মাহেশ যে ঐতিহাসিক স্থান, সে-বিষয়ে আরও অনেক কথা জানা যায় ‘শ্রীরামপুর মহকুমার ইতিহাস’ পড়লে। মোগল শাসনকালে গোটা অঞ্চলটাই ছিল পাটুলির জমিদারদের অধীন। তখন অবশ্য ছিল তিনটি পৃথক সমৃদ্ধশালী গ্রাম– শ্রীপুর, গোপীনাথপুর আর মোহনপুর। মাহেশের জগন্নাথ মন্দির-সহ আরও অনেক মন্দির ও দেবদেবীর বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পাটুলির জমিদার বংশ। ওই বংশের রাজা মনোহর রায় শ্যাওড়াফুলিতে বসবাস শুরু করে হুগলি জেলায় নানা স্থানে কত যে বিগ্রহ ও মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তার কোনও ইয়ত্তা নেই। শুধু কি তাই, মাহেশের জগন্নাথের মন্দির তৈরি করিয়ে দেওয়া ছাড়াও দিয়েছিলেন অনেক অর্থ ও ভূসম্পত্তি।
১৯.
‘পূর্ব্বে স্নানযাত্রার বড় ধূম ছিল– বড় বড় বাবুরা পিনেস, কলের জাহাজ, বোট ও বজরা ভাড়া করে মাহেশ জেতেন, গঙ্গায় বাচ খ্যালা হতো, স্নানযাত্রার পর রাত্তির ধরে খ্যামটা ও বাইয়ের হাট লেগে য্যাতো। কিন্তু এখন আর সে আমোদ নাই– সে রামও নাই, সে অযোধ্যাও নাই– কেবল ছুতর, কাঁশারি, কামার ও গন্ধবেণে মশাইরা যা রেখেছেন, মধ্যে মধ্যে দু চার ঢাকা অঞ্চলের জমিদারও স্নান যাত্রার মান রেখে থাকেন, কোন কোন ছোকরা গোছের নতুন বাবুরাও স্নানযাত্রায় আমোদ করেন বটে’। হুতোমের কথা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, মাহেশের রথের মতোই মাহেশের স্নানযাত্রার ধূম ছিল, আর সেও বেশ অনেকদিন ধরেই। আর ওই যে বড় বড় বাবুদের গরহাজিরায় সামান্য বাবুদের, উঠতি বাবুদের মোচ্ছবের গপ্পো, যার বেশ খুঁটিয়ে ছবি দিয়েছেন কালীপ্রসন্ন সিংহ, তারও একখানা গপ্পো আছে, বলব পরে।
শ্রীচৈতন্যের পুরী যাওয়ার আগে থেকেই ধ্রুবানন্দ নামে এক নৈষ্ঠিক বৈষ্ণবভক্ত শ্রীক্ষেত্রে গিয়েছিলেন জগন্নাথ দর্শন করতে। শুধু দর্শন করেই ক্ষান্ত হননি, তিনি চেয়েছিলেন নিজের হাতে রেঁধে ‘প্রভু’-কে ভোগ দেবেন। পান্ডারা সবলে বাঁধা দিলে, আর ধ্রুবানন্দও পণ করলেন যতদিন না অমন করতে পারছেন, নিজেও কিছু খাবেন না। উপোস করে পড়ে রইলেন মন্দিরের দরজার একপাশে। একদিন যায়, দু’দিন যায়, তৃতীয়দিন রাতে ‘প্রভু’ আদেশ দিলেন, ভাগীরথী তীরে মাহেশে ফিরে যেতে, সেখানে নদীতে নিম গাছের এক গুঁড়ি ভেসে আসবে, তা থেকে ত্রিরত্ন মূর্তি, অর্থাৎ জগন্নাথ, বলরাম আর সুভদ্রার মূর্তি গড়িয়ে তাকে যেন ধ্রুবানন্দ নিজের হাতে রেঁধে খাওয়ান, তাঁর খুব সাধ সেই রান্না খাওয়ার।
ফিরে এলেন ধ্রুবানন্দ। তারপর যথাকালে প্রতিষ্ঠা করলেন সেই মূর্তি। পরে সন্ন্যাস নিয়ে পুরী যাওয়ার পথে শ্রীচৈতন্য মাহেশে এলে বৃদ্ধ ধ্রুবানন্দ তাঁকে ওই দেবতার সেবাপূজার অধিকার তুলে দিতে চাইলেন। চৈতন্যই তাঁর অনুগত ও দ্বাদশ গোপালের অন্যতম কমলাকর পিপলাইয়ের হাতে সে দায়িত্ব অর্পণ করেন বলে কথিত।
কমলাকর পিপলাই সম্পর্কে অমূল্যধন রায়ভট্ট তাঁর ‘দ্বাদশ গোপাল বা শ্রীপাটের ইতিবৃত্ত’ বইতে চৈতন্যের মাহেশ আসার কথা বলেননি। আর নিমকাঠের গুঁড়ি নয়, সরাসরি তিনটি মূর্তি ভেসে আসার কথা বলেছেন। বৈষ্ণবমতে, দ্বাদশ গোপাল কী ও কারা, সে-ব্যাখ্যাও তিনি দিয়েছেন। বৃন্দাবনলীলায় শ্রীকৃষ্ণের সখাগণ ‘গোপাল’ নামে পরিচিত, যাঁদের চারটি শ্রেণি– সুহৃৎ, সখা, প্রিয়সখা, নর্ম্মসখা। ওই প্রিয়সখা আর নর্ম্মসখাদের মধ্যে ১২জন গৌরাঙ্গ অবতারে লীলা পোষ্টাইয়ের জন্য অবতীর্ণ হয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে কমলাকর পিপলাই ছিলেন বৃন্দাবনলীলার ‘মহাবল সখা’ নামে পরিচিত।
মাহেশ যে ঐতিহাসিক স্থান, সে-বিষয়ে আরও অনেক কথা জানা যায় ‘শ্রীরামপুর মহকুমার ইতিহাস’ পড়লে। মোগল শাসনকালে গোটা অঞ্চলটাই ছিল পাটুলির জমিদারদের অধীন। তখন অবশ্য ছিল তিনটি পৃথক সমৃদ্ধশালী গ্রাম– শ্রীপুর, গোপীনাথপুর আর মোহনপুর। মাহেশের জগন্নাথ মন্দির-সহ আরও অনেক মন্দির ও দেবদেবীর বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পাটুলির জমিদার বংশ। ওই বংশের রাজা মনোহর রায় শ্যাওড়াফুলিতে বসবাস শুরু করে হুগলি জেলায় নানা স্থানে কত যে বিগ্রহ ও মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার কোনও ইয়ত্তা নেই। শুধু কি তাই, মাহেশের জগন্নাথের মন্দির তৈরি করিয়ে দেওয়া ছাড়াও দিয়েছিলেন অনেক অর্থ ও ভূসম্পত্তি। তা পেয়ে কমলাকর পিপলাই এত খুশি হয়েছিলেন যে, মাহেশের স্নানযাত্রা উৎসবের শুভারম্ভের অনুমতি দেওয়ার অধিকার দিয়েছিলেন ওই বংশীয়দের। বংশ পরম্পরায় শ্যাওড়াফুলি থেকে রাজা নিজে এসে অনুমতি দিলে তবে জগন্নাথদেব-সহ ত্রিরত্ন মূর্তির স্নান শুরু হত। বেশ অনেকদিন পরে হল কী, শ্রীরামপুরের জনৈক তিলি-ব্যবসায়ীর কাছে ‘ছয় আনি জমিদারি’, মানে গোটা অঞ্চলটাই বন্ধক পড়ে। আর সেই সুযোগে ব্যবসায়ীমশাই মন্দিরের পূজারিদের হাত করে স্নানযাত্রার অনুমতি হাতিয়ে নেন। ওদিকে, শ্যাওড়াফুলি থেকে রাজা হরিশচন্দ্র মাহেশ আসার পথে মাঝরাস্তায় শুনলেন স্নান করানো হয়ে গেছে। রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে লোক লস্কর নিয়ে মন্দির থেকে পূজারীদের বেঁধে নিয়ে এলেন শ্যাওড়াফুলি। অশেষ লাঞ্ছনা ভোগ করে পুরোহিতেরা মুচলেকা দিলেন ভবিষ্যতে কখনও আর এমন হবে না!
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
কমলাকর পিপলাই সম্পর্কে অমূল্যধন রায়ভট্ট তাঁর ‘দ্বাদশ গোপাল বা শ্রীপাটের ইতিবৃত্ত’ বইতে চৈতন্যের মাহেশ আসার কথা বলেননি। আর নিমকাঠের গুঁড়ি নয়, সরাসরি তিনটি মূর্তি ভেসে আসার কথা বলেছেন। বৈষ্ণবমতে, দ্বাদশ গোপাল কী ও কারা, সে-ব্যাখ্যাও তিনি দিয়েছেন। বৃন্দাবনলীলায় শ্রীকৃষ্ণের সখাগণ ‘গোপাল’ নামে পরিচিত, যাঁদের চারটি শ্রেণি– সুহৃৎ, সখা, প্রিয়সখা, নর্ম্মসখা। ওই প্রিয়সখা আর নর্ম্মসখাদের মধ্যে ১২জন গৌরাঙ্গ অবতারে লীলা পোষ্টাইয়ের জন্য অবতীর্ণ হয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে কমলাকর পিপলাই ছিলেন বৃন্দাবনলীলার ‘মহাবল সখা’ নামে পরিচিত।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
১৭৫৫ খ্রিস্টাব্দে দিনেমার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মুর্শিদাবাদের নবাবের অনুমতিক্রমে শ্রীপুর আর আকনা গ্রামের ৬০ বিঘে জমিতে ‘বাণিজ্যাগার’ বানিয়ে তোলে। পরে শ্রীপুর, গোপীনাথপুর ও মোহনপুর গ্রামের ইজারা নিয়ে ভালো নাম ‘ফেড্রিক্স নগর’ আর ডাক নাম ‘শ্রীরামপুর’ করে দেয়। আবার ইংরেজ আমলেও ওই অঞ্চলে মিশনারিদের আধিপত্য বিস্তার সত্ত্বেও হিন্দু দেবদেবীদের বোলবোলাও বিন্দুমাত্র কমেনি। রুদ্র পণ্ডিতের রাধাবল্লভ, আকনার রামসীতা, কিংবা মাহেশের জগন্নাথ অপ্রতিরোধ্য হয়েও নিত্যদিন পূজিত হয়েছেন। রাজা মনোহরচন্দ্র রায় তার অনেক আগেই প্রথমে মাহেশের জগন্নাথ দেবের মন্দির তৈরি করিয়ে দেন, ১১৪১ বঙ্গাব্দে শ্যাওড়াফুলিতে সর্বমঙ্গলা বিগ্রহ ও মন্দির এবং ১১৬০ বঙ্গাব্দে আকনায় রামসীতার বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন। আবার পূর্বোক্ত রাজা হরিশচন্দ্র রায় প্রতিষ্ঠা করেন শ্যাওড়াফুলিতেই নিস্তারিণী মাতার মন্দির। হরিশচন্দ্র রায়ের স্ত্রীর নাম ছিল সর্বমঙ্গলা, তাঁর অপঘাতে মৃত্যু হলে বিবেক যন্ত্রণায় কাতর হয়ে রাজা পণ্ডিতের নিদান মেনে ভাগীরথী তীরে এক অপূর্ব কালী মূর্তি ও মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। কথিত আছে, এই মন্দিরের ঘাটে একদা রানি রাসমণির বজরা থামলে ভোর ভোর নাগাদ রানি দেখেন ছোট্ট একটি কালো রঙের মেয়ে ঘাটে নাইতে এসেছে, রানি তাকে জিজ্ঞেস করলে সেই মেয়ে তার বাড়ি বলে নিস্তারিণী মন্দিরে নিয়ে যায়, এবং তারপরে অদৃশ্য হয়ে যায়। রানি রাসমণি তার অনেক পরে দক্ষিণেশ্বরে তাঁর আরাধ্যা ভবতারিণীর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।
মাহেশের জগন্নাথ মন্দির ও রথের সঙ্গে কলকাতা নিবাসী আরেক জমিদারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল, তিনি হলেন দয়ারাম বসুর পুত্র কৃষ্ণরাম বসু (১৭৩৩–১৮১১)। প্রাথমিক জীবনে কলকাতায় এসে নুনের ব্যবসা দিয়ে শুরু করে কিছুদিনের মধ্যে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে ‘কর্ম্ম লাভ’, ক্রমে হুগলি জেলার দেওয়ান। আর তখন থেকে ভাগ্যোদয় কারণে আর আজন্ম দেবদেবী তথা হিন্দুশাস্ত্রে অচলা-ভক্তির প্রকাশ ঘটতে থাকে নানা ধর্মস্থানে ও সামাজিক জীবনে। মাহেশে পুরাতন মন্দির নদী ভাঙনের কারণে নষ্ট হলে তিনি আবার নতুন করে মন্দিরটি গড়িয়ে দেন। মাহেশের রথ তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বলেও দাবি করা হয়। শুধু মাহেশে নয়, পুরীর জগন্নাথের রথ তৈরির জন্যও প্রচুর অর্থ সম্পত্তি দান করেছিলেন তিনি। এছাড়া যশোরে মদনগোপাল, বীরভূমের সিউড়িতে রাধাবল্লভ জীউ, বারাণসীতে কয়েকটি শিবমন্দির, ভাগলপুরে সবচেয়ে উঁচু পাহাড়ের ওপর শিবমন্দির গড়ে দেন। তাঁর জন্মগ্রাম তাড়া থেকে মথুরবাটী পর্যন্ত কৃষ্ণজাঙ্গাল নামে এক রাস্তা তৈরি করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কটক থেকে পুরী পর্যন্ত বিশ ক্রোশ রাস্তার দু’ধারে আমের গাছ লাগিয়ে দেন, যাতে ওই পথে যেতে যেতে যাত্রীরা ছায়া ও ফল দুই-ই লাভ করতে পারেন। গয়াধামে রামশীলা পাহাড়ে ওঠার জন্য সিঁড়িও তাঁর পাঠানো অর্থে তৈরি হয়।
মাহেশের প্রথম রথটি জনৈক মোদক তৈরি করিয়ে দিয়েছিলেন। পরে পাঁচটি চূড়াবিশিষ্ট একটি রথ তৈরি করিয়ে দেন কৃষ্ণরাম বসু ১৭৫৫ সালে। মাহেশ মন্দির থেকে গুন্ডিচা বাড়ি পর্যন্ত দেড় মাইল রাস্তাও তৈরি করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তারপর ১৭৯৭ সালে রথ গড়িয়ে দেন কৃষ্ণরাম বসুর ছেলে গুরুপ্রসাদ বসু। কিন্তু কোনও এক পুণ্যার্থী রথের চাকায় আত্মবিসর্জন করলে রথটি পরিত্যক্ত হয়। পরের বছর আবার এক নয় চূড়াবিশিষ্ট রথ তৈরি করান গুরুপ্রসাদের পুত্র কালাচাঁদ। সেটি জীর্ণ হলে এক কাঠের রথ তৈরি হয় কালাচাঁদের পৌত্র বিশ্বম্ভরের তদারকিতে। সেটিও আগুনে পুড়ে যায়। ১৮৮৪ সালে রথযাত্রার দিনেই গুন্ডিচা বাড়িতে রথটি আগুনে ভস্মীভূত হয়। ১৮৮৫ সালে, সেটি নয় চূড়াবিশিষ্ট, লোহার তৈরি করিয়ে দেন বিশ্বম্ভরের ছোট ভাই কৃষ্ণচন্দ্র বসু। নির্মাতা মার্টিন বার্ন কোম্পানি। স্থপতি ছিলেন বিখ্যাত ইঞ্জিনিয়ার নীলমণি মিত্র।
তবে শ্রীরামপুরের তীর্থরূপে মাহেশের যতটা গুরুত্ব, ততটাই গুরুত্ব আছে রাধাবল্লভের মন্দিরেরও। কথিত, রুদ্র পণ্ডিত নামে জনৈক বৈষ্ণব মুর্শিদাবাদের নবাবের তোরণ থেকে একখানি তেলুয়া পাথর উপহারস্বরূপ উদ্ধার করে নিয়ে আসেন, এবং তিনটি মূর্তি ওই পাথর থেকে তৈরি হয়, খড়দহের শ্যামসুন্দর, সাঁইবোনার নন্দদুলাল এবং বল্লভপুরের রাধাবল্লভ। মাঘীপূর্ণিমার দিনে ভক্তের দল একযোগে তিনটি মন্দিরে গিয়ে দেবদর্শন করে থাকে। যদিও খড়দহের শ্যামসুন্দরের প্রতিষ্ঠা আদতে কে তা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে।
………………………………………………
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
………………………………………………
তবে মাহেশের মাহাত্ম্য আরও একটি কাহিনি ঘিরে ছড়িয়ে আছে। হুগলি জেলা জুড়েই মিষ্টি ও মোদকের খ্যাতি সর্বজনবিদিত। কথিত, কোনও এক সময় পুরী থেকে জগন্নাথ ও বলরাম দুই ভাই মিষ্টি খেতে মাহেশে আসেন, মহেশ দত্তের দোকান থেকে প্রচুর পরিমাণে সন্দেশ খেয়ে দাম দেওয়ার পরিবর্তে হাতের বালা খুলে দিয়ে যান। পরে দেব-অলংকারের খোঁজে এসে সেই দোকানির থেকে বালা উদ্ধার করে নিয়ে যান পুরীর পান্ডারা। কিন্তু সেই থেকে মহেশ দত্তের সৌভাগ্য সূচনা, যদিও আজ তাঁর দোকানটি দেখে বিশ্বাস করা কঠিন যে, এমন মাহাত্ম্য এই দোকানের আছে। তবে আজও এই দোকান থেকে নিয়মিত ‘বালা সন্দেশ’ মাহেশের জগন্নাথ ও রাধাবল্লভের ভোগে নিবেদন করা হয়।
নানা ধর্মের সমন্বয়, আর ইতিহাসের নানা কাহিনি, ভারতে বিদেশিদের প্রথম বাণিজ্যাগার, ছাপাখানা, শিক্ষা, স্থাপত্য সব মিলিয়ে শ্রীরামপুর আজও এক অতি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র।
…পড়ুন তীর্থের ঝাঁক-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ১৮। কঙ্কালীতলায় বলিদানের বীভৎসতা ব্যথিত করেছিল রবীন্দ্রনাথকে
পর্ব ১৭। শ্রীরাধার মূর্তিকে কনের সাজে যুগল কিশোর মন্দিরে পাঠিয়েছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র
পর্ব ১৬। যে দেবীর পুজোর নির্ঘণ্ট ঠিক করা হয় জলঘড়ির সাহায্যে
পর্ব ১৫। হেস্টিংসের নজর থেকে গুহ্যকালীর মূর্তি রক্ষা করেছিলেন মহারাজা নন্দকুমার
পর্ব ১৪। সারা বছর দেবী থাকেন জলের তলায়, পুজো পান কেবল বৈশাখের সংক্রান্তিতে
পর্ব ১৩। দ্বিধাগ্রস্ত বিবেকানন্দকে পথ দেখিয়েছিল যে কন্যাকুমারী
পর্ব ১২। রানি অহল্যাবাইয়ের উদ্যোগে পুনর্নির্মাণ ঘটে বিন্ধ্যবাসিনী মন্দিরের
পর্ব ১১। বৈজু গোয়ালা যেভাবে পেয়েছিল শিবের দর্শন
পর্ব ১০। নবদ্বীপ বরাবর সর্বধর্মের মিলনক্ষেত্র, সেই সমাহার আজও বর্তমান
পর্ব ৯। দেবী কামাখ্যার পুজোর নেপথ্যে রয়েছে আদিবাসীদের কৃষিকাজের উৎসব
পর্ব ৮। শতবর্ষ আগে বাংলার প্রথম সত্যাগ্রহ আন্দোলন গড়ে উঠেছিল তারকেশ্বর মন্দিরকে ঘিরে
পর্ব ৭। বামাক্ষ্যাপার টানে তারাপীঠে এসেছিলেন বিবেকানন্দ, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ
পর্ব ৬। তান্ত্রিক, কাপালিক এবং ডাকাতদের থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কালীঘাটে পুজো দিতেন যাত্রীরা
পর্ব ৫। কপিলমুনির আশ্রম খুঁজে না পেয়ে ‘শতমুখী’ হয়েছিল গঙ্গা
পর্ব ৪। কোন উপায়ে লুপ্ত বৃন্দাবনকে ভরিয়ে তুললেন রূপ-সনাতন?
পর্ব ৩। পুত্র রাম-লক্ষ্মণ বিদ্যমান থাকতেও পুত্রবধূ সীতা দশরথের পিণ্ডদান করেছিলেন গয়ায়
পর্ব ২। এককালে শবররা ছিল ওড়িশার রাজা, তাদের নিয়ন্ত্রণেই পুজো পেতেন জগন্নাথদেব
পর্ব ১। ছোটবেলায় ছবি দেখেই কাশীধামে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন ম্যাক্সমুলার সাহেব