Robbar

মিনি সিরিজ

‘বেচাল’ তিনি হননি, কণ্ঠের পাশাপাশি সেই কারণেও কি সমাজে তাঁর যোগ্য জায়গা মিলল মাত্রায় কম ঝামেলায়?

যে ঠুমরি গাইতে গাইতে রসুলন শেষটায় হারিয়েই গিয়েছিলেন, সিদ্বেশ্বরী সেই ঠুমরি গেয়েই কেন তুলনায় কম অপমান, লাঞ্ছনার ভাগী হলেন? গিরিজা দেবী কেমন করে সেই ঠুমরিকেই সমাজের সামনে মেলে ধরলেন এমন করে, যেন ঠুমরি মূল শাস্ত্রীয় সংগীতেরই অঙ্গ?

→

বেগম আখতার কণ্ঠ নয়, দিমাগ দিয়ে গাইতেন, জানতেন কখন কোন স্বর বাজিমাত করে

শেষের দিকে তাঁর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতেন তাঁর মেয়ে শিষ্যরা—শান্তি হিরানন্দ, অঞ্জলি বন্দ্যোপাধ্যায়, রীতা গাঙ্গুলি। সকলেই মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করেন, বেগম আখতার তাঁদের মাতৃসম স্নেহে মুড়ে রেখেছিলেন। এ মাতৃত্ব তাঁর ওপর কেউ চাপিয়ে দেয়নি। এ মাতৃত্ব তিনিই বেছে নিয়ে হতে পেরেছিলেন শিষ্যদের প্রিয় ‘আম্মি’।

→

শান্তিনিকেতনের পুরাতন আশ্রমিকদের রবীন্দ্রসংগীত শুনে মেহফিলে মেহফিলে গেয়েছেন সিদ্ধেশ্বরী দেবী

১৯৭৬ সালে স্ট্রোক হওয়ার পর থেকে গাইতে পারতেন না আর। এহেন শিল্পী, যে এত সংগ্রাম করলেন দু’কলি গাইতেই, গান না থাকলে তার জীবনে কী থাকে? ১৯৭৭ সালে পাড়ি দিলেন না-ফেরার দেশে। অন্য বাহিরে। সে বাহিরের গায়ে কান পেতে দাঁড়ালে হয়তো আজও খামাজে ঠুমরি শোনা যাবে।

→

মুখরা এক মেয়ে, অনুষ্ঠানের আয়োজকের কাছে নিজের প্রাপ্য পারিশ্রমিক চাইছেন

‘কলের গান’ বলতে আমরা যা বুঝি, ভারতে সেই কলের গানে প্রথম কণ্ঠ দেন গওহরই। সে সময় ব্রিটিশ গ্রামোফোন কোম্পানির একটি উদ্যোগে ফ্রেড গাইসবার্গ গওহরকে আরপিএম ডিস্কের জন্য একটি গান রেকর্ড করার সুযোগ দেন প্রথম।

→

নিজেদের রাজার নামেই ডেনিসরা শ্রীরামপুরের নাম রেখেছিল ফ্রেডরিক নগর

কুঠি নির্মাণ বা দেশ দখলের উদ্দেশ্য ছিল না দিনেমারদের, যেমন ছিল বিশেষ করে কুচক্রী ইংরেজদের।

→

সাদা মানুষদের চোখে চন্দননগরের নাগরিকেরা ছিলেন অবজ্ঞার পাত্র

১৭৯৩-তে ফরাসি বিপ্লবের সূত্র ধরে আবার ফরাসিদের হাতছাড়া হয় চন্দননগর। মোট চারবার ইংরেজদের অধীনে থাকার পর ১৮১৬ থেকে ১৯৫০ পর্যন্ত শহরটি ছিল ফরাসিদের দখলে।

→

উদ্যানপ্রিয় হল্যান্ডবাসীদের থেকেই বাঙালিরা বাগান নির্মাণে উদ্যোগী হয়

চুঁচুড়ার হল্যান্ডবাসীর মতোই দেশি ফুলের পরিবর্তে বিদেশি ফুলের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে মধ্য ও উচ্চবিত্ত বাঙালি।

→

মোগল বনাম পর্তুগিজদের দেড় মাসের যুদ্ধে হুগলি পরিণত হয়েছিল ধ্বংসস্তূপে

বঙ্গের হিন্দু বারোভুঁইয়াগণ পর্তুগিজ সামরিক শক্তির সাহায্য নিয়ে হিন্দু রাজ্য গঠনের পরিকল্পনা করেছিলেন।

→

অটোপৃষ্ঠে স্ত্রী যখন ‘ইস্তিরি’ তখন তা মনে করিয়ে দেয় শিবরামকে

সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে স্ত্রীকে নিয়ে রচিত নিখাদ সম্মান-স্বীকৃতিবাচক অটোলিপিরা সংখ্যালঘু, সব মিলিয়ে বিবাহিত নারী সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সমাজের একটা বিশেষ পেশায় নিযুক্ত মানুষজনের ধারণা দিতে সক্ষম অটোলিপি।

→

অটোলিপি যখন মাতৃভাষার পক্ষে

‘বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য’ কথাটা ভাষার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আর সেটাই স্বাস্থ্যকর ও প্রগতির লক্ষণ।

→