Robbar

কলাম

নদীমাতৃক দেশকে শরীরে বহন করেছিলেন বলেই নীরদচন্দ্র চৌধুরী আমৃত্যু সজীব ছিলেন

নীরদচন্দ্র চৌধুরী কিশোরগঞ্জ ছেড়ে যাওয়ার প্রায় ৯৮ বছর হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে দেশভাগ, মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বয়সও ৫৪ বছর হয়ে গেছে। কত কত প্রবীণ বৃক্ষ, মানুষ মজে গিয়ে প্রকৃতিতে নতুন ফুল, পাখি, নতুন মানুষ এসেছে। কিন্তু কিশোরগঞ্জের বনগ্রামের কোন বাড়ির সন্তান নীরদচন্দ্র চৌধুরী এবং শহরের কোন বাড়িতে জন্মেছেন, তা কেউ কেউ এখনও মনে রেখেছেন!

→

বাঙালির বাজার সফর মানেই ঘ্রাণেন অর্ধভোজনম

ফলের কারবার যখন করতাম, তখন আমার সমস্যা হত ‘ফাটিয়ে দাও’ দাদাদের নিয়ে। ঢ্যাঁড়শ ফাটিয়ে কচিত্ব বোঝা যায়, নারকোল ফাটিয়ে বুড়োত্ব বোঝা যায়। ফলওলাদের ডাক্তার হতে হয়। নারকোলটা হাতে নিয়েই প্রথম কথা ‘ঝুনো হবে তো?’

→

কল্পবিজ্ঞান শুধু ইতিহাসের মোড় বদলেই পাল্টায়নি, ইতিহাসের বিরুদ্ধেও গেছে

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যতই শতাব্দী ধরে লালিত বিশ্বাসের ভিতকে নড়িয়ে দিক না কেন, দেখাই তো যাচ্ছে তা মানবজীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, উন্নয়ন, মুহুর্মুহু বিপ্লব। তো এরকম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উদযাপন যে কল্পবিজ্ঞান করত, তাকে হয়তো একটু বাড়াবাড়ি করলে ইউটোপিয়ান বলাই যায়।

→

৭০ বছর সরকারি নিরীশ্বরবাদের পর গির্জার জনপ্রিয়তা বাড়াতে বার-ক্যাসিনো ওপর নির্ভর নতুন সরকারের

বিপ্লবের পরে, বিভিন্ন গির্জা এবং গির্জার সংলগ্ন যে সমস্ত দালান অধিকার করে সরকার ফ্ল্যাট আর সরাইখানায় পরিণত করে এতদিন ভাড়া দিয়ে আসছিল এখন দেশজুড়ে সেগুলি পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি মরিয়া হয়ে উঠেছে। একমাত্র মস্কো শহরেই এরকম আটশো দালান আছে।

→

অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শই শুধু নয়, চৌকাঠ পেরনো মেয়েরা পেয়েছিল বন্ধুত্বের আশাতীত নৈকট্যও

মনে পড়ে যায়, নরেন্দ্রনাথ মিত্রের ‘কাঠগোলাপ’ গল্পের অণিমাকে। পূর্ব বাংলার গ্রাম থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা অণিমার কলকাতা দেখে অপার বিস্ময়। আর ট্রাম-বাসে চড়া তাঁর কাছে কলকাতাকে উপভোগ করা। স্বামী যখন এই শখকে পয়সা নষ্ট বলে, অণিমা জবাব দেয়– “মাঝে মাঝে ট্রাম-বাসে না উঠলে শহরে আছি বলে মনেই হয় না।“

→

দলবদলু নেতার মতো ধূমকেতু ছুটে চলে অনবরত

৬৮৪ খ্রিস্টাব্দের জাপানে নিহোন শোকি লেখেন একটি ধূমকেতু যখন আসে তখন ধরেই নিতে হবে রাজনৈতিক ঝগড়া শুরু হল বলে। চিন-প্রভাবিত জ্যোতিষশাস্ত্র আবার এটিকে উচ্ছেদের নোটিশ হিসেবে দাগিয়ে দিল।

→

শৌর্যের, বীররসের, রাজকীয় মহিমার প্রতীক

নন্দলাল বসুর ছবিতে অধিকাংশ দুর্গা বেগবতী। তাদের ডানদিকে ফেরানো সিংহের মাথা আর তারা সেই গতিমুখেই যুদ্ধে রত। বাংলার সরাচিত্রের মতো কম্পোজিশন নয়। সেখানে দুর্গা অনেক স্থির।

→

ও ক্যাপ্টেন! মাই ক্যাপ্টেন!

ভারতে বৃহত্তর মধ্যবিত্ত সমাজে, এক কৃষক পরিবারের সন্তানের কাছ থেকে এই হার না মানা মনোভাবটাই প্রত্যাশিত ছিল। যে অধ্যবসায় কাকভোরে ওঠে নিজের ক্রিকেট-সাধনায় নিয়োজিত হতেন, সেই চোয়ালচাপা লড়াইয়ের সহজ পন্থায় এজবাস্টনে ভারতকে জেতালেন শুভমান।

→

কুকথার রাজনীতিতে অমরত্বের স্বাদ পেয়েছেন জর্জ অরওয়েল

এখন সারা ভারত জুড়ে চলছে মুখ খারাপের রাজনীতি। আর অরওয়েল লিখছেন, ইংরেজের রাজনীতি যত নিচে নামছে, ততই ইংরেজ বেসামাল হচ্ছে তার মাতৃভাষায়।

→

অলংকরণ বা প্রচ্ছদশিল্পীদের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা নেই, সখেদে চিঠি লিখেছিলেন নারায়ণ সান্যাল

নারায়ণ সান্যাল শুধু বড়ো লেখক ছিলেন না, তিনি কত বড়ো মনের মানুষ ছিলেন তা এই চিঠিতে ধরা পড়ে। একটা বই যে অনেক মানুষের সমবায়ী শ্রম ও শিল্পবোধে গড়ে ওঠে তা তিনি বুঝতেন।

→