খেয়াল করলে দেখি, অনেক সময়েই নানা ধরনের পাত্র তৈরি করার পরিকল্পনা রবীন্দ্রনাথের মনে আনাগোনা করত। তাঁর ডুডলিংয়ের মধ্যে একাধিক নকশা চোখে পড়ে, যা ডেকরেটেড পাত্রের আকার নিয়েছে। এমনকী, সেরামিক-পাত্র তৈরির কিছু আগে ১৯২৯ সালে জাপান যাওয়ার পথে জাহাজে বসেই তিনি প্রতিমা দেবীর জন্য একটা জলপাত্রের নকশা এঁকে পাঠাচ্ছেন। কীভাবে তা বানাতে হবে, নির্দেশ দিচ্ছেন সেই ব্যাপারেও। আবার অন্যত্র কয়েকটা জলপাত্রের এঁকে নিচে লিখে রেখেছেন ‘জলপাত্র/ চলবে কি’ ইত্যাদি।
৩০.
আজকের শিল্পকলায় নবতর মাধ্যম হিসেবে সেরামিকের উজ্জ্বল উপস্থিতি সর্বত্র চোখে পড়ে। এই বিষয়ে বেশ নতুন রকমের কাজ হচ্ছে চারদিকে। প্রকাশিত হচ্ছে কেবল সেরামিকের আজ নিয়ে স্বতন্ত্র আরত-ম্যাগাজিন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন আর্ট কলেজের সিলেবাসে সম্ভ্রমের সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে বিষয়টি। যদিও রবি ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে তার আগমন বহুকাল আগে, প্রায় বিশের দশকে। শ্রীনিকেতনের শিল্পসদনের গ্লেজ-পটারি এক সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়েছে। সেই চাহিদার গ্রাফ-লাইন আজকেও যথেষ্ট ঊর্ধ্বমুখী। কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ, প্রতিমা দেবী থেকে শুরু করে নন্দলালের পুত্র ও পুত্রবধূ বিশ্বরূপ এবং নিবেদিতা যেমন এই কাজের সঙ্গে নিবিড় ভাবে যুক্ত ছিলেন, একদা অসামান্য সব কাজ করেছেন– তেমনই নন্দলালের কন্যা গৌরী আর যমুনাও পিছিয়ে ছিলেন না। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ? যিনি সর্বদা নতুনকে স্বাগত জানিয়েছেন, নিয়ত আহবান যাঁর নবীনের প্রতি, তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দে সেরামিকের জায়গাটা কোথায়?
আমরা জানি, অভিনয় থেকে নাটক, মঞ্চ, কস্টিউম– সবেতেই তিনি নতুন ভাবনার জোগান দিয়েছেন। এমনকী, নৃত্যনাট্য ‘নটীর পূজা’কে সেলুলয়েডে ধরে রাখার ব্যাপারেও কার্পণ্য করেননি। অন্যদিকে রাশিয়া সফরে গিয়ে অন্যান্য কাজ থেকে সময় বাঁচিয়ে দেখেছেন আইজেনস্টাইনের ‘ব্যাটলসিপ পোটেমকিন’-এর মতো কালজয়ী ছায়াছবি। তিনিই চলচ্চিত্রের মূলকথাকে আমাদের সামনে মেলে ধরে, অবাক করে দিয়েছেন– ‘ছায়াচিত্রের প্রধান জিনিসটা হচ্ছে দৃশ্যের গতিপ্রবাহ’। ভেবে দেখলে ছায়াছবির সারকথাটুকু ভেসে উঠেছে এই ক’টি অক্ষরে! চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে আরও বলেছেন ‘এই চলমান রূপের সৌন্দর্য বা মহিমা এমন করে পরিস্ফুট হওয়া উচিত যা কোনও বাক্যের সাহায্য ব্যতীত আপনাকে সার্থক করতে পারে।’ অর্থাৎ চিত্রকলার মতো চলচ্চিত্রকেও ‘সাহিত্যের চাটুবৃত্তি’ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা তিনি বলছেন প্রায় ১০০ বছর আগে। অবাক হয়ে ভাবি, কী আশ্চর্য আধুনিক ভাবনা ছিল রবি ঠাকুরের!
কিন্তু শিল্পকলার আরেকটি জরুরি মাধ্যম ভাস্কর্য, তা নিয়ে তিনি কী ভাবছিলেন? বিদেশে একাধিক ভাস্করের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছে, নোবেল পর্বের আগেই লন্ডনে তিনি র্যঁদার সঙ্গে আলাপ করতে চেয়েছিলেন। অথচ ভাস্কর্যের আসরে তিনি অনুপস্থিত। তিনি কী চেয়েছিলেন? কিন্তু হাতেকলমে করা হয়নি? সে গল্প অনেকের জানা থাকলেও এখানে আরেকবার রইল।
রবীন্দ্রনাথ তখন জীবনের সায়াহ্নে, রামকিঙ্করের দীর্ঘ দিনের বাসনা, তাঁর প্রতিকৃতি গড়ার। সাহস করে বলতে সে আবদারে সম্মত হয়েছেন আশ্রম-আচার্য। রাজি হয়েছেন প্রতিকৃতি গড়ার জন্যে সিটিং দিতে, তবে কতগুলো শর্ত রেখেছেন তরুণ শিল্পীর কাছে। বিদেশি শিল্পীদের কথা স্মরণ করিয়ে বলেছেন, ‘ওদেশে মূর্তি গড়তে গেলেই খাড়া করে বসিয়ে নানা রকম যন্ত্রপাতি এনে নাক-মুখ মেপে ভয়ানক অস্বস্তি দেয়। আমার বড় কষ্ট হয়’। ওইটে চলবে না, রামকিঙ্কর অভয় দিয়ে বলেছেন, এমনটা তিনি একেবারেই করবেন না। কথা হয়েছে, রবি ঠাকুর আপন মনে নিজের কাজ করবেন, আর রামকিঙ্করও তাঁকে কোনওভাবে বিরক্ত না প্রতিকৃতি গড়বে। এই ব্যবস্থায় তিনি খুশি মনে পোর্ট্রেট গড়তে সম্মতি দিলেন। কাজ ধীরে ধীরে এগোচ্ছে। একদিন কী বিচিত্র খেয়ালে রবি ঠাকুর এক দলা মাটি চেয়ে বসলেন রামকিঙ্করের কাছে। বললেন, ‘আমাকে একতাল মাটি পারিস? আমার খুব ইচ্ছে করে বেশ হাত দিয়ে টিপে-টিপে একটা (কিছু) করি।’
বিস্ময়ের ঘোর কাটিয়ে হতবাক কিঙ্কর সেই মহাশিল্পীর হাতের নাগালে একতাল মাটি এগিয়ে দিতে যাবেন– এমন সময় চোখে পড়লো কবির পিছনে দাঁড়িয়ে পুত্রবধূ প্রতিমা দেবী। তিনি রামকিঙ্করের দিকে ‘কটমট করে তাকিয়ে’ মাটি দিতে নিষেধ করছেন। পরে প্রতিমা বউঠান তাঁকে আড়ালে ডেকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘(বাবামশায়কে) কখনো মাটিতে হাত দিতে দিও না। শরীর খারাপ, ঠান্ডা লেগে বিপত্তি হবে’। ফলে রামিকঙ্করের আর সাহসে কুলোয়নি। তাই কবির নিজের কাছে ‘হাত দিয়ে টিপে টিপে’ ভাস্কর্য গড়ার সাধ যেমন অপূর্ণ রয়ে গিয়েছে, তেমনি ভারতীয় শিল্পকলা রবি ঠাকুরের হাতে গড়া ভাস্কর্যের নমুনা থেকে বঞ্চিত হলো। শেষ জীবনে রামকিঙ্কর এমনটাই ভেবেছিলেন। তাঁর মনে হয়েছে, (সেদিন) ‘যদি সাহস করে ওঁকে খানিকটা মাটি দিতাম, ওঁর হাতের একটা কাজ হয়তো আমাদের ভাস্করদের পাথেয় হয়ে থাকতো।’ কী আশ্চর্য কথা! রবি ঠাকুরের হাতে একদলা মাটি সেদিন কি ইন্দ্রজাল রচনা করত, সে আর আমাদের আর জানা হল না। এ নেহাত রামকিঙ্করের আবেগতাড়িত উচ্চারণ নয়, এ হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাস্করের গভীর মর্মবেদনা।
