গড়পড়তা মানুষের মতোই চাকরি, বউ, ছেলে-মেয়ে, সংসার, বন্ধু– এসব বন্ধনও যেমন চেয়েছিলেন, তার সঙ্গে সঙ্গেই হয়তো চেয়েছিলেন এক হিংস্র একাকিত্বও; চেয়েছেন স্বীকৃতি এবং শিরোপাও। কিছু মিলেছে, আবার কিছু মেলেওনি। দুর্নাম দুর্বিপাক, বিচ্ছিন্নতাও ছেড়ে যায়নি তাঁকে; বেগড়বাঁই আশক্তি, একগুঁয়েমি, আবার একই সঙ্গে সমঝোতা– এ দুয়ের তালমিলেও চলেছেন কমলদা; মনে হয়েছে তাঁর ভাণও বড় কম নয়; অসহ্য আমিত্ব, লোভ, ঈর্ষা, আক্রমণের উৎপাতও ঘটেছে তাঁর ব্যবহারে; কত সময় তো দূরত্বও তৈরি করেছি, সংশোধন চেয়ে; মন খারাপ হতে হতে, আভাসেই মিলিয়ে গেছেন কমলদা। কিন্তু মুছে যাননি কিছুতেই।
বয়স বাড়লেও, ধরনটা যেন এক ছটফটে কিশোরের। মনে ধরলে, গম্ভীর মুখে বড় বড় চোখে সরাসরি তাকাবেন; হাসি পেলে ঊর্ধ্বনেত্র হয়ে, উদ্দাম হো হো এবং ডাকাডাকিতে গলা ছেড়ে হাঁক! কিন্তু লেখালেখির সময়, নির্জন নিভৃতি; যেন বিরহীর অনন্ত ডুবে থাকা। কমলদাকে অনেক সময়েই , অনেক ভাবে দেখেছি; কিন্তু প্রকাশ্যে তিনি লিখছেন বা লেখার জন্য গা ঢাকা দিয়েছেন কোথাও– এমনটা মনে পড়ে না। ফলে তাঁর লেখালেখির ব্যপারটা কারও জানা না থাকলেও তিনি কিন্তু ‘কমলদা’– অসম্ভব এক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
আটের দশকে এম. এ পড়ার সময় তাঁকে প্রথম দেখি; কফি হাউসের দোতলায়, আমাদের টেবিলের কোনা করে বসা, অন্য আর এক টেবিলে। খুব যে লম্বা তা নয়; গায়ের রং ফরসা; দেহখানি ছিপছিপে; পরনে উজ্জ্বল নীল আমেরিকান জিন্স; গায়ে সম্ভবত লাল ঘেঁষা চেক-চেক বুশ শার্ট। সে সময় আমেরিকান জিন্স দেখেই চেনা যেত; কারণ চড়া দাম এবং অলভ্য হওয়ায়, কম লোকেই তা পরত। প্রেসিডেন্সিতে আমার দুই সহপাঠিনী নিয়তই এসব পরত বলে, তাদের সেই ঘোষণা থেকেই চেনা হয়ে গিয়েছিল। ঘন কালো চুল, একমুখ দাড়ি এবং সচেতন চোখ জোড়া তাঁকে বেশ চোখে পড়িয়েছিল। শুনেছিলাম, জামশেদপুরে থাকেন; সেখান থেকেই সম্পাদনা করেন ‘কৌরব’ নামে একটি পত্রিকা; ব্যস ওই একদিনই এবং একবার।
