E-Robbar
বাবার মৃত্যুর পর পিতৃশ্রাদ্ধ চলছে। পিণ্ড প্রস্তুত। বন্ধুটি বলল, ‘তিলটা বাবার খুব প্রিয় খাবার। সিসম ব্রেড, তিলের বড়া। তিন ইজ ওকে।’ তারপর দু’ হাত জড়ো করে পুরোহিত মশাইকে বলেছিল: ‘একটা অনুরোধ করব ঠাকুরমশাই, পিন্ডির উপর একটু টমেটো সস ঢেলে দিতে অনুমতি করবেন?’
স্বপ্নময় চক্রবর্তী ও
আমার পাঠ শুধু এই নয় যে ‘এক্সরসিস্ট’ আসলে নারীত্বের লাগামছাড়া মুক্তির ব্যাপারে যে ধার্মিক-পিতৃতান্ত্রিক-বুর্জোয়া প্যারানোইয়া থাকে, তার ওপর একটি ছবি। ফিরে যাই সেই নেহাতই ডিটেলটির কথায়, প্রান্তিক একটি দৃশ্য যা আবার বহু যত্নে তৈরি করা– রেগানের মা অভিনয় করছেন এমন একটি ছবিতে যা ক্যাম্পাসে ছাত্র-যুববিদ্রোহ সংক্রান্ত। ১৯৭৩-এ এটি হয়তো নেহাতই একটি সমসাময়িক ডিটেল মনে হবে, ছয়ের দশকের যুবছাত্র-বিদ্রোহ, ক্যাম্পাস-বিপ্লবের নিরিখে।
অনিন্দ্য সেনগুপ্ত ও
সুচিত্রা সেনের আদি বাড়ি যশোর। পাবনা– তাঁর শৈশবের শহর। প্রথম যৌবনের শহর। প্রথম সিনেমা দেখার শহর। পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনে সুচিত্রাদের বাড়ি। বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত ছিলেন পাবনা পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, পরবর্তী সময়ে পদোন্নতি পেয়ে হেডক্লার্ক হয়েছিলেন।
কামরুল হাসান মিথুন ও
রুশ বিপ্লবের বর্বরতা নিয়ে এই যে এত প্রশ্ন উঠছে ফরাসি বিপ্লবের নৃশংসতা, বর্বরতা তার চেয়ে, কোনও অংশে কম ছিল কি? কিন্তু কোথায়, তা নিয়ে তো এত প্রশ্ন তাদের দেশে বা বিদেশে কোথাও কখনও ওঠেনি? নাকি সে বিপ্লব রুশ বিপ্লবের মতো দীর্ঘস্থায়ী হয়নি বলে?
অরুণ সোম ও
দেশভাগে বিধ্বস্ত এই মেয়েরা সংসারের নানা টানাপোড়েন সামলে যখন ‘স্ত্রীভূমিকাবর্জিত’ কর্মক্ষেত্রে প্রথম ঢুকলেন, তখন তাঁদের নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বই হয়ে উঠল বিরাট ভরসার জায়গা।
অন্বেষা সেনগুপ্ত ও সীমন্তিনী মুখোপাধ্যায় ও সুপূর্ণা ব্যানার্জি ও
দার্জিলিং চায়ে চুমুক দিয়ে কেউ বলে ওঠে ‘উফ! কী অলক্ষীর মতো ডেকে যাচ্ছে দেখ কুকুরটা’। কুকুর বেচারা জানেই অনেক কিছুর মতোই কাঁদার অধিকারও তার থেকে বহু আগেই কেড়ে নিয়েছে মানুষ।
সৌকর্য ঘোষাল ও
একটার পর একটা কালজয়ী কাহিনি– হ্যামলেট, ম্যাকবেথ, ওথেলো, কিং লিয়ার, অ্যান্টনি অ্যান্ড ক্লিওপেট্রা, জুলিয়াস সিজার, উইন্টার্স টেল, টেম্পেস্ট– একটা গল্পও শেক্সপিয়ার নিজে লেখেননি। সব কুড়িয়ে-বাড়িয়ে এখান-ওখান থেকে জোগাড় করেছেন। ভালো জোগাড়-করিয়ে ছিলেন এই লেখক, সেটা বলা যায়।
রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ও