E-Robbar
একটা কথা কোনও দিন মানিকদা জিজ্ঞেস করা হয়নি। লেখা, আঁকা, টাইপ করার সময় কখনও কখনও হাঁটু দুটোর দিকে ওই ভাবে তাকিয়ে থাকেন কেন? মানিকদা, আপনার এত বড় লেখার ঘর, ভাবনার ঘর, বসার ঘর, আঁকার ঘর, আড্ডার ঘর, সমস্ত ঘর জুড়ে লেখাপড়া আর সৃষ্টির চিহ্ন, সরঞ্জাম। কিন্তু লেখার টেবিল নেই কেন মানিকদা?
রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ও
‘মল ফ্ল্যান্ডারস্’ উপন্যাসের নায়িকা মলির মতো একটা মেয়ে, সাহিত্যে না পাই, জীবনে কি পাইনি? পেয়েছি তার ড্রেসিং টেবিলের সৌজন্যে। সেই ড্রেসিং টেবিলে ছিল তিনটে আরশি। তিন মুকুর মায়ার মধুপুর, বলেছিলুম সেই সাজুগুজুর টেবিলকে।
একটার পর একটা কালজয়ী কাহিনি– হ্যামলেট, ম্যাকবেথ, ওথেলো, কিং লিয়ার, অ্যান্টনি অ্যান্ড ক্লিওপেট্রা, জুলিয়াস সিজার, উইন্টার্স টেল, টেম্পেস্ট– একটা গল্পও শেক্সপিয়ার নিজে লেখেননি। সব কুড়িয়ে-বাড়িয়ে এখান-ওখান থেকে জোগাড় করেছেন। ভালো জোগাড়-করিয়ে ছিলেন এই লেখক, সেটা বলা যায়।
যে মেয়েকে রবীন্দ্রনাথ ২৫০-র বেশি পত্র লিখেছেন তাঁকে এক চিঠিতে ঘায়েল করতে এছাড়া আর কী লিখতে পারতুম বলুন? এই চিঠির উত্তরে বিবি লিখল, আমি যেন সিমলা হয়ে বিলেত যাই!
যিশুর জন্মের ৪৮৪ বছর আগে পৃথিবীতে এসে, পাপের কাহিনির নাট্যরূপ দিয়ে অমরত্ব অর্জন করেন ইউরিপিডিস। তাঁর নাটক ‘মিডিয়া’ তো পাপের উৎসব। আর ‘মিডিয়া’ সেই নারী, যার পাপকে হয়তো আমরা ‘স্ট্যান্ডিং অভেশন’ দিয়ে আসছি যুগ যুগ ধরে। কিন্তু কেন?
এখন সারা ভারত জুড়ে চলছে মুখ খারাপের রাজনীতি। আর অরওয়েল লিখছেন, ইংরেজের রাজনীতি যত নিচে নামছে, ততই ইংরেজ বেসামাল হচ্ছে তার মাতৃভাষায়।
আত্মজীবনী লিখতে শুরু করেছেন ভিক্টোরিয়া। নাম দিয়েছেন ‘অটোবায়োগ্রাফিয়া’। নিজের জীবনকে ছয় খণ্ডে ভেবেছেন। এবং ভেবেছেন, সব সত্যি কথা বলবেন।