এ জন্য প্রতিমা দেবীর প্রতি আমাদের মনে ক্ষোভ জাগতে পারে। কিন্তু এটাও ভেবে দেখার, জীবনের শেষ দিকে রবীন্দ্রনাথের অসুস্থ শরীরের জন্যে সদাচিন্তিত থাকতেন কবির ‘মামনি’ প্রতিমা দেবী। তাই সতর্ক অনুশাসনে ভাস্কর্যের ভুবনে আর পা ফেলতে পারেননি ছবি ঠাকুর। তবে মুকুল দে-র সহায়তায় ছাপাই-ছবির জগতে রবীন্দ্রনাথ যে তাঁর নিজস্ব টিপছাপ রেখেছেন, সে আমাদের অজানা নয়। তাঁর ছবির অ্যালবাম ‘চিত্রলিপি’তে ছাপাও হয়েছে রবি ঠাকুরকৃত একটি এচিং। কিন্তু সেরামিক? তাঁর আশ্রমের এই জনপ্রিয় শিল্পমাধ্যম বিষয়ে রবি ঠাকুরের কোনও আগ্রহ জেগেছিল কি না– জানতে বড় ইচ্ছে আমাদের। সেই সঙ্গে দেখি, আমাদের একেবারে চমকে দিয়ে তিনি গড়েছেন একটি সেরামিকের পট! কেবল তাই নয়, সেই অলংকৃত পাত্রটি মুকুল দে আয়োজিত সরকারি আর্ট স্কুলে অনুষ্ঠিত রবীন্দ্রনাথের চিত্র প্রদর্শনীতে দেখানো হয়েছে, তার ছবি ছাপা হয়েছে ক্যাটালগে। অনেকেই রবীন্দ্রনাথের ছবি সংগ্রহ করেছিলেন সেই এগজিবিশন থেকে। সম্ভবত এ কাজটিও কেউ সংগ্রহ করে থাকবেন, যা পরে কলাভবন মিউজয়মে ফিরে আসে। এখন প্রশ্ন, সেরামিকের এই পাত্র তিনি কবে করলেন, কোথায়ই বা করলেন? সন-তারিখের হিসেব অনুসারে, সেরামিকের রচনাকাল ১৯৩২-এর ১ ফেব্রুয়ারি। পাত্রটির নিচে তাঁর স্বাক্ষর আর তারিখ থেকে তা জানা যায়।
রবীন্দ্রনাথ তখন ছিলেন খড়দহের বাড়িতে ছিলেন। কিছুদিন পরেই মুকুল দে’র আয়োজনে তাঁর প্রদর্শনীর উদ্বোধন আসন্ন। আমরা দেখেছি, পেনেটি বা পানিহাটিকে রবীন্দ্রনাথ আজীবন স্মরণে রেখেছেন। ছোটবেলায় কলকাতায় ডেঙ্গুজ্বরের প্রাদুর্ভাবে ঠাকুরবাড়ির অনেকেই জোড়াসাঁকো ছেড়ে ‘পেনেটিতে ছাতুবাবুদের বাগানে আশ্রয়’ নিয়েছিলেন, বালক রবির সেই প্রথম ঘর থেকে ‘বাহিরে যাত্রা’ – ‘জীবনস্মৃতি’তে বলেছেন কথা। খড়দহের কাছে এই পেনেটি অঞ্চলে তখন নানা স্বদেশি উপকরণের পাশাপাশি সেরামিকের কারখানা ছিল। সেই পর্বে নবীনের পূজারী রবীন্দ্রনাথকে দিয়ে সেরামিকের কাজটি কেউ করিয়ে থাকবেন। সেরামিক তৈরির চাক ঘুরিয়ে মাটির পাত্রটি তিনি করেননি, তবে পাত্রের গায়ে তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিতে নকশা এঁকেছেন। তারপর গ্লেইজ করে নেওয়া হয়েছে বলে আমাদের অনুমান। যেমন, এচিং-এর ক্ষেত্রেও প্রিন্ট ইত্যাদি টেকনিকাল দিকটা মুকুল দে সামলেছিলেন।
খেয়াল করলে দেখি, অনেক সময়েই নানা ধরনের পাত্র তৈরি করার পরিকল্পনা রবীন্দ্রনাথের মনে আনাগোনা করত। তাঁর ডুডলিংয়ের মধ্যে একাধিক নকশা চোখে পড়ে, যা ডেকরেটেড পাত্রের আকার নিয়েছে। এমনকী, সেরামিক-পাত্র তৈরির কিছু আগে ১৯২৯ সালে জাপান যাওয়ার পথে জাহাজে বসেই তিনি প্রতিমা দেবীর জন্য একটা জলপাত্রের নকশা এঁকে পাঠাচ্ছেন। কীভাবে তা বানাতে হবে, নির্দেশ দিচ্ছেন সেই ব্যাপারেও। আবার অন্যত্র কয়েকটা জলপাত্রের এঁকে নিচে লিখে রেখেছেন ‘জলপাত্র/ চলবে কি’ ইত্যাদি। তবে সেরামিক পাত্রের প্রত্যক্ষ নমুনা হিসেবে এটি আমাদের চমকে দেয়! এখন পিছনে তাকিয়ে মনে হয়, আধুনিক আর্টের প্রায় সবক’টি রাস্তায় ছবি ঠাকুরের পায়ের চিহ্ন সুস্পষ্ট ছাপ রেখে গিয়েছে।
লেখার সঙ্গে ব্যবহৃত প্রতিটি ছবিই রবীন্দ্রনাথ-কৃত
…পড়ুন ছবিঠাকুর-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ২৯: ছিমছাম গ্রন্থসজ্জাই কি বেশি পছন্দ ছিল রবিঠাকুরের?