আবার যোগাযোগ হল, ২০০৪। প্রায় ২০ বছর পার করে; যখন অনেক ভাঙন এঁটে উঠে, জীবন আবার নতুন করে কিছু গড়েও তুলছে। লেখলেখির সূত্রে, কমল চক্রবর্তী নামটি এবং তাঁর লেখা কয়েকটি বই, তখন অধিক পরিচিত; কিন্তু ইতিমধ্যে, সেই মানুষের চেহারাটা সম্পূর্ণ ভুলে গিয়েছি। পাইকপাড়া ছেড়ে যাদবপুরের কাছে গাঙ্গুলিবাগানে থাকতে এসে, আলাপ হল প্রতিবেশী রেনুকা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে, যিনি একজন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা এবং বিদুষী; তাঁর একমাত্র ছেলে ধূর্জটি এবং তার বউ মিঠু– পুরোপুরি কমলদার চেলা। কমলদা তাই ওঁদের বাড়ির আত্মজনও বটে; রেনুকা মাসিমার স্বামীর কাজে, এই কমলদাকে দেখলাম; আমার সঙ্গে আলাপ হতেই বললেন, ওকে তো মনে আছে… কফি হাউস… কবিতা। রাখালি কায়দায় ধুতি-পাঞ্জাবি পরা, সাদা চুলের কমলদাকে আমি মনেই করতে পারলাম না, আগে কোথাও দেখেছি বলে; কিন্তু বেশ লাগল, মানুষটিকে। আর যারা তাঁকে চেনাল, তিনি তাদের বাবা-কাকাদের বন্ধু– তাই ‘কমলকাকা’; বুঝলাম, এক জেনারেশন পার হয়ে গিয়েছে; সেই নতুন দলের উৎসাহে, আমরা চললাম, ‘ভালোপাহাড়’। জনা পনেরো তো হবেই। কারণ গালুডিতে, কমলদার পাঠানো জিপের মাথাতেও কেউ কেউ বসেছিল। চারিদিকে সবুজ পাহাড়ের মধ্যে, একটা নাবাল চরাচর; আর সেখানেই স্বপ্ন দিয়ে সাজানো ভালোপাহাড়। খুব সাধারণ আয়োজন; কিন্তু বড্ড আন্তরিক; সঙ্গে একটা প্রাইমারি ইশকুলে কিছু প্রাণবন্ত শিশু আর কিশোর-কিশোরীর দল; হিমুলি, বাসন্তী, হপন, প্রিয়নাথ, আর তাদের প্রদীপ স্যর। দুপুরের পর ইশকুল ছুটি হলেই সব শুনশান। ইশকুলের পিছন দিক দিয়ে হাঁটা পথে, ডানপাশে একটা মস্ত পাকুড় গাছের ছায়া আঁকা, বেগুনি শাপলা দিয়ে সাজানো, এক টলটলে দীঘি; গেটের ওপাশে পিচরাস্তা ধরে, মাঠ পেরোলেই ভালোপাহাড়ের তৈরি করা বিস্তীর্ণ জঙ্গল; এখান দিয়েই বয়ে চলেছে ‘আমলি’ নদীর ক্ষীণ জলধারা; আর একদিকে কুচিয়ার বি .এস. এফ ক্যাম্প এবং অন্য মুখে এগোলেই, মাওবাদী এলাকা বান্দোয়ান। ওই প্রথমবারেই ভরে দিলেন কমলদা, প্রকৃতির মতোই উজাড় করা ভালবাসা আর আনন্দ দিয়ে; ‘ভালোপাহাড়’-এর পাঁচিল ঘেরা পরিসরও ক্রমে ছড়িয়ে পড়ল, ‘ভালু বাঁধ’, ‘দুয়ারসিনি’, ‘সাত ঘুরুং’ ছাপিয়ে দলমা পাহাড়ের আনাচকানাচে; পরদিন দুপুরে ফিরে আসার সময় আমাদের সঙ্গে, কমলদারও চোখে জল; যেন একটা ম্যাজিকল্যান্ডে চলে গেছিলাম আমরা।
