Robbar

পাঁচমিশালি

মাতালকে ঈশ্বর বারবার বেনিফিট অফ ডাউট দেন না

একবার শাশুড়ি ঠাকরুন তাঁর মেয়েকে নিয়ে তাঁর বোনের বাড়ি গিয়েছেন, আর সেটা উদযাপন করতে সন্ধেবেলায় শ্বশুরমশাই আর আমি বৃদ্ধ সাধুর ভজনায় মেতেছি। নেশা একটু বাড়তেই তাঁর দুঃখে সান্ত্বনা দিয়ে বললুম, ‘আপনার বিয়ে করাই ঠিক হয়নি। তাহলে আপনারও বউ থাকত না, আমারও বউ থাকত না।’ তারপর?

→

ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের রেলিং-এ প্রকাশ কর্মকারের ‘যুগান্তকারী’ প্রদর্শনী

এগজিবিশনের ব্যাপারটায় যে আভিজাত্য, প্রকাশই তা প্রথম ভাঙল। চারুশিল্পর ক্ষেত্রে শিল্পীর অন্তর্দৃষ্টি সাধারণ মানুষের বোধগম্যের বাইরের কিছু, সেটাও বোধহয় সে মানতে চায়নি। সেই কারণেই তো বলেছিল, তার আর্ট জনগণের আর্ট, ফুটপাতও তাদের সামনে আর্টকে তুলে ধরার উপযুক্ত স্থান হতে পারে এবং শিল্পী সমাজের তথাকথিত আভিজাত্যের লক্ষণে আঘাত করতে চায়।

→

হুমমম…

হামবড়াইয়ের দিন গিয়েছে। এখন হুমবড়াই। হুমকার। একপ্রকার হুমকিও। কী করে যেন হুমড়ি খেয়ে আমরা হুমন্তকালে প্রবেশ করেছি, কে জানে! এখানে কি সভ্যতা আটকা পড়েছে? পাঠক, উত্তর দিয়ে যান। সে উত্তর যদি ‘হুম’ হয়, তাও।

→

ছাদ: কখনও সামাজিক পরিসর, কখনও একলা চিন্তার মঞ্চ

দীর্ঘ সময় বাদে কাঁচা ছাদের পরবর্তীতে ইট, বালি, সিমেন্টে গড়া পাকা ছাদ আবিষ্কার হল। তখন মানুষেরা ছাদেও দিনের একটি অবসর সময় কাটাতে আরম্ভ করল।

→

পূর্ববঙ্গের গাড়ুর ডাল আসলে এক ধরনের প্রকৃতিপুজো

পূর্ববঙ্গীয় (আজকের বাংলাদেশ) সংস্কৃতিতে আশ্বিন মাসের সংক্রান্তিতে একটি বিশেষ ধরনের ডাল রান্না করে খাওয়ার প্রচলন আছে। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পরপর সেই বিশেষ রীতিটি এপার বাংলায় চলে এসেছে শরণার্থীদের মাধ্যমে।

→

অনুবাদক কোনও ‘সুপারহিরো’ নন, স্বত্ব না কিনেই খাজা বাংলা তরজমার কবলে পাঠক!

বিনা অনুমতিতে, স্বত্ব না কিনে, মূল ভাষার ধারেকাছে না গিয়ে, এবং সর্বোপরি গুগল ট্রান্সলেট জাতীয় কোনও সফ্টওয়্যারের যোগসাজসে এই যে অনুবাদকার্য সম্পন্ন হচ্ছে, এবং যেসব পাঠক পয়সা খরচ করে এই সব অনুবাদগ্রন্থ ক্রয় করছেন, তাঁরা দুধের স্বাদ ঘোলেই মেটাচ্ছেন না তো?

→

ফেসবুকে ৫০০০ বন্ধু, আদপে বন্ধুহীন?

ফেসবুকের বন্ধুবৃত্তে ‘ওই তো অঢেল সবুজের সমারোহ’ থাকলেও বাস্তব জীবনের বন্ধুযাপন একেবারে বিপরীত একটি ছবি তুলে ধরে। ভালো বন্ধুত্ব কীভাবে আমাদের আরও ভালোভাবে বাঁচতে সাহায্য করে, সুখযাপনে বন্ধুত্বের অবদান কতটা– এই নিয়ে সমীক্ষা হয়েছে বিস্তর।

→

বইয়ের ভাস্কর্য: আরেকরকম পাঠ

শিল্পী সাবা হাসান বলছেন, ঘাস, সুতো, ছোট ছোট পাথর, কফি, গাছের ছাল, কখনও শিকড়, ফেব্রিক, পোড়া বইয়ের ছাই– সকলে মিলে নির্মাণ করেছে অনন্য একেকটি অক্ষর। স্বাধীন সেইসব অক্ষর, ফের একবার উড়ে যাচ্ছে, জুড়ে বসছে, ধারণ করছে বই।

→

ভাঙনকালে আশার বার্তা দেয় মালয়ালি পুতুল ‘চেকুট্টি’

নতুন ভাবনা। নতুন স্বপ্ন। সেই পথেই বন্যাবিধ্বস্ত কেরালার তাঁতিদের কোলে জন্ম নিল এক কন্যে। চেন্দমঙ্গলম গ্রামের বানভাসি মানুষরা নাম দিলেন– চে কুট্টি। টানা টানা চোখ। হাসি হাসি মুখ। গায়ে মেটে কাপড়ের জামা। ইংরেজিতে যাকে বলে ‘রাগ ডল’।

→

পুঁটুরাণীর জন্য পাত্র চাই: পুরাতন কলিকাতার পাত্রপাত্রীর বিজ্ঞাপন

একটা বিজ্ঞাপনে দেখেছিলাম, ১০ নং আর জি কর রোডে অবস্থিত হিন্দু অবলাশ্রমের সেক্রেটারি জনৈক পদ্মরাজ জৈন ‘সুবর্ণ জাতীয়া’ মাত্র ছ’বছর বয়সি ‘কুমারী বালিকার’ জন্য ‘পাণিপ্রার্থী’-দের কাছ থেকে আবেদনপত্রের প্রত্যাশী। ওই একই ব্যক্তি ‘১৬ বৎসর’ বয়সি কুম্ভকার বালবিধবার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিতে গিয়ে বলে নিচ্ছেন, সে-ই পাত্রী ‘লেখাপড়া জানে না’। একইসঙ্গে তাঁর পরিষ্কার কথা, ‘কোন প্রকার পণ বা যৌতুকাদি দেওয়া হইবে না।’ এটা ১৯৩১ সালের বিজ্ঞাপন।

→