পর্ব ২৮: রবীন্দ্রনাথের আঁকা প্রথম প্রচ্ছদ
পর্ব ২৭: রবীন্দ্রনাথের চিত্রপটে রং-তুলিতে সাজিয়ে তোলা ফুলেরা কেমন? কী নাম তাদের?
পর্ব ২৬: রবীন্দ্রনাথের আঁকা শেষ ছবি
পর্ব ২৫: রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবি সংরক্ষণ করা সহজ নয়
পর্ব ২৪: জাল ছবি ও রবীন্দ্র-ব্যবসা
পর্ব ২৩: ছবি-আঁকিয়ে রবীন্দ্রনাথের বিদ্রোহের ছবি
পর্ব ২২: চিত্রকলার বোধ যত গাঢ়তর হচ্ছে, ততই রবীন্দ্রনাথ চোখের দেখার ওপরে ভরসা করছেন
পর্ব ২১: কলাভবনে নন্দলালের শিল্পচিন্তার প্রতি কি সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারছিলেন না রবীন্দ্রনাথ?
পর্ব ২০: ছবি বুঝতে হলে ‘দেখবার চোখ’-এর সঙ্গে তাকে বোঝার ‘অনেক দিনের অভ্যেস’
পর্ব ১৯: ছবি-আঁকিয়ে রবীন্দ্রনাথ কোন রংকে প্রাধান্য দিয়েছেন?
পর্ব ১৮: ছবি আঁকিয়ে রবিঠাকুরও সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন
পর্ব ১৭: রবীন্দ্রনাথের নারী মুখমণ্ডলের সিরিজ কি কাদম্বরী দেবীর স্মৃতিজাত?
পর্ব ১৬: ট্যাক্স না দেওয়ায় রবীন্দ্রনাথের ছবি আটক করেছিল কাস্টমস হাউস
পর্ব ১৫: বাইরে সংযত রবীন্দ্রনাথ, ক্যানভাসে যন্ত্রণাদগ্ধ ছবিঠাকুর
পর্ব ১৪: অমৃতা শেরগিলের আঁকা মেয়েদের বিষণ্ণ অভিব্যক্তি কি ছবিঠাকুরের প্রভাব?
পর্ব ১৩: আত্মপ্রতিকৃতির মধ্য দিয়ে নতুন করে জন্ম নিচ্ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
পর্ব ১২: আমেরিকায় কে এগিয়ে ছিলেন? ছবিঠাকুর না কবিঠাকুর?
পর্ব ১১: নন্দলাল ভেবেছিলেন, হাত-পায়ের দুয়েকটা ড্রয়িং এঁকে দিলে গুরুদেবের হয়তো সুবিধে হবে
পর্ব ১০: ১০টি নগ্ন পুরুষ স্থান পেয়েছিল রবীন্দ্র-ক্যানভাসে
পর্ব ৯: নিরাবরণ নারী অবয়ব আঁকায় রবিঠাকুরের সংকোচ ছিল না
পর্ব ৮: ওকাম্পোর উদ্যোগে প্যারিসে আর্টিস্ট হিসেবে নিজেকে যাচাই করেছিলেন রবি ঠাকুর
পর্ব ৭: শেষ পর্যন্ত কি মনের মতো স্টুডিও গড়ে তুলতে পেরেছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
পর্ব ৬: রবীন্দ্র চিত্রকলার নেপথ্য কারিগর কি রানী চন্দ?
পর্ব ৫: ছবি আঁকার প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ পরলোকগত প্রিয়জনদের মতামত চেয়েছেন
পর্ব ৪: প্রথম ছবি পত্রিকায় প্রকাশ পাওয়ামাত্র শুরু হয়েছিল বিদ্রুপ
পর্ব ৩: ঠাকুরবাড়ির ‘হেঁয়ালি খাতা’য় রয়েছে রবিঠাকুরের প্রথম দিকের ছবির সম্ভাব্য হদিশ
পর্ব ২: রবীন্দ্রনাথের আঁকা প্রথম ছবিটি আমরা কি পেয়েছি?
পর্ব ১: অতি সাধারণ কাগজ আর লেখার কলমের ধাক্কাধাক্কিতে গড়ে উঠতে লাগল রবিঠাকুরের ছবি