নেশা ধরে গেল। কতবার যে কত-দলে যেতে লাগলাম, দফায়-দফায়। দিনে রাতে, শীত- গ্রীষ্ম-বর্ষা-হেমন্ত ও বসন্ত মেখে, বারে বারে নিকট থেকে দেখার সুযোগ ঘটল তাঁকে; এমনও হয়েছে যে, পুরুলিয়ার গরমে, লোডশেডিং, মানে দিনে-রাতে কারেন্ট নেই; আমরা কিন্তু দিব্যি কাটিয়ে দিলাম। আর সেবার! হাওড়া থেকে খড়্গপুরে এসে দেখি, মাওবাদীদের ডাকা বন্ধে, ওই লাইনে রেল চলাচল স্তব্ধ; বেশিরভাগ লোকই ফিরে গেল; আমরা উঠে পড়লাম দেহাতী মানুষদের ভিড়ে ঠাসা এক লোকাল বাসে; মেদিনীপুর সীমানায় চিরচিরা চেকপোস্টে এসে বাস দাঁড়িয়ে গেল। আর এগনো যাবে না; মানে তখন কিন্তু হাওড়ায় ফেরাও দূর অস্ত; একটা খালি খাটিয়ার চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসা, খোশ মেজাজের আমাদের দেখে, শঙ্কিত হয়ে একজন বললেন, এখুনি চলে যান; রাস্তার ওপারে গিয়ে লরি থামিয়ে উঠে পড়ুন। লরি থামতে শঙ্কর ড্রাইভারের প্রশস্ত কেবিন এবং দরকারে মেঝেতে লুটিয়ে যাওয়া; কারণ লরি-লরি ব্ল্যাক ক্যাট চারপাশে টহল দিচ্ছে, যারা মাওবাদীদের থেকেও ভয়ংকর; লরি থেকে হাইওয়ে দেখা এবং চড়া রোদ কমে যেতে, বিকেল হয়ে আসার সেই মোহময় ছবিও তো কমলদারই উপহার; ওই ডাকাতে মানুষটাও তখন টেনশনে জেরবার। সূর্যাস্ত হওয়ার আগেই গালুডিতে তো নামলাম, কিন্তু তারপরও তো ঝাড়খণ্ড সীমানা মানে, দুয়ারসিনি পার হয়ে তবে ভালোপাহাড়! কমলদার পাঠানো জিপে উঠে, মনে হল, যেন বাড়ি ফিরছি সকলে। আর একবার বিকেলে, ঠিক বেড়াতে বেরনোর সময় ঝড় উঠল; সঙ্গে উপশ্রান্ত বৃষ্টি; সেই পুরনো, ঝিম ধরা জিপেই আমাদের জোর করে তুলে, বেরিয়ে পড়লেন কমলদা। গ্রাম্য হাটে ঘুরে বেড়ানো, বান্দোয়ানে গিয়ে সেও-বোঁদে খাওয়া, বাসুদার সঙ্গে হাত মিলিয়ে মস্ত মাটির উনুনে রান্না করা আর তারার আলোয়, খোলা চত্বরে বসে, সারারাত গান নাচ কবিতা। কমলদার সঙ্গ না করলে, এসব কিছুই হত না; জানা হত না ওই ইশকুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথকে ভাগ করে নেওয়ার আনন্দ।
এখানে সকলের কাছে যে ‘বড় স্যর’ কমলদা, তাঁকেও দেখেছি খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে; সদলবলে আমরা গিয়ে পড়তেই, বিকেলের রান্না আমাদের হাতে ছেড়ে দিয়ে, বাসুদা গ্রামে চলে গেল, একবেলার ছুটি নিয়ে। আমি বললাম যে, ডাল-আলুভাজা করে দেব, কিন্তু উনুনটি ধরিয়ে দিতে হবে আপনাকেই; কমলদা বললেন এ আর এমন কী ! বিকেলে বেড়িয়ে ফিরে, শুকনো পাতা জ্বেলে চা করলাম, সকলের জন্য; সন্ধে গড়াতেই চারিদিকে ঘন অন্ধকার। রান্নার জায়গায় টিমটিমে ৪০ পাওয়ার। চাল, ডাল, আলু, বেগুন সব ধুয়ে গোছানো হয়ে গিয়েছে। এবার বড় বড় কাঠ জ্বালিয়ে উনুন ধরাতে হবে। জ্বালানো তো দুরস্থান, কাঠ সাজাতেই কেউ জানে না; একবাক্স দেশলাই কাঠির শ্রাদ্ধ করে কমলদা ও তাঁর ‘ও কিছু নয়– জ্বালিয়ে দেব’ বলে আশ্বস্ত করা সাহায্যকারীর দল–সব তখন দাঁড়িয়ে আছে , যে-যার হাত কোলে করে; একটু দূরে বসে থাকা আমাকে উদ্দেশ্য করে কমলদার হাঁক– টেকনিকটা একটু বলে দিলেই…; আমিও সুযোগ পেয়ে বলি, ‘আগুন জ্বালানোরও টেকনিক! সারা জীবন তো এটাই করে গেছেন!’ যাই হোক গার্লস গাইডের ক্যাম্পে কিছু ট্রেনিং থাকায়, সেই বড়-বড় কাঠেও কেরোসিন ছিটিয়ে জ্বলন্ত দেশলাই ছুড়তেই, আগুনের শিস উঠল; আর শুরু হল কমলদার উল্লাস। তৎক্ষণাৎ জিবের ডগায় আসা এলোমেলো শব্দগুলোকে দাপুটে সুর দিয়ে, কমলদা গান তো শুরু করলেনই; সঙ্গে তালে তালে নাচ; ঘন অন্ধকারে, দামাল উনুনের আগুনে, কমলদার সেই কম্ফটার জড়ানো উল্লসিত মুখ এবং হাত পায়ের ভঙ্গি– মশালের আলোয় ঠিক যেন এক অপেরা; গরম ডালের গন্ধে সকলেই তখন তালি দিয়ে নাচছে, যে যার মতো। ‘সাততলা বাড়িটা’, ‘টাটা বাবা’– এইসব গান লেখা লোকটা হই হই করে বেরিয়ে পড়লেন, তাঁর কলজেটাকে মুঠোয় ধরে, আমাকেই উপহার দিতে। ওই প্রাণশক্তি আর প্রাপ্তির আনন্দেই চিনতে পারলাম সেই আসল লোকটাকেও।
আর মনে পড়ে, কমলদার সরস টীকা– টিপ্পনী; উদাসীন গাম্ভীর্যের আড়ালে রসিক মনের ঠাস বুনন। সেবার দলবল নিয়ে লরি করে হাজির হওয়ায়, কমলদা বললেন, এবার প্রিন্সিপাল পদে আবেদন করো, এটাই তো অসামান্য যোগ্যতা! একবার বাংলা অকাদেমি চত্বরে, কোনও এক কবিতা উৎসবের ব্যানারে লেখা হয়েছিল, ‘কমল চক্রবর্তী (ঝাড়খণ্ড)’! সেটা দেখেই, কমলদার আর্তনাদ– ‘হায় রে! আমি শেষে ঝাড়খণ্ডী ’! আর সেবার তো গল্পচ্ছলে বললেন, আমার দাম বাড়ছে, না কমছে জানি না; কারণ, ট্রান্স জেন্ডারদের নিয়ে লেখা তাঁর ‘ ব্রহ্ম ভার্গব পুরাণ’ পড়ে, একজন রূপান্তরিত নারী নাকি প্রেম নিবেদন করে, বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তাঁকে। একবার লক্ষ্য করলাম, বাক্য গঠনে ক্রিয়ার ব্যবহার থেকে দূরে থাকছেন; সেকথা জানাতে বললেন, ক্রমটাই রাখছি… কার্যটা বাদ দিয়ে। কমলদার রসিকতা বোধের প্রকাশে একটু বক্রভাব এবং ব্যঙ্গ মিশে থাকলেও, বুদ্ধিমান পরিবেশনায় তা খুবই উপভোগ্য হত।
জীবনের কাছে কিচ্ছু পাওনা থাকে না আমাদের। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ, কড়ায় গণ্ডায় যখন তা বুঝে নিতে চান, তখনই বোঝা যায় যে, জীবনে কিছু তৃষ্ণা বয়ে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। কমলদাও এরকমই এক জীবনতৃষ্ণ মানুষ। গড়পড়তা মানুষের মতোই চাকরি, বউ, ছেলে-মেয়ে, সংসার, বন্ধু– এসব বন্ধনও যেমন চেয়েছিলেন, তার সঙ্গে সঙ্গেই হয়তো চেয়েছিলেন এক হিংস্র একাকিত্বও; চেয়েছেন স্বীকৃতি এবং শিরোপাও। কিছু মিলেছে, আবার কিছু মেলেওনি। দুর্নাম দুর্বিপাক, বিচ্ছিন্নতাও ছেড়ে যায়নি তাঁকে; বেগড়বাঁই আশক্তি, একগুঁয়েমি, আবার একই সঙ্গে সমঝোতা– এ দুয়ের তালমিলেও চলেছেন কমলদা; মনে হয়েছে তাঁর ভাণও বড় কম নয়; অসহ্য আমিত্ব, লোভ, ঈর্ষা, আক্রমণের উৎপাতও ঘটেছে তাঁর ব্যবহারে; কত সময় তো দূরত্বও তৈরি করেছি, সংশোধন চেয়ে; মন খারাপ হতে হতে, আভাসেই মিলিয়ে গেছেন কমলদা। কিন্তু মুছে যাননি কিছুতেই। বিস্মরণের বিপ্রতীপে, স্মরণেই থেকে গিয়েছেন, ভালবাসায়।
তাই, এ লেখা লিখতে গিয়ে আজ মনে হচ্ছে, তিনি আসলে অদম্য এক প্রাণশক্তি এবং তার উল্লাস। নিজেই নিজের সামনে মেলে রাখা, যেন এক পথ; নারীপ্রেম, বৃক্ষপ্রেম এবং অক্ষরপ্রেম এসব পরম্পরায় তিনি একজন স্বয়ং সম্পূর্ণ মানুষ। যেমন আদরে তিনি গাছ লাগান, তেমনই সুন্দর হাতের লেখায়, শব্দ আঁকেন পাতায়-পাতায়, উপহার পত্রে। তাঁর সাহচর্যে, একসময় যে উচ্ছ্বাস যাপন করেছি এবং যে অজস্র কবিতা লিখেছি মনের গহনে ডুব দিয়ে, দুঃসাহসে উপেক্ষা করতে পেরেছি শতেক বাধা– সে সবে এক অগাধ সত্যি ধরা আছে।
এখনও তা মোহময় এবং যার কোনও বিকল্প মেলেনি।
বান্দোয়ান বাজার থেকে কেনা, একঝাঁক মাছ দেওয়া, কোমরে ঝোলানোর দস্তার সেই বাহারি চাবির গোছাটা তো কবেই হারিয়ে গিয়েছে! আর আজ কমলদাও চলে গেলেন– মৃতের সাজে, মৃত্যু-মিছিলে; কোমা অবস্থায় একটু হোঁচট খেলেও, প্রায় ড্যাং ড্যাং করেই।
একটাই শান্তি যে, হাজার খানেক গাছ ছাড়া তাঁর আর কোনও উত্তরাধিকারী নেই।
‘জয় বৃক্ষনাথ’।
পশ্চিমবঙ্গের একশ্রেণির মানুষ বলতেন, ওঁরা তো ভোটে না জিতে নেতা হয়েছেন। হ্যাঁ, সীতারাম ইয়েচুরি কখনও ভোটে জিতে মন্ত্রী বিধায়ক হননি। তারপরও দলমত নির্বিশেষে যে গ্রহণযোগ্যতা ও মর্যাদা তিনি দেশের সীমা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অর্জন করেছিলেন, সেটা ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত।