যে-রবীন্দ্রনাথকে আগলে রেখেছে তাঁর লেখার টেবিল অতি সন্তর্পণে, সেই রবীন্দ্রনাথকে চেনে না, চিনতে হয়তো চায়ও না তাঁর আঁকার টেবিল, এই নির্মম সত্যটি বুঝতে পেরেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।
এই অবিশ্বাস, অপ্রত্যয় এবং সংশয়ের যুগে হান কাং-এর উপন্যাস ‘গ্রিক লেসন্স’ ফিরিয়ে নিয়ে এল বাক্যহীন চক্ষুহীন অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো।
বিনোদবিহারী বুঝলেন, ‘ব্লাইন্ডনেস ইজ আ নিউ স্টেট অফ বিয়িং’।
টেবিলই শিখিয়েছে কীভাবে প্রতিটি নারীকেই ভাবাতে হয়, আমি শুধুই তার।
মিল্টনের প্যাশন ও ধ্যান মিশে যায় এই প্রবল প্রার্থনায়, হে অন্ধত্বের অন্ধকার, তুমিই হয়ে ওঠো আমার লেখার টেবিল, আমার সমস্ত ভাবনার আশ্রয়, আমার সমস্ত প্রত্যয় ও প্রকাশের প্রণোদনা।
ভেরা হ্রাব্যানকোভা, মিলান কুন্দেরার স্ত্রী। তাঁর লেখক-স্বামীকে তিনি উপহার দিয়েছিলেন যে-কালো মুকুর মসৃণ টেবিলটি, সেই লেখার টেবিলে বসে কুন্দেরার উদ্দেশে ভেরা লিখছেন এই চিঠি।
কালো পালিশ করা কাঠের টেবিল, যার বুকে থরে থরে সাজানো আছে কুন্দেরার মনন, বাক্য, প্রকাশ ও সাহস।
রবীন্দ্রনাথ তাঁর লেখার টেবিলে বসে লিখলেন তাঁর ‘আত্মহত্যার চিঠি’, যে চিঠি তাঁর কৌতুকী বিয়ের চিঠি বলেই পরিচিত।
তরুণ কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর খুপরি ঘরে পাংশু লেখার টেবিলে কবিতাটি শেষ করে কলম বন্ধ করে। আপাতত খুব বেশি কি কিছু লেখার আছে তার? আর হয়তো না লিখলেও চলে, মনে হয় অনীশ কবির।
উনিশ বছরের পাবলো নেরুদা অলীক আলোর তারার অক্ষরে আকাশ-টেবিল জুড়ে লেখে শুধু একটি লাইন: ‘টুনাইট আই ক্যান রাইট দ্য স্যাডেস্ট লাইনস্’।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved