জনৈক পূর্ব জার্মান নেতা গর্বাচ্যোভের দিকে ফিরে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘তাহলে কি এখানেই শেষ?’ গর্বাচ্যোভ্ জানলা দিয়ে এক দৃষ্টে বাইরে তাকিয়ে থেকে প্রত্যুত্তরে বললেন, ‘হ্যাঁ, এখানেই শেষ।’
লন্ডন যখন উন্মত্ত প্রেমিকার মতো তার অধরসুধায় বাদল নামিয়েছে আমার ঠোঁটে, সেই টেমসের দূরান্তে লন্ডন ব্রিজকেই হাওড়া ব্রিজ বলে বিভ্রম হয়েছে!
জয়াদির মধ্যে যেটা আরও আছে প্রচণ্ড আন্তরিকভাবে, তা হচ্ছে বাঙালিপনা। এখনও সাদা চুলেও ফিক করে ওই ঠোঁট টিপে ধন্যি মেয়ে মার্কা মুচকি হাসিটি আগলে রাখতে পেরেছেন।
’৮৩-র বিশ্বকাপে কপিল দেবের যে ১৭৫ রানের অতিমানবিক ইনিংস, সে ইনিংসের মাতৃভাষা একটিই। ক্রিকেটীয়। রবীন্দ্র জাডেজা সেই ভাষাটিকে অতি যত্নেই ধারণ করেছেন। মাতৃভাষার মতোই।
শোভাবাজারের রাজা, নদীয়ার রাজা, ওয়ারেন হেস্টিংস, স্যর জন শোর তাঁকে পণ্ডিত হিসেবে মান্যতা দিতেন। এমন মান্যতার কারণেই হেস্টিংসের মূর্তির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন জগন্নাথ তর্ক পঞ্চানন। এই সংযুক্তি-ব্যতীত হেস্টিংস যে প্রাচ্য অনুরাগী, তা বোঝানো যেত না।
লাইন টানা ‘স্কলার’ এক্সারসাইজ খাতায় ইংরেজি থ্রিলার অনুবাদ করতেন। বিশেষ করে মনে আছে, একবার আগাথা ক্রিস্টির ডিটেকটিভ নভেল অনুবাদ করছিলেন, খুব সহজবোধ্য করে ঝরঝরে লেখা পড়ে পড়ে শোনাতেনও।
পূর্ণেন্দুবাবু, আমার শ্রেষ্ঠ কবিতার জন্যে আপনার আঁকা ছবি দেখলাম প্রচ্ছদটি আমার ‘কাস্তে’ কাব্যগ্রন্থের উপযুক্ত। ওটি পরের সংস্করণ ‘কাস্তে’তে ছাপা হ’লেই ভাল। কিন্তু শ্রেষ্ঠ কবিতার ওটি প্রচ্ছদ হ’তে পারে না।
এখন ওটিটি-তে যতই ‘চুমাচাটি’ দেখানো হোক না কেন, তা সেই সাধের ইমেজকে ধরতে পারবে না, কারণ এখন ইমেজগুলো বড় ফাঁকা। হয়তো আমি বাতিল মানুষ বলেই যখন সন্ধে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরই, আশ্বস্ত হই যে, ক্যাম্পাসে কোথাও না কোথাও চুমুর ফুল ফুটছে।
একটা চুমু বা ভালোবাসাকে সবসময় নরম করে দেয় আমাদের সমাজ। কিন্তু ভালোবাসার মধ্যেই তো থাকে না-মানার জোর, বদলে ফেলার স্পর্ধা– সেটা হারিয়ে যেতে দেওয়া অনুচিত।
শহরটা কিন্তু বদলাচ্ছে। প্রতিটি চুম্বনের সঙ্গে শহরটা একটু একটু করে বদলে যাচ্ছে। আর যত দিন যাবে, এই পরিবর্তনের কাহিনি আরও লেখা হবে।তোমাদের ভদ্রলোক-সংস্কৃতির দেওয়ালে ফাটল ধরছে, আর এই ফাটলের মধ্য দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে ভালোবাসা। আমাদের ভালোবাসা।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved