, আমার ওপর তো কোনও দিন লেখেননি কিছু?’ আমি লজ্জিত হয়ে বলেছিলাম, ‘সবসময় তো সুযোগ পাওয়া যায় না।’
গুরু দত্তের সঙ্গে বাঙালির একটি নিজস্ব অন্তরসূত্র আছে। গুরু দত্তের প্রাথমিক শিল্পশিক্ষা তো উদয় শঙ্করের কাছে। ‘ইন্ডিয়ান কালচারাল সেন্টার’-এ, আলমোড়ায়। এবং সেখানে তিনি ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সাহেবকেও পেয়েছিলেন।
দলীয় রাজনীতি সবসময় আনুগত্য দাবি করে, আর বিজন ভট্টাচার্য ছিলেন স্বাধীন মানুষ। বিজন এবং ঋত্বিক– দু’জনেই এক অর্থে জনতার শিল্পী। সেকথা জনতা বোঝেনি, যে দেবতা তাঁদের মধ্যে এসেছিলেন খালি পায়ে। আজ মৃত্যুর এতদিন পরে তাকে কি মাল্যভূষিত করা হবে?
এরকম নির্মল রোম্যান্টিক যে ছয়ের দশকে থাকতে পারেন, এ আমরা ভাবতেও পারিনি। ৩০ নভেম্বর বুদ্ধদেব বসুর জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ লেখা